পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

億の9 রমেশ বলিল, ‘এসেছ যখন সবই টের পাবে। তোমার পরিবার, ছেলেমেয়ে—’ অলক রায় বলিলেন, ‘তারা কলকাতার জীব—পাড়াগাছের নামে মূছ যায়। তারা আসবে এই গায়ে ! আমি বলে কত কষ্টে—“ রমেশ বলিল, “তোমরা গা ছেড়েছ, গায়েরও দুর্দশার সীমা নেই।’ অলক রায় ধে-জিনিষ প্রত্যক্ষ করিতেছেন তাহার সম্বন্ধে সংযম-রক্ষাই উচিত মনে করিয়া অন্ত প্রশ্ন পাড়িলেন, "ভূপেশ কোথায় ! হীরু r বোলেদের ধীরাজ বেঁচে আছে ? নেই ? কলকাতায় থাকতেই ভুলু-ঠাকুর্দার মৃত্যুসংবাদ পাই । তার ছেলেরা বিষয়-আশয় দেখছে কেমন ? প্রশ্নবাণে রমেশ বিত্রত হইল না, মুখস্থ পড়ার মত গড় গড় করিয়া উত্তর দিয়া গেল। অলক রায় যেটুকু জানিতে চাহিয়াছিলেন, রমেশ তাহার চেয়ে জানাইল অনেক বেশী। অতিরঞ্জনের দোষ না-থাকিলেও রমেশ ষে বাগ বিস্তারে অপটু নহে সে-কথা সে ভাল করিয়াই জানাইয়া দিল । কথাশেষে সে হাসিতে হাসিতে বলিল, “সব কথাই জিজ্ঞাসা করলে—এক জনের কথা ছাড়া।” —‘কে এক জন P অলক রায় প্রশ্ন করিলেন । —মনে ক’রে দেখ। সকৌতুকে রমেশ হাসিতে লাগিল, অলক রায় বহুক্ষণ মাখা চুলকাইয়া, পায়চারি করিয়া, কাশিয়া এবং চক্ষু বুজিয়াও সেই এক জনকে স্মরণে আনিতে পারিলেন না । অবশেষে বোকার মত ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিলেন, ‘কে বল ত ? রমেশ হো হো করিয়া হাসিয়া বলিল, ‘অমলা গো,— অমলা। মনে নেই বল ?’ অলক রায়ের মুখে মৃদ্ধ হাতের মলিন জাভা ফুটিল। অমলাকে মনে নাই –অমলা ! অমলা ! অমলাকে কেন্দ্র করিয়া একদা জীবন-প্রভাতের প্রথম জালো খুটিয়াছিল। স্বপ্ন, ভালবাসা, বুদ্বুদ ধে-নামই দেওয়া ষাৰু না কেন, তরুণ মনের অতবড় সম্পদ জার নাই। কিন্তু অমলাকে 'তিনি সত্যই ভুলিয়াছেন। সে নাম विइङिग्न अज्रज अस्त्रकारद्र ठजाहेच्च नििष्ट्रारछ् । झु-श्रङ প্রবাসী సిలి$$ সাফল্যের মণিমুক্ত কুড়াইয়া জীবনের দেউল তাহার জ্যোতিৰ্ম্ময় হইয়াছে। কোথায় পল্লীপ্রাপ্তরে অখ্যাত জমল, কোথায় বা ধৌবনের খামখেয়ালীভরা দিন । ছেলেবেলায় কাদার পুতুল গড়িয়া পর মুহূৰ্ত্ত ভাঙিয়া ফেলার মত— এ-ও একটা বিলাস। বিলাস ছাড়া কি ? অমলা—অমলা ! আজ যদি সৌদামিনীর পরিবর্ভে অমল,—কিন্তু আমলার জগু ৰে কঠিন মূল্য র্তাহাকে দিতে হইত সারা জীবনে সেঋণের বোঝা বহিবার সামর্থ্য র্তাহার ছিল কি ? তাহ হইলে নদীপথ দিয়া বিলাস-বৈভবভরা ঐ নৌকা অখ্যাত পল্লীর ঘাটে আসিয়া ভিড়িত না। নৌকার পিছনে শহরের সম্পদও উকি মারিত না এবং শহরের মণিহৰ্ম্ম্যে যে বৈদ্যুতিক দীপ জলিতেছে এত দূর হইতে তাহার উজ্জল জ্যোতিও অলক রায়ের সমস্ত অঙ্গে মৰ্য্যাদার ভূষণ পরাইত ख्षलक-अभण, श्रणक-त्रमणां । কবিতার মিলে ও অনুপ্রাসে চমৎকারিত্ব আনিয়া দেয় । কিন্তু বিশ বৎসর আগেকার বাস্তব অলক রায়ের কানে আর একবার সে-দিনের কাহিনী পুনরুক্তি করিল— —“তোমরা কুলীন ওরা ভঙ্গ, বিবাহ হ’তে পারে না ।" —“আমি কৌলীন্যপ্রথা মানি না।’ —“তোমাদের খ্যাতি আছে,-বংশমর্য্যাদা আছে— —“মর্ধ্যাঙ্গ আমি চাই না।’ —‘জামাই হয়ে কি ময়লা বসবে ? —“যদি বলি ? —‘পৈতৃক সম্পত্তি ধা-কিছু আছে তা থেকে হবে বঞ্চিত। ভেবে দেখ, তখন ভিক্ষা ছাড়। জার কোন পথই থাকৃবে না।’ - —“বেশ ভিক্ষাই করব।” কিন্তু ভিক্ষণ তাহাকে করিতে হয় নাই। এক মাত্র পুত্রকে বিষয়সম্পত্তিতে বঞ্চিত করিবার অভিলাষ পিতারও ছিল না, কাজেই কিছু কৌশলের প্রয়োজন হইয়াছিল । পুত্রকে শহরবাসী করিয়া তিনি তাহার অন্তরনয়ন খুলিয়া দিলেন। চারি দিকে বৈভব আর বিলাস, দু-পাশে কৰ্ম্মব্যস্ত জনতা আর জু-চোখে অর্থসংগ্রহের নেশ, ছেড়া বিছানায় গিয়ে