পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●の8 প্রবাসী SN?8翻。 অদ্ভুত ধরণের নাচ ও সম্পূর্ণ অপরিচিত স্বরের গান। এই মুক্ত প্রকৃতির বিশাল প্রসার ও এই সভ্য জগৎ হইতে বহুদূরে অবস্থিত নিভৃত বস্ত আবেষ্টনীর মধ্যে, এই দিগন্ত পরিপ্লাবী ছায়াবিহীন জ্যোৎস্নালোকে এদের এই নাচ গানই চমৎকার খাপ খায়। একটি গানের অর্থ এইরূপ — শিশুকালে বেশ ছিলাম । আমাদের গ্রামের পিছনে ষে পাহাড়, তাহার মাথায় কেঁদ-বন, সেই বনে কুড়িয়ে বেড়াতাম পাকা ফল, গাখতাম পিয়াল ফুলের মালা । দিন খুব স্বর্থেই কাটুভ, ভালবাসা কাকে বলে, তা তখন জানতাম না । পাচনহরী ঝরণার ধারে সেদিন কররা পার্থী মারতে গিয়েছি । হাতে আমার বাশের নল ও আঠ-কাঠি । তুমি ফুস্কম রঙে ছোপান শাড়ী পরে এসেছিলে জল ভরতে। দেখে বললে—ছি, পুরুষমানুষে কি সাত-নলি দিয়ে বনের পার্থী মারে ? আমি লজ্জায় ফেলে দিলাম বাশের নল, ফেলে দিলাম আট-কাঠির তাড়া। বনের পার্থী গেল উড়ে, কিন্তু আমার মন-পার্থী তোমার প্রেমের ফাজে চিরদিনের মত সে ধরা পড়ে গেল ! আমার সাত-নীল চেলে পাখী মারতে বারণ করে এ-কি করলে তুমি আমার ? কাজট কি ভাল হ’ল, সখি ? ওদের ভাষা কিছু বুঝি, কিছু বুঝি না । গানগুলি সেই জন্তই বোধ হয় আমার কাছে জারও অদ্ভূত লাগিল । এই পাহাড় ও পিয়ালবনের স্বরে বাধা এদের গান, এখানেই । ভাল লাগিবে। ইহাঙ্গের দক্ষিণ মাত্র চার আন পয়সা। কাছারির আমলার একবাক্যে বলিল—হজুর, তাই অনেক জায়গায় পায় না । বেশী দিয়ে ওদের লোভ বাড়াবেন না, তা ছাড়া বাজার নষ্ট হবে। যা রেটু তার বেশী দিলে গরীব গেরস্তর নিজেদের বাড়ীতে নাচ করাতে পারবে না হুজুর। অবাক হইলাম। দু-তিন ঘন্ট। প্রাণপণে খাটিয়াছে কসে কম সতর-আঠার জন লোক-চার আনায় ইহাদের জন-পিছু একটা করিয়া পয়সাও ত পড়িবে না। আমাদের কাছারিতে নাচ দেখাইতে এই জনহীন প্রাস্তর ও বন পার হইয়া এত দূর আসিয়াছে। সমস্ত দিনের মধ্যে ইহাই রোজগার। কাছে আর কোনও গ্রাম নাই, যেখানে আজ রাত্রে নাচ দেখাইবে । রাত্রে কাছারিতে তাহাজের খাওয়া ও খাৰার ব্যবস্থা করিয়া দিলাম। সকালে তাহাদের দলের সদ্ধারকে छांकाश्ध्र छुझे,ि प्लेॉक निद्रङ ८णांकफैँ श्रयांक श्झेब्रां श्रांभांब्र মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। নাচ দেখিয়া খাইতে কেহই দেয় না, তার উপর আবার দু-টাকা দক্ষিণ । তাদের দলে বারে-তের বছরের একটি ছেলে আছে, ছেলেটির চেহারা যাত্ৰাদলের কৃষ্ণঠাকুরের মত। এক মাথা ঝাকড়া ঝাকড়া চুল, ভারী শাস্ত, স্বন্দর চোখ মুখ, কুচকুচে কালে গায়েব রং । দলের সামনে দাড়াইয়া সে-ই প্রথমে স্বর ধরে ও পায়ে ঘুঙুর বঁাধিস্থ নাচে। ঠোটের কোণে হাসি মিলাইয়া থাকে স্বন্দর ভজিতে হাত দুলাইয়! মিষ্ট্র মুরে গায় – রাজা লিজিয়ে সেলাম মায় পরদেশিয়৷ ৷ ” শুধু দুটি খাইবার জন্ত ছেলেটি দলের সঙ্গে ঘুরিতেছে। পয়সার ভাগ সে বড়-একটা পায় না। তাও সে খাওয়া কি । চীনা ঘাসের দানা, আর মুন । বড়জোর তার সঙ্গে একটু তরকারি। আলুপটল নয়, জংলি গুড়মি ফল ভাজা, নয়ত বাথু শাক সিদ্ধ, কিংবা ধুধুল ভাজা । এই খাইয়াই মুখে হাসি তার সৰ্ব্বদা লাগিয়া আছে। দিব্যি স্বাস্থ্য, অপূৰ্ব্ব লাবণ্য সারা অঙ্গে । দলের অধিকারীকে বলিলাম, ধাতুরিয়াকে রেখে যাওঁ এখানে । কাছারিতে কাজ করবে, আর থাকবে খাবে। অধিকারী সেই দাড়িওয়ালা বৃদ্ধ লোকটি সেও এক অদ্ভূত ধরণের লোক। এই বাষটি বছরেও সে একেবারে বালকের মত । বলিল-ও থাকতে পারবে না হুজুর। গায়ের সব লোকের সঙ্গে এক সাথে আছে, তাই ও আছে ভাল । একলা থাকলে মন কেমন করবে, ছেলেমানুষ কি থাকতে পারে । আবার আপনার সামনে ওকে নিয়ে আসব হুজুর । ( ক্রমশ }