to\స్త్రీ প্রবাসী SNetBS কলঙ্কের অহঙ্কারে আসি নি আমি ফিরে, মমতাহীন বক্রগতি চক্ষ নাহি সরে এসেছি মাখিনীরে ; পাষাণ-পখ পরে ; অধীর-ধারা নদীর মত বেগে মনের মাঝে অনেক ছিল বাধা, ভাঙন-মুখে তটের বুকে লেগে আসি নি আমি শিথিল করি প্রাণের গ্রন্থিরে ; —অগুচি কর হানি নি মন্দিরে । আপনি তুমি আসিলে মোর প্রাণের স্পন্দনে ব্যথার বন্ধনে ; চোখের জালা সারাটি নিশি জাগি নিজের লাগি লয়েছ নিজে মাগি, দীপ্ত ভাল লিপ্ত করি ধূলার চন্দনে শবের দুখে শিবের ক্রদনে । তুষার-ঘন শুভ্ৰ শোভা গরিমা-গিরি-শিরে তোমারে ছিল ঘিরে, নামিলে লয়ে অশ্র জলধারা ধূলায় কেন আপন-মান-হারা ? পথের শেষে পঙ্কমাঝে পদ্বলের নীরে মিশিয়া আজ কেমনে যাবে ফিরে ? জলের তলে যা আছে থাক, পঙ্ক যাবে সরি,— উঠিবে মঞ্জরি বর্ণ লভি আলোর অর্ণবে দুখের দান মুখের বাস্তবে, রজনী জাগি ব্যথার রসে মরমে মধু ভরি হেমন্তের তুহিনে সন্তরি। বৃষ্টিভেজা-ফুলের হার খোপাটি রহে বেড়ি,— সাঝের মাঝে হেরি । অনেক দিন অনেক ছিল ক্ষুধা, তাহারি মাঝে পেয়েছি আজ সুধা ; গন্ধ আসে অন্ধকারে স্বপ্নসম ঘেরি, স্মৃতিটি যেন বিগত জনমেরি । ভস্ম হতে জাগালে কেন উদাস-উৎপথে মনের মন্মথে ? দাহের দাগ এখনো বুকে আঁকা, রূপের রাগ ভস্মভারে ঢাকা,— -নূতন রতি-বিলাপ বুচি, আসিয়া জয়-রখে আড়ালে তাই দাড়ালে বুঝি পথে ? श्घ्र नि डांझे नश्छ *ष-वैश्विां, ভেঙেছে কত গড়িতে গিয়ে, গভীর দাগ পড়ে, চরণ বাজে পথের কঙ্করে । ধূসর তাই উষর পথে এসেছ ধূলা মাধি, আঁথিতে আঁখি রাখি ; ব্যথার কাছে ব্যথা ষে রহে ঋণী, কেমনে তারে এড়াবে, গরবিণী ? 编 সীমস্তের সিছুরটুকু কেমনে দিবে ঢাকি প্রাণের মাঝে প্রাণের যাহা ফাকি ? অস্তছায়াতটের মোরা যাত্রী দুই জনে,— ফুষ্ঠা কেন মনে ? নিশীথমাঝে নিবিড় পরিচয়,— ভয় কি তব যায় না করি জয় ? নিঝর-পলাতকার ছলা, দ্বিধাটি ক্ষণে-ক্ষণে,— মরুর তৃষা মরে না গুঞ্জনে । আমার অভিযেকের ধারা তোমার আঁথিজলে, ধরার ধুলাতলে ; উঠেছে ফুটি চরণ-কোকনদ, প্রীতির প্রেতভূমির সম্পদ ; কপালে স্বধাকরের টীক,—গরল থাকু গলে । অনল নাহি সজল চোখে জলে । ' অস্তাচল পিছনে রাখি উদয়াচলে চলি নূতন বলে বলী ; রাত্রি আসে আঁধারে মুখ ঢাকি, সিখিতে ভৰু সন্ধাতার মাকি, শিশিরে-ধোয়া বুকের কাছে রয়েছে চঞ্চলি আঁধার-পুটে আলোর অঞ্জলি । স্বরতি সাঝে পূরবী রচে পরম গ্ৰীতি প্ৰাণে পথের শেষ গানে, মরম যাহা পারে না পাসরিতে, চরম যাহা ধরে না বঁাশরীতে ; নিশীথে নমে নিভৃত-চিতে উদয়-উষা পানে, আঁধারে ভরি অর্ঘ্য তার জানে ।
