戮 同同是 三才s不蛇總 রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমানের মিলন আমরা রাষ্ট্রনীতিক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমানের মিলন চাই। তাহার কারণ, এইরূপ মিলন হইলে স্বরাজ লাভ ও তদনন্তর স্বরাজ রক্ষা অপেক্ষাকৃত সহজ হয়, এবং মিলন না-থাকায় ঝগড়াবিবাদে যতটা সময় ও শক্তির অপব্যয় হয়, চিত্তবিক্ষেপ হয় ও দুঃখ-অশাস্তির উদ্ভব হয়, মিলন হইলে সেই সমুদয় নিবারিত হইতে পারে। এখানে ইহাও বলিয়া রাখা আবগুক, ধে, হিন্দুমুসলমানখ্রষ্টিয়ান প্রভৃতির সমবেত চেষ্টা ভিন্ন যে স্বরাজ লব্ধ হইতে পারে না, আমরা এরূপ মনে করি না । কেবল হিন্দুরা দি স্বরাজ লাভের চেষ্টা করেন এবং স্বরাজ লৰ হইলে অন্ত সকল ধর্শ্বের লোককেও সমভাবে স্বরাজের ফলভাগী করিতে সম্মত থাকেন, তাহা হইলেও স্বরাজ লব্ধ হইতে পারে —যদিও সমবেত চেষ্টা করিলে যত সহজে স্বরাজ লন্ধ হইবার সম্ভাবনা, এক এক সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র চেষ্টায় তত সহজে হইবে না। যদি মুসলমানেরা উক্ত রূপ স্বতন্ত্র চেষ্টা করেন ও অন্ত সকলকে সমভাবে স্বরাজের ফলভাগী করিতে রাজী থাকেন, তাহা হইলেও স্বরাজ লব্ধ হইতে পারে। কিন্তু যদি একটি সম্প্রদায়ের লোক স্বরাজলাভের চেষ্টা করেন এবং অস্কান্ত সম্প্রদায় সাক্ষাৎ কিংবা পরোক্ষ ভাবে তাহাতে বাধা দিয়া ব্রিটিশ রাজকেই দৃঢ়তর করিতে থাকেন, তাহা হইলে স্বরাজলাভ দুঃসাধ্য হইবে। আমাদের মতে তাহা দুঃসাধ্য হইবে বটে, কিন্তু অসাধ্য হইবে বলিতে পারি না । এ পর্যন্ত হিন্দুরাই সকল ভারতীয়দিগের জন্ত স্বরাজলাভে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক আগ্রহ, সাহস, স্বাৰ্থত্যাগ ও দুঃখসহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়াছেন। অন্তনিরপেক্ষ ভাবে, এমন কি অন্তেরা বাধা দিলেও, স্বরাজ লাভ করিবার সামর্থ্য র্তাহীদের আছে । মুসলমানদেরও ভাহা আছে কি না, তাহা তাহারা বলিতে পারিবেন। * হিন্দু-মুসলমানের মিলন চেষ্টা হিন্দু-মুসলমানের মিলনের চেষ্টা ইতিপূৰ্ব্বে অনেক বার হইয়াছে । এ পর্যন্ত কোন চেষ্টা সফল হয় নাই। বরং চেষ্টার আনুষঙ্গিক তর্কবিতর্কের ফলে ও শেষে ব্যর্থতার ফলে মনোমালিন্ত ও অসম্ভাব বৃদ্ধিই পাইয়াছে। সেই জন্ম, যদিও মিলনের কোন চেষ্টাই সফল হইবে না এ প্রকার ভবিষ্যদ্বাণী উচ্চারণ করিবার ক্ষমতা আমাদের নাই, তথাপি আমরা মনে করি, জোড়াতাড়া দিয়া মিলনের (অর্থাৎ বাহ মিলনের) চেষ্টা না করিয়া হিন্দু ও মুসলমান নিজ নিজ জ্ঞান বিশ্বাস অনুসারে নিজ নিজ উদ্ভাবিত উপায়ে স্বতন্ত্র স্বরাজলtভচেষ্টা করিলে ফল ভাল হইবে, এবং মিলনের চেষ্টা না করিলেও এইরূপ স্বতন্ত্র স্বরাজলাগুচেষ্টায় মিলনও ঘটিতে পারে । মিঃ জিন্না কি চান মিঃ মোহাম্মদ আলি জিন্নার সহিত আলোচনা করিয়া কংগ্রেসের সহিত মস্লেম লীগের কোন চুক্তি দ্বারা মিলন সাধিত হইতে পারে কি না, তাহার আলোচনা হইতেছে। সে বিষয়ে পরে কিছু লিখিব। মিঃ জিন্না কয়েক দিন পূৰ্ব্বে জব্বলপুরে এক বক্তৃতায় বলিয়াছেন, যে, তিনি হিন্দু ও মুসলমানের সাম্যের ভিত্তিতে উভয় সম্প্রদায়ের মিলনের সর্বসমূহের আলোচনা করিতে রাজী আছেন। এই সামোর অর্থ কি তিনি খুলিয়া বলেন নাই। ষে-প্রকার সাম্যে আমাদের সম্পূর্ণ সম্মতি আছে, তাহা বলিতেছি। ব্যবস্থাপক সভাসমূহের এবং মিউনিসিপালিটি আদির সভ্যনিৰ্ব্বাচনে ভোট দিতে স্বেরূপ যোগ্যতার প্রয়োজন, তাহ হিন্দু ও মুসলমানের পক্ষে সমান হইবে ; ব্যবস্থাপক সভা, ডিষ্ট্রিক্ট বোড মিউনিসিপালিটি প্রভৃতির সদস্য হইবার যোগ্যতা হিন্দু ও মুসলমানের পক্ষে সমান হইবে। অর্থাৎ হিন্দু বলিয়া বা মুসলমান বলিয়া কাহারও কম যোগ্যতা বা বেশী যোগ্যতা আবশুক হইবে না। হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী প্রতিনিধিপদপ্রাধীর ও মুসলমান-ধৰ্ম্মাবলম্বী
