মাঘ তরাইয়ের তরুণী 6షిని হইতে পারে। ভবিষ্যতে এমন গিরীর ঘরে কাজ করিতে পারা মুখের বিষয় হইবে মনে করিয়া হেলগার সত্যই জানন্দ হইয়াছে । এলবোকা-পরিবারের নেরবুদায় বেড়াইতে আসার সময়ট সকল দিক দিয়াই ভালভাবে কাটিয়াছে ; কিন্তু হেলগা বিশেষ কোন কারণে নিজের মনের কোন এক জায়গায় অস্বস্তিবোধ করিতেছিল। কারণটি এই, অতিথিরা ঘরে আসিয়া বসার পর হেলগা কফি-পাত্ৰ লইয়া সকলকেই পেয়াল করিয়া কফি দিয়া জাপ্যায়িত করিতেছিল। সে কফি-পাত্র হাতে অতিথিদের ঘরে ঢুকিলে পর অস্পষ্ট স্বরে হিলছরের মা গুডমুণ্ডের মা’র দিকে ঝুঁকিয়া চুপে চুপে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন ষে এই সে চোরাবালির মেয়ে কি না। গুডমুণ্ডের মা ক্রযুক্ত ঈজেবর্গ মাখা নাড়িয়া সম্মতিস্থচক উত্তর দিয়াছিলেন ; তখন ঘরের মধ্যে অঙ্গ কেহ তাহার সম্বন্ধে আরও কিছু জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, তবে হেলগা তাহা শুনিতে পায় নাই। মোট কথা এই যে, এমন মেয়েকে ঘরের কাজে রাখা হইয়াছে জানিয়া অতিথিরা বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছিলেন । এই ঘটনাটি হেলগাকে খুবই দুঃখ দিয়াছিল। কিন্তু সে এই বলিয়া নিজেকে সাত্বনা দিয়াছিল যে শুধু হিলছুরের ম-ই এই বিষয়ে আলোচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু श्लिष्ट्रव्र नरक्ष् । 粤 嶽 o বসন্তের প্রারম্ভে এক রবিবারে হেলগা ও গুড়মুও উপাসনালয় হইতে একত্রে বাড়ী ফিরিতেছিল। পাহাড়ের উপর অবস্থিত গির্জল হইতে নীচের রাস্তায় নামিয়া তাহারা অক্ষাগুজের সঙ্গে একই পথে চলিতেছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সকলই এক এক করিয়া যার যার বাড়ীর পথে চলিয়াছিল এবং শুধু হেলগা ও গুডমুও বরাবর একই ब्रांखांध्र झेिल । তখন গুণ্ডমুণ্ডের মনে পড়িল ষে চোরাবালির খামারে সেই সন্ধ্যার পর কখনও সে হেলগাকে এমন এক দেখে নাই। এখন সেই সজ্জাবেলার সমস্ত ঘটনার চিত্র তাহার চোখের সন্মুখে আবার ভাসিতে লাগিল। গত শীতকালে শুভমুণ্ডের মনে অতীতের ঘটনা অনেকবার জাগিয়াছে এবং সেই সব ৰখা মনে করিয়া সে এমন কোন স্থখ পাইত বাহ তাহার সমস্ত চিত্তকে আনন্দ্রে উদ্বেলিত করিয়া তুলিল। কোন কোন দিন এক কাজ করিবার সময় সে অতীতের সমস্ত ঘটনার চিত্রকে নিজের মনে ভাকিয়া জানিত ; সেই সাদা মেঘ, উজ্জল গন্ধের আলোতে উচু পাহাড়ের অন্ধকার বন, চাদের আলোয় পাহাড়ের পাদদেশ এবং সকলের শেষে এই তরুণী,—ষে আনন্দের আতিশধ্যে সজল নয়নে তাহার গলা জড়াইয়া ধরিয়াছিল। প্রত্যেকবারই যেন ঐ ঘটনার চিত্র বেশী স্বন্দর হইয়া ফুটিয়া উঠিত এবং প্রতিবারই ইহা বেশী করিয়া তাহার মনকে আলোড়িত করিত। গুডমুণ্ড যখন দেখিত হেলগা অস্থাগুদের স্তায় ঘরের কাজ লইয়া ব্যস্ত, তখন সে ষে সেই তরুণী, তাহা ভাবা গুডমুণ্ডের পক্ষে কঠিন হইত। গির্জা হইতে ফিরিবার পথে এখন সে হেলগাকে এক পাইয়াছে এবং এই ইচ্ছাটি তাহার মনে জাগন্ধক না হইয়া পারিল ন, যে, যেন অন্ততঃ মুহূর্ভের জন্য এই তরুণীকে সেই সন্ধ্যাকালের মত আবার কাছে পায় । পথে হাটতে হাটিতে হেলগা হিলছরের সম্বন্ধে কথা পাড়িল। এই পরগণায় হিলছরের স্থায় এমন বুদ্ধিমতী ও চমৎকার মেয়ে ষে খুব কম, এই বলিয়া সে তাহার প্রশংসা করিতেছিল, এবং এমন স্ত্রী ঘরে জাসিতেছে বলিয়া সে গুণ্ডমূওকে অভিনন্দ্বিত করিতেছিল। —“তঁহাকে বলিও যেন তিনি আমাকে নেরগুদা থাকিতে দেন—” সে বলিল, “এমন গিল্পীর কাজ করিতে *ाब्रिtण श्राभि वफ़हे इथौ श्द " হেলগার কথায় গুণ্ডমূও মুচকিয়া মুচকিয়া হাসিতেছিল এবং অতি সংক্ষেপে তাহার কথার উত্তর দিতেছিল,— যেন খুব মনোযোগের সহিত সে তাহার কথা শুনিতেছিল না। হিলছরকে হেলগার ভাল লাগিয়াছে এবং গুণ্ডমূও তাহাকে বউ করিয়া ঘরে আনিবে বলিয়া সে যে আনন্দিত, তাহা শুভমুণ্ডের ভালই লাগিয়াছে। গুণ্ডমূও এবার প্রশ্ন করিল—“এই শীতকালটা আমাদের বাড়ীতে তোমার ভালই কাটিয়াছে, তা নয় কি ?” —“তোমার কথা সত্য। ড়োমার মা এমতী ঈদেবর্গ ও বাড়ীর অন্যাস্ত সকলেই আমার প্রতি এত সদয় ব্যবহার করিয়াছেন যে, তাহা আমি বলিয়া বুঝাইতে পারিব না।”
