পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদেশে ক্রমুশীলকুমার দে ফিরিন্থ যবে তোমার পথে, তখন ছিল অমা, হে মোর মনোরমা, আঁধার-কার প্রহরহারা রাতি, অশিব হানে অশনি, নাহি সাণী, কলুষ-কূলে কুৎসা যত কালিমা করে জমা ; —দুখের দিনে করে নি কেহ ক্ষমা । তুমি কি তবু করেছ ক্ষম, লয়েছ বুকে টানি কুষ্ঠা নাহি মানি – পাপের খেদ তাপের ক্লেদ মাঝে নূপুরে কেন ঘৃণার বীণা বাজে ? ক্ষমা ত নহে, দিয়েছ বুঝি কৃপণ কৃপা আনি, নিয়মমাঝে নিয়ত সাবধানী । আঁধারে বসি শিহরি তবু করেছি অমুভব আগামী গৌরব,— বিজয়-রখে উদয়-পথে উষা আসিবে কবে, হাসিবে অবলুষ, হেরিব আtধ-আড়াল হতে আলোর উৎসব, নমিব মানি পরম পরাভব । না-জানা আর জানার পারে রুচির তব রুচি সহজ স্বথে গুচি স্ফটিকে-ঢাকা দীপ্তিসম দূরে ঘোরায় শুধু শোভার লোভাতুরে ; ছায়ার ছাদে মায়ার ফদে দিবে কি তৃষা মূছি ? যাবে না ব্যবধানের বাধা ঘুচি ? আঁধার-কীট আলোর পীঠে লুটিবে কত দিন তৃষায় দিশাহীন ? আপন দাহে দহিয়া আপনার জালোটি রহে অাপন কারাগারে ; সঙ্গহীন সীমার মাঝে মহিমা অমলিন,— তৃপ্তি কোথা দীপ্তি-লীলা-লীন ? তাই কি তব আনত মুখ আঁধারে ঢল-ঢল, メ নয়ন ছল-ছল ? বুকের মালা চাপিয়া বুকে ধর', অধরে নাহি আদর থর-থর, চলিতে গিয়ে দ্বিধার ভরে থমকি থামি চল', বলিতে গিয়ে কথাটি নাহি বল’ । সহসা গানে কেটেছে তাল, বেধেছে লয় তানে, —চেয়েছ মুখপানে ; করেছি আমি করেছি অপরাধ, নহে ত তাহা তোমার অপবাদ ; আমারি-গড়া আমার হানি তোমারে নাহি হানে, পূর্ণ তুমি আপন সম্মানে । যে-হাতে হার দিয়েছ গলে, সে-হাতে অকাতরে আনিবে চিরতরে শাসনমাঝে ভাষণহীন মানি, ক্রটির মাঝে ক্রুকুটি শুধু হানি ?— তবুও মোর অশ্র হেরি অশ্রী কেন ভরে আঁথিটি তব, আঁখির অগোচরে ? ঝড়ের ক্ষণ-মিলন বুঝি নিকটে আনি, ঠেলি স্বদুরে দেয় ফেলি ; প্রাণের টানে বারেক ধরে ষারে জাঘাতে তারে হারায় বারে-বারে ; আঁধারে তট খুজিয়া মরে অশ্রু উদ্বেলি, ছরশাধায় অবোৰ বাহ মেলি।