পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন asas=== খানদুৰ্ব্বা লইয়া অগ্রসর হইল। তখন তাহার মনে আর কোন জড়ত, কোন বিষাদ নাই । সুখদামুনারী ইহারই মধ্যে দুই-তিন বার অঞ্জলির পানে কঠোর নয়নে চাহিলেন । অঞ্জলি চক্ষু ফিরাইয়া লইল । কিন্তু মলয়াকে অগ্রসর হইতে দেখিয়া মায়ের মন দুড়দুড় করিয়া উঠিল । অজানিতে সে আবার সুখদাসুন্দরীর পানে চাহিল। মুখদাসুন্দরীর চক্ষে তখন অগ্নির তেজ ! মন্ত্রচালিতের ন্তায় অঞ্জলি মলয়ার পিছনে গিয়া দাড়াইল, চকিতে মলয়ার ধানদূৰ্ব্বসমেত হাতখানি ধরিয়া সে বলিয়া ফেলিল, “তোমায় নাকি প্রথম আশীৰ্ব্বাদ করতে নেই । আগে আর সবার হোক ৷” শ্ৰীশ স্ত্রীর দিকে চাহিয়াই ছিলেন । মলয়া তাড়াতাড়ি হাতের খানদূৰ্ব্বাগুলি থালার উপর ফেলিয়াই চাহিয়া দেখিল স্বামীর উদাসীন দৃষ্টি তাহার প্রতি নিবদ্ধ। ক্ষিপ্ৰ গতিতে সে উপরে চলিয়া আসিল । উপরে তখন কেহ নাই, উৎসবমুখর অট্টালিকার সব কয়টি প্রাণী তখন নবকুমারের আশীৰ্ব্বাদ-লগ্নকে কেন্দ্র নানা কথা శ్రీNరిNరి করিয়া আছে। শূন্ত খাচাটা ছলিতেছে, কলরব ভাসিয়া আসিতেছে । আজ মলয়ার বুকটা যেন বড় বেশী খালি খালি বোধ হইতে লাগিল। ঘরের মধ্যে গিয়া বিছানায় উপুড় হইয়া সে শিশুর মত কাদিতে লাগিল, আর বলিতে লাগিল, “ভগবান, সস্তান না দিয়ে আমায় এমন ক’রে রেখেছ যে যেখানেই যাই সেখানেই একটা অমঙ্গলের হাওয়া স্বাক্ট করি। আমার নিশ্বাস লোকের বিষ,—আমার দৃষ্টি অমঙ্গলকে টেনে আনে। ভিখারী ক’রেই যদি পাঠালে, হৃদয়ে এত লোভ দিলে কেন ?” সন্তান নাই বলিয়া আজ মলয়ার যত বড় ব্যথা বাজিল, তত বড় ব্যথা জীবনে সে আর কোন দিন পায় নাই। সে খোকার মাথায় দিবার ছোট বালিশটা প্রাণপণে বুকে চাপিয়া পরিপূর্ণ মধ্যাহ্নে সেই এক ঘরে পড়িয়া রহিল । আর নীচের তলা হইতে আনন্দোৎসবের বিচিত্র কাকলী, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ছুটাছুটির কলরব, মলের ঝুম্ ঝুম্ শব্দ ভাসিয়া আসিতেছিল। মলয়ার সেদিকে ভ্ৰক্ষেপও ছিল না । নানা কথা শ্ৰীবিধুশেখর ভট্টাচার্য

  • বাঙালীদের মধ্যে আজকাল কেহ কেহ নিজের নামের পূর্বে শ্ৰী লিখিতেছেন না । ইহা উচিত কি নয়, বা ইহার অহকুলে বা প্রতিকুলে যুক্তি কী, একথা এখানে আলোচ্য নহে। আমার কথা হইতেছে যাহারা নামের পূর্বে নিজে ই লেখেন না তাহাদের যুক্তি বুঝিতে পারি, ঐ শব্দের অর্থ বিচার করিলে জানা যায় তাহা শোভন হয় না। নিজে নিজের নামের সঙ্গে কেহ বাৰু শৰ লেখে না। কিন্তু অন্ত ব্যক্তি অন্তের নামের পূর্বে ঐ লিখিবেন না

8 س:۹ কেন ? ইহা না করাই অশোভন । ইহা এ দেশের শিষ্টাচার। দেশাস্তরেও এরূপ আছে। নামের পূর্বে একটা উপপদ দিতে হয়। শ্ৰীবৰ্জনকারীদের মধ্যে পূজ্যপাদ গুরুদেব ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় অন্যতম। র্তাহার সঙ্গে আমার একাধিক বার আলোচনা হইয়াছে । তিনি মুস্পষ্ট ভাবে বলিয়াছেন, অন্তে যদি তাহার নামে ঐ লেখেন তো তাহাতে র্তাহার কোন আপত্তির কারণ নাই, থাকিতেও পারে না, উহা করাই উচিত। কিন্তু দেখিতে পাই