পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Bó প্রৰণসী ১৩৪৪ গাড়ী হইতে নামিয়া বিশ্বনাথ দেখিল পঞ্চানন সাহা হস্তদন্ত হইয়া পিছনে আলিতেছে। বিশ্বনাথ বলিল-সাহ! কি খবর আবার ? পঞ্চানন নিকটে আসিয়া বলিল-আজ একবার সনঝে বেলাতে আসতে হবে দাদাবাবু। আমরা নতুন বই ধরেছি, একবার মোশানটোশানগুলা দেখিয়ে দেবেন। পঞ্চানন সাহ অবস্থাপন্ন সাহা-বংশের ছেলে, মদের দোকান আছে, তাহার উপর আবার এক যাত্রার দল খুলিয়া বসিয়াছে। ঐ দলে মধ্যে মধ্যে বিশ্বনাথকে মোশান-মাষ্টারী করিতে হয় । বিশ্বনাথ বলিল-আজ আর হয় না গরীব ভাই। আজ আবার অামাদের থিয়েটারের রিহারস্তাল আছে। অন্য দিন আসর বরং । * পঞ্চানন একটু আমতা আমতা করিয়া বলিল-আর একটা কথা বলছিলাম দাদাবাবু! হাসিয়া বিশ্বনাথ বলিল—আঁচছা ! বলে ফেল ! —আমাদের একটা পাট যদি আপনি ক’রে দিতেন— —ই! না, তা পারব না গরীব ভাই। —আমরা মোট পেনামী দিতাম ! কথাটা পঞ্চানন একটু দ্বিধাভয়েই বলিল। বিশ্বনাথ স্থির দৃষ্টিতে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল। তার পর বলিল – জান পঞ্চানন, আমাদের পূর্বপুরুষ একদিন রাজা ছিলেন । পঞ্চানন সস্কোচে এতটুকু হইয় গেল, সে মাথা ইেট कब्रिध्नीं मौद्रtद मैंॉफ़ॉईशृ| ब्रश्ञि । दिश्नां५8 अग्नि ¢कांन - কথা বলিল না, গাড়ীতে চড়িয়া সে বাড়ীর দিকে রওনা হইল। কিছু দূর গিয়াই কিন্তু সে আবার ফিরিল, পঞ্চাননের . কাছে আসিয়ু বলিল—মোশানটোশান যা দেখিয়ে দেবার আমি দেব, কাল পরশু যেদিন হোক—আমাকে খবর দিও । - - আবার সে গাড়ীটাকে ফিরাইয়া দ্রুততর বেগে বাড়ীর দিকে রওনা হইল। পঞ্চানন মুখ ভেঙচাইয়া' বলিল-রাজকোঙর আমার !" "ঘরে ভাত নাই ধরমের উপোস’ সেই বিত্তান্ত ! কোন কালে ৰি “ খেয়েছি হাত গুকে দেখ—তাই পাশেই রাস্তার ধারে আপন দোকানে হরিপদ দাড়াইয়াছিল, সে হাসিয়া বলিল—কি হ’ল সাহা-দাদা ? বংশখেটে কি বললেন ? পঞ্চানন কথাটা বলিবার জন্য হরিপদর দোকানে গিয়া উঠিল। বিশ্বনাথ যখন বাড়ী ফিরিল তখন বারট। বাজিয়া গিয়াছে । সমস্ত বাড়ীটা যেন থম্-থম্ করিতেছিল। মা দাওয়ার উপর একটা খুঁটির ধারে অত্যন্ত বিষন্ন ব্যথাতুর মুখে বসিয়া আছেন। তাহার স্ত্রী বোধ হয় ঘরের ভিতর, কিন্তু কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। বিশ্বনাথের তিন বছরের মেয়ে বাণী বারান্দার এক প্রাস্তে তাহার খেলাঘরে বসিয়া আছে । সেও কেমন যেন অত্যন্ত শান্ত, মুখে তাহার আবোল-তাবোল কথার লহরী নাই, হাত প। নাড়িয়া অত্যন্ত চঞ্চল ভাবে সে তাহার গৃহকৰ্ম্মে ব্যস্ত নয়, মোট কথা জীবনের উচ্ছ্বাস যেন অকস্মাং মন্দীভূত হইয়া পড়িয়াছে । را গাড়ীট এক পাশে রাখিয়ু দিয়া বিশ্বনাথ বাস্থ প্রসারিত করিয়া ডাকিল-বাণীমা, রাণীমা, মণিমা, ধনিম, চাদিম, রাঙিমা, লালিম, নীলিমা, মহিম, গরিমা, সুরমা, স্বৰ্ণ, মালীম, পিসীমা এস মা, হাস মা ! বিশ্বনাথের এটুকু নিজের রচনা—মেয়েকে আদর করিয়া সে এমন অনেক ছড়া রচনা করে । বাণী খেলা ছাড়িয়া উঠিল, কিন্তু আজ আর ছুটিয়া আসিয়া বাপের কোলে ঝাপাইয়া পড়িল না । সে ধীরে ধীরে কাছে আসিয়া বলিল–গয়লাকে তুমি মেরো বাবা ! বিশ্বনাথ বলিল—ষ্ঠাtছা ! কিন্তু কেন বলত ? সে কি তোমার শ্বশুর হতে চায় না কি ? , মা এতক্ষণে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন-পায়ে তার জুতো ছিল না বাবা, তাই হাভেনাতে জুতো মারতে বাকী রেখে গেছে। নইলে মুখে মা আর বলিতে পারিলেন না, ঝর ঝর করিয়া কাদিয়া ফেলিলেন । ঘরের ভিতর হইতে এতক্ষণে স্ত্রীর সাড়া পাওয়া গেল,— তার আর দোষ কি বলুন, পাচ মাস সে ধারে দুধ দিয়ে थुद्ध्रिु ।