পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ বহু মৃত্যু (-8 సె প্রায় গুইয়ু পড়িতে হয়, বাশের নড়বড়ে পাটাতনের সঙ্কীর্ণ জায়গায় আড়ষ্ট হইয়া বসিতে হয়, সাজসজ্জা বা ছাদের বাহুল্য নাই—যেন রাজরাজ্যেশ্বরের দর্শনাকাজক্ষায় সমবেত গরিব ভিখারীর দল তীরের রোগঞ্জীর্ণ দুৰ্ব্বল চেহারাগুলির মধ্যে অলক রায়ও তেমনি দ্রষ্টব্য। তীরঙ্গপ্প হইতেই নৌক একটু বেশী দুলিয়া উঠিল, অলক রায় বসা অবস্থায় হেলিয়া পড়িতেছিলেন—কাঠের পাটাতন ধরিয়া সামলাইয়া লইলেন । তীরস্থ লোকগুলির মুখ ততক্ষণে কৌতুকে উজ্জল হইয়া উঠিয়াছে। যে-দৃগু এক জন উপভোগ করে অন্তের তাহাতে পীড়া জন্মায় ; একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস অলক রায়ের বুক ঠেলিয়া বাহির ट्ठ्ठल ! হায় রে কুড়ি বৎসর আগেকার অলক ! একটি লাফে নৌকা হইতে দশ হাত দূরে পড়িয়া যে একটুও টলিত ন', তাঁরলগ্ন নৌকা হইতে নামিবার মুখে তার সারা দেহে দারুণ অস্বস্তি, কপালে ঘৰ্ম্মবিন্দু ঝরিতেছে । নামিতেই হইবে, এতগুলি লোকের কৌতুক-উপভোগের বস্তু হইয়া উহাকে নামিতেই হইবে । অথচ বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে যদি কেহ প্রশ্ন করিত, পাচ মাইল সাতারে প্রথম হ’ল কে ? ফ্ল্যাট রেস, হাই বা লঙ জাম্পের শ্রেষ্ঠ গৌরবভাগী কোন ছেলেটি । সমস্বরে উত্তর উঠিত, সে অলক—অলক-আমাদের হরিপুরের অলক রায়। সেই হরিপুরের বিলে অলকের নৌকা লাগিয়াছে, সেই অলক আজ অলক রায়, অর্থে, মৰ্য্যাদা, বয়সে এবং দেহেও— সব দিক দিয়াই তিনি গুরুস্থানীয়। স্বতরাং পদমৰ্য্যাদার অনুযায়ী তার তাঁরাবতরণ ঘটিল। নিজের চেষ্টা, মাঝিদের চেষ্ট এবং তীরচারী দুই-এক জন সহাহভূতিসম্পন্ন প্রৌঢ়ের চেষ্টায় সত্যসত্যই তিনি নিৰ্ব্বিঘ্নে ভূমিস্পর্শ করিলেন। মাটিতে পা দিয়া একটু যেন হেলিমা পড়িতেছিলেন, পার্থস্থিত প্রৌঢ়ের কাধে হাত রাখিয়া একটু হাসিলেন। প্রৌঢ়ও হাসিয়া বলিল, “আপনি—আপনাকে আর চেনাই, ধায় না।’ অগক রায় মুখ ফিরাইয়া হাসির সঙ্গেই জবাব দিলেন, বয়সটা ত কম হ’ল না, আজ কুড়ি বছর গ্রাম-ছাড়া। কিন্তু না-চেনার প্রধানতম হেতু তার অসাধারণ দৈহিক পরিবর্তন সে-কথা প্রৌঢ় বা অলক রায় মনে মনে বুঝিলেও মুখে প্রকাশ করিলেন না। প্রৌঢ় একটু থামিয়া বলিলেন, ‘প্রায় স্থ-যুগ পরে আপনি...কিন্তু আমাকেও বোধ হয় fênts—” 'ন৷ ত " সবিস্ময়ে অলক রায় তাহার পানে চাহিলেন । বৰ্ত্তমানের ঘন কুয়াশার পর্দা ঠেলিয়া যদি বা একটু অতীতের ক্ষীণ রৌদ্ররেখা সেখানে দেখা যায় ! কিন্তু কুয়াশা গাঢ়–অলক রায় তীব্রপৃষ্টিতে চাহিয়াই রহিলেন । ” ‘আমি রমেশ । তথাপি অলক রায়ের বিস্ময় কাটিল না। প্রৌঢ় হাসিয়া বলিলেন, ‘মিত্রদের রমেশ । একসঙ্গে একজামিন ফেল ক’রে স্কুল ছাড়ি, একসঙ্গে—” একসঙ্গের অনেক স্মৃতি বাধভাঙা বস্তা-জলের মত অলক রায়ের মনের কিনারায় উত্তাল হইয়া উঠিল। তিনি আনন্দে চীৎকার করিয়া উঠিলেন, ‘তুমি রমেশ ! তুমি..• কি আশ্চৰ্য্য ! বিশ বছর বাদে।” বিশ বছর বাদে দেখা হওয়াটাই পরমাশ্চৰ্য্য । ‘তার পর, ভাল ত ?” প্রশ্নটা না-বক্তা ন-জিজ্ঞাসিত কাহারও ভাল লাগিল नीं । বিশ বৎসরের মধ্যে সামান্ত একখানি পত্রের দুটি ছত্রে ষে-জিজ্ঞাসার অবসর মিলে নাই, সহসা সাক্ষাতে সেই लिहेॉsॉब्र श्रt*ांख्न e aधांश्वशेन दजिब्राहे भान श्हेन । অথচ শিক্টাচার-রক্ষার ঐ একটি মাত্রই পন্থা এ-যাবৎ আবিষ্কৃত হইয়াছে । অলক রায় হাসিলেন, ‘এক রকম। তুমি কেমন আছ ? তোমার’—বলিয়া একটু ইতস্ততঃ করিলেন। ন-জানিয়া আরও বেশী দূর অগ্রসর হইতে পারেন কি না সেই दिक्षांच्च । & রমেশ হার্সির প্রত্যুত্তরে শুধু হাসিল এবং ঘাড় নাড়িয়া উত্তর সংক্ষেপ করিল। ততক্ষণে র্তাহারা পাকা রাস্তায় উঠিয়াছেন।