পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ब=-- ভয়ের অনুভূতি চারি পাশের সৌন্দৰ্য্যৰে ধেন আরও बाज़ाहेब छूनिण । ७क-७क शरन *ष नभिन श्रउ षाफ़ी উত্তরে ও উত্তর হইতে পূর্বে ঘুরিয়া গিয়াছে, পথের খুব কাছে বাম দিকে সৰ্ব্বত্রই একটানা অনুচ্চ শৈলমাল, তাদের চালুতে গোলগোলি ও পলাশের জঙ্গল, উপরের দিকে শাল ও বড় বড় ঘাস । জ্যোৎস্না এবার ফুটফুট করিতেছে, গাছের ছায়া হ্রস্বতম হইয়া উঠিয়াছ, কি একটা বস্ত ফুলের স্বাসে জ্যোৎস্নাগুভ্র প্রাস্তর ভরপুর, অনেক দূরে পাহাড়ে সাওতালের জুম চাষের জন্ত আগুন দিয়াছে, সে কি অভিনব বৃগু, মনে হইতেছে পাহাড়ে পাহাড়ে আলোর মালা কে যেন সাজাইয়া রাখিয়াছে। কখনও যদি এসব দিকে না আসিতাম, কেহ বলিলেও বিশ্বাস করিতাম না ধে বাংলা দেশের এত নিকটেই এরূপ সম্পূর্ণ জনহীন অরণ্যপ্রান্তর ও শৈলমাল আছে, যাহা সৌন্দর্ঘ্যে আরিজোনার পাথুরে মরদেশ বা রোডেসিয়ার বুশ-ভেল্ডের অপেক্ষ কম নয় কোন অংশে-বিপদের দিক স্থিা দেখিতে গেলও এসব অঞ্চল নিতান্ত পুতুপুতু একথা বলা চলে না, সদ্ধার পরেই যেখানে বাঘ-ভালুকের ভয়ে লোক পথ হাটে না । এই মুক্ত জ্যোৎস্নাশুভ্র বনপ্রাস্তরের মধ্য দিয়া যাইতে ধাইতে ভাবিতেছিলাম এ এক জীবন আলাদা, যার ঘরের দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকিতে ভালবাসে না, সংসার করা যাদের রক্তে নাই, সেই সব বারমুখো, খাপছাড়া প্রকৃতির মামুষের পক্ষে এমন জীবনই ত কাম্য। কলিকাতা হইতে প্রথম প্রথম আসিয়া এখানকার এই ভীষণ নির্জনত ও সম্পূর্ণ বস্ত জীবনযাত্রা কি অসন্থ হইয়াছিল, কিন্তু এখন আমার মনে হয় এই ভাল, এই বর্বর রূক্ষ বস্ত প্রকৃতি আমাকে তার স্বাধীনতা ও মুক্তির মন্ত্রে দীক্ষিত করিয়াছে, শহরের খাচার মধ্যে মার দাড়ে বসিয়া থাকিতে পারিব কি ? এই পথহীন প্রাস্তরের শিলাখণ্ড ও শাল-পলাশের বনের মধ্য দিয়া এই রকম মুক্ত আকাশতলে পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নায় হ হ ঘোড়া ছুটাইয়া চলার আনন্দের সহিত । আমি দুনিয়ার কোনো সম্পদ বিনিময় করিতে চাই না। জ্যোৎস্ব আরও ফুটিয়াছে, মক্ষত্রদল জ্যোৎস্নালোকে প্রায় অদৃপ্ত, চারি ধারে চাহিয়া মনে হয় এ সে পৃথিবী নয় অণরণ্যক ●の、こ এতদিন যাহাকে জানিতাম, এ স্বপ্নভূমি, এই দিগন্তব্যাপী জ্যোৎস্নায় অপার্থিব জীবেরা এখানে নামে গভীর রাত্রে, डांब्रां उ°नTांद्र दख, कब्रन! e ऋध्रब्र बख, दानब्र कूल पांब्रां ভালবাসে না, স্বন্দরকে চেনে না, শ্বিলয়রেখা যাকে কখনও शठशनि निम्न छांरक नाझे डांटमब्र करछ ७ शृषिबैौ षब्रां দেয় না কোন কালেই। মহালিখারূপের জঙ্গল শেষ হইতেই মাইল-চার গিয়া আমাদের সীমানা স্বরু হইল । রাত প্রায় নটার সময়ে কাছারি পৌছিলাম | কাছারিতে ঢোলের শব্দ শুনিয়া বাহিরের দিকে চাহিয়া দেখি এক দল লোক কাছারির কম্পাউণ্ডে কোথা হইতে আসিয়া ঢোল বাজাইতেছে । ঢোলের শৰে কাছারির সিপাহী ও কৰ্ম্মচারীরা আসিয়া তাহীদের বিরিয়া দাড়াইল । কাহাকেও ডাকিয়া ব্যাপারটা কি জিজ্ঞাসা করিব ভাবিতেছি, এমন সময়ে জমাদার মুক্তিনাথ সিং দরজার কাছে আসিয়া সেলাম করিয়া বলিল—একবার বাইরে আসবেন মেহেরবানি করে ? —কি জমাদার, কি ব্যাপার ? —হজুর, দক্ষিণ দেশে এবার ধান মরে যাওয়াতে অজয়া হয়েছে, লোকে চালাতে না পেরে দেশে দেশে নাচের দল নিয়ে বেরিয়েছে। ওরা কাছারিতে হুজুরের সামনে নাচবে বলে এসেছে, যদি হুকুম হয়, তবে নাচ দেখায় । নাচের দল আমার আপিস-ঘরের সামনে আসিয়া मैंiफ़ॉट्रेण । মুক্তিনাথ সিং জিজ্ঞাসা করিল, কেন নাচ তাহারা দেখাইতে পারে। দলের মধ্যে এক জন ষাট-বাষটি বছরের বুদ্ধ সেলাম করিয়া বিনীত ভাবে বলিল—হজুর, হো হো নাচ আর ছক্কর বাজি নাচ । দলটি দেখিয়া মনে হইল নাচের কিছু জামুক না-জামুক, পেটে ছুটি খাইবার আশায় সব ধরণের, সব বয়সের লোক देशव्र भाषा क्द्रि भक्लिद्वारछ । चरनरुक्र१ ५ब्रिध्ना उांशब्रां নাচিল ও গান গাহিল। বেলা পড়িবার সময় তাহার আসিয়াছিল, ক্রমে আকাশে জ্যোৎস্ব ফুটিল, তখনও তাহার ঘুরিয়া ঘুরিয়া হাত ধরিয়া নাচিতেছে ও গান গাহিতেছে।