পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ মরু ও সঙৰ (రివె DDD DDS DDDDD BBSBBB BBBD DDD DD DDB BBB BB DBDS BBB BD DD DDS গলিত চীবর ভেদ করিয়া বাহির হইতেছে। দীর্ঘশ্বাস পড়িল । পাতিমোক্ষ পাঠ শেষ হইল। নিদান হইতে অধিকরণ শমৰ পৰ্য্যস্ত বিবৃতি করিয়া পরিশেষে স্থবির বলিলেন—’হে মাননীয় ভিক্ষু, আপনার নিকট পারাজিক সংঘাদিশেষ প্রভৃতি ধৰ্ম্ম আবৃত্তি করিলাম। শেষবার প্রশ্ন করিতেছি, যদি কোনও পাপ করিয়া থাকেন খ্যাপন করুন, আর যদি পাপ না-করিয়া থাকেন, নীরব থাকুন।" দীর্ঘ পাতিমোক্ষ পাঠ গুনিতে শুনিতে ভিক্ষু উচও বোধ করি আত্মস্থ হইয়া পড়িয়াছিলেন, অথবা বিষয়াস্তরে তাহার মম সংক্রামিত হইয়াছিল ; স্থবিরের শেষ জিজ্ঞাসা কর্ণে যাইতেই তিনি চকিত হইয়া একবার নিজের উভয় পার্শ্বে দৃষ্টিপাত করিলেন। তাহার ললাটের ভ্ৰকুটি যেন ঈষৎ গভীরতর হইল। ওষ্ঠাধর দৃঢ়বদ্ধ করিয়া তিনি মৌন হইয়া রহিলেন । স্থবির তখন কহিলেন, “হে মাননীয় ভিক্ষু, আপনার মৌনভাব দেখিয়া জানিলাম আপনি পরিশুদ্ধ আছেন।” মনে হইল এই বাক্যের সঙ্গে সঙ্গে তিনি একটি দীর্ঘশ্বাস মোচন করিলেন । অনুষ্ঠান শেষ হইল । দিব। তখনও প্রথম প্রহর অতীত হয় নাই । অলিন্দপখে তিধ্যক সুৰ্য্যরশ্মি প্রবেশ করিয়া কক্ষের মান ছায়াচ্ছন্নতা দূর করিয়াছে। উভয়ে এই তরুণ রবিকর অমুসরণ করিয়া বাহিরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। স্বৰ্ণাভ সিকতার পটভূমিকায় কয়েকটি আন্দোলিত খর্জুরশীর্ষ চোখে পড়িল । উভয়ে গাত্ৰোখান করিলেন । সহসা উচণ্ড কহিলেন, ‘খের, একটি কথা আপনাকে বলিবার অভিলাষ করিয়াছি। নিৰ্ব্বাণকে উপসম্পদ দান করা কৰ্ত্তব্য ; তাহার বিংশ বর্ষ বয়ঃক্রম হইয়াছে।’ স্থবির উচণ্ডের মূখের পানে চাহিলেন, তার পর ধীরে ধীরে বলিলেন, “নিৰ্ব্বাণের যথার্থ বয়ঃক্রম বিংশ বর্ষ কি না ७श् चांप्रब्रां छांज्र नश् ि' উচণ্ডের কণ্ঠস্বরে ঈষৎ অধীরতা প্রকাশ পাইল, তিনি কহিলেন, ‘এস্থলে অনুমানই যথেষ্ট।’ স্থবির ক্ষণেক নীরব থাকিয়া বলিলেন, “নিৰ্ব্বাণ কি উপসম্পদ লইতে ইচ্ছুক ? উচও কহিলেন, “অবশু ইচ্ছুক। সঙ্ঘের উপাসকশপে সে এত কাল আমার নিকট শিক্ষা গ্রহণ করিয়াছে । সক্সেই সে পালিত ও বন্ধিত, সত্তৰ ভিন্ন তাহার স্থান কোথায় !" 象 স্থবির আবার রবিকরোজ্জল বহিঃপ্রকৃতির পানে *কাল চাহিয়া রছিলেন, শেষে বলিলেন, “ভাল, তাহাকে $38 উচও তীক্ষু চক্ষে স্থবিরের পানে চাহিলেন ; একবার যেন কিছু বলিতে উদ্যত হইলেন, কিন্তু পরক্ষণেই বাৰু সংযত করিয়া বলিলেন, ‘উত্তম । তাহীকে আপনার নিকট ভাকিয়া আনিতেছি । বলিয়া তিনি সঙ্ঘের বাহিরে চলিলেন । গত পঞ্চদশ বৎসরে বিহারের বহিরাকৃতির কোনও পরিবর্তন হয় নাই ; বালু-ঝটিকার পর যেমন অর্থপ্রোথিত ছিল তেমনই আছে। যে বিরাট বালুস্প তাহাকে আবৃত করিয়া ছিল তাহা হইতে মুক্ত করা দুই জন মানুষের সাধ্য নয়। উপরিতলের কয়েকটি প্রকোষ্ঠ কোনক্রমে পরিষ্কৃত হইয়াছিল, তাহাতেই ভিক্ষুদ্বয় শিশু দুইটিকে লইয়৷ আশ্রয় লইয়াছিলেন ; সঙ্ঘের নিম্নতল চিরতরে অবরুদ্ধ হইয়া গিয়াছিল। - সভ্য হইতে অবতরণ করিয়া উচণ্ড খর্জুরকুঞ্জের দিকে চলিলেন । খর্জুরকুঞ্জের ছায়ায় গুহানিঃস্থত প্রস্রবণের মন্দ স্রোত স্বচ্ছ ধারায় বহিয়া গিয়াছে। কাকচক্ষু জল, মাত্র বিভস্তিপ্রমাণ গভীর, নিয়ে বালুকার আকুঞ্চিত স্তর দেখা যাইতেছে। গুহামুখের সন্নিকটে নিৰ্ব্বাণ অধোমুখে শয়ান হইয়া মৃন্থপ্রবাহিত জলধারার প্রতি চাহিয়া ছিল, ছুই বাহুর উপর চিবুক গুস্ত করিয়া অন্তমনে কি জানি চিন্তা করিতেছিল । খর্জুরশাখার রন্থ,চু্যত এক ঝলক রৌদ্র তাহার পৃষ্ঠের উপর পড়িয়া তাহার স্বর্ণাভ দেহুবর্ণকে মাজিত ধাতুফলকের স্কায় উজ্জল করিয়া তুলিয়াছিল। ঋজু নাতিমাংসল দেহে কেবল একটি শুভ্র বহির্বাস, কটি হইতে জান্থ পৰ্যন্ত আবৃত ; উন্মুক্ত স্কন্ধ বাহ ও বক্ষ দৃঢ় পেশীবদ্ধ। মস্তকের কৃষ্ণ কেশ সপশিশুর মত মুখমণ্ডলকে বেষ্টন করিয়া আছে । ধৌবনের নবারুণ উষালোকে নিৰ্ব্বাণের দেহকান্তি দেখিয়া গ্ৰীক ভাস্করের রচিত ভাস্কর-দেবতার মূৰ্ত্তি মনে পড়ে। কিন্তু তাহার মুখে ভাস্কর-দেবতার বিজয়দৃপ্ত গৰ্ব্বের ব্যঞ্জনা নাই ; নবযৌবনের স্বাভাবিক পৌরুষের সৃহিত চিখ-শক্তির এক অপরূপ করুণ মাধুর্ঘ্য মিশিয়াছিল, গ্ৰীক ভাস্কর এই অপূৰ্ব্ব সংমিশ্রণ পরিকল্পনা করিতে পারিতেন না । প্রস্রবণের দিকে চাহিয়া নিৰ্ব্বাণ চিন্তা করিতেছিল । • কি গহন জ্বরবগাহ তাহার চিন্তা সে নিজেই জানে না । নিম্পলক দৃষ্টি অগভীর জলের শুরু ভেদ করিয়া নিয়ে, আরও নিমে, পৃথিবীর কেন্দ্রগুহায় যেখানে কেবল নিরাসক্ত প্রাণধর্থের ক্রিয় চলিতেছে—বোধ করি সেইখানে উপনীত হুইয়াছিল। বহিঃপ্রকৃতির প্রতি তাহার মন ছিল না।