পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(ՆԴՅ প্রবাসী లg8 গুণ্ডমুণ্ডকে ডাকিলেন। গাড়ীতে বসিয়া শুভমুণ্ড লক্ষ্য করিল যে গাড়ীটাকে সযত্নে সুন্দর করিয়া পরিষ্কার করা হইয়াছে। সে নিজে যেমন করিয়া গাড়ী-ঘোড়া চকুচকে করিয় রাথিত, ঠিক তেমনই ভাবেই এগুলিকে উজ্জল করা হইয়াছে। তার পর তাহার চোখে পড়িল কেমন তকতকে করিয়া উঠানটাকে সাজান হইয়াছে, আঙ্গিনার বাহিরের দরজার স্থই ধারে ও পথের উপর মাত্র কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে নূতন বালি ছড়াম হইয়াছে। উঠানের কোণ হইতে অনেক দিনের পুরাতন জিনিষপত্র ও কাঠের গাদ সরাইয়া ফেলা টইয়াছে । দুইটি পূর্ণ বার্চ-গাছ কাটিয়া আনিয়া গেটের দুই ধারে মাঙ্গলিক চিহ্নস্বরূপ বসান হইয়াছে ; তাহার উপর নিশান উড়িতেছে, নিশানের মাঝখানে ছোট ছোট জংলি ফুলের মুকুট। ঘরের বাহিরে প্রত্যেকটি জানালার চারি দিক কচি সবুজ পাতা দিয়া সাজান হইয়াছে। শুভমুণ্ড এই সব আড়ম্বর দেখিয়া আবেগে প্রায় কাদিয়া ফেলিয়াছিল । তাহার পিতা গাড়ী ইঞ্চিাইতে যাইবেন এমন সময় গুডমুও পিতার হাত টানিয়া জোরে করমর্দন করিল। তাহার ভাবথান এই, ধেন সে বাবার কাছেই থাকিতে চায় । পিতা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার কি কিছু চাই ?” গুডমুণ্ড উত্তর দিল, “না, কিছুই না, এখন রওনা হওয়াই ভাল ।” বেশী দুর যাইতে-ন-ধাইতেই গুভমুণ্ডের আর এক জনের নিকট বিদায়ু লইবার প্রয়োজন হইল । চোরাবালির তরুণী হেলগা বাড়ী হইতে বড় রাস্তার মুখে আসিয়া দাড়াইয়াছিল । গুড়মুণ্ডের বাবা গাড়ী চালাইতেছিলেন, হেলগাকে দেখিয়া তিনি গাড়ী থামাইলেন। “আমি আপনাদের জন্তু অপেক্ষা করিতেছিলাম । আজ এই শুভদিনে আমি গুণ্ডমুণ্ডকে আমার শুভেচ্ছা জানাইতে চাই ।” গুড়মুও গাড়ী হইতে ঝুঁকিয়া হাত বাড়াইয়া হেলগার করমর্দন করিল। তাহার মনে হইল, হেলগা রোগ হইয়। গিয়াছে ! হেলগার চোখ দুটি লাল, নিশ্চয়ই সে নেরবুদার আকর্ষণে রাতের পর রাত কাদিয়া কাটাইয়াছে । কিন্তু এখন নিজেকে মুখ বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতেছিল। তাহার অধরে মৃদ্ধ হাসির রেখা। গুডমুণ্ড আবার আবেগে উচ্ছ্বাসিত হইয়া উঠিল, কিন্তু মুখ দিয়া তাহার কোন কথাই বাহির হইল না । তাহার পিতা, ধিনি বিন! প্রয়োজনে কোন সময়েই কথা বলিতেন না, তিনিও এইবার বাক্যালাপ আরম্ভ করিলেন । —“আমার বিশ্বাস, তোমার শুভকামনা শুভমুণ্ডকে সকলের চেয়ে বেশী আনন্দ দিতেছে।” —“হ্যা বাবা, তোমার ধারণ সত্য ।" গুডমুণ্ড এই বলিয়া থামিয়া গেল। তার পর সকলেই হাত নাড়িয়া পরস্পরের নিকট বিদায় লইলেন, তাহার পিতা আবার গাড়ী ইাকাইলেন। গুডমুণ্ড হেল্গার দিকে দৃষ্টি রাখিয়া পাশ ফিরিয়া বসিল । হেলগা যখন গাছের আড়ালে অদৃপ্ত হইয়া গেল, তখন গুম্ভমুণ্ড পামের উপরের কম্বল সরাইয়া হঠাৎ নড়িয়া উঠিল—যেন সে গাড়ী হইতে লাফ দিয়া নামিয়া যাইতে চায় । তাহার বাবা জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি কি হেলগার সঙ্গে আরও কোন কথা বলিতে চাও ?” উত্তর আসিল, “না, মোটেই না।” এই বলিয়া সে আবার সোজা হইয়া বসিল । তাহারী কিছু দূর চলিয়া আসিয়াছে। তাহার বাব অতি ধীরে গাড়ী চালাইতেছিলেন, ছেলের সঙ্গে যাইতে যেন তার খুবই ভাল লাগিতেছিল, তাই তিনি গাড়ী দ্রুতবেগে চালাইতে মোটেই ব্যস্ত ছিলেন না। হঠাৎ গুডমুণ্ড তাহার পিতার স্কন্ধে মাথা রাখিয়া চীৎকার করিয়া কাদিয়া উঠিল । “কি হইয়াছে”—জিজ্ঞাসা করিয়া তিনি এত জোরে লাগাম টানিলেন যে ঘোড়াও হঠাৎ একেবারে খামিয়া গেল । “তোমরা সকলেই আমাকে ভালবাস কিন্তু আমি মোটেই তার উপযুক্ত নই।” “তুমি ত কোনদিন কোন মন্দ কাজ কর নাই। তাই নয় কি ?” “বাবা, আমি মানুষ খুন করিয়াছি।” তাহার বাবা অতি কষ্টে দীর্ঘনিশ্বাস গ্রহণ করিলেন । এ যেন কোন গুরুভার-লাঘবের শ্বাস গ্রহণ ৷ গুডমুও আশ্চর্ধ্যান্বিত হইয়া তাহার দিকে মাথা তুলিয়া চাহিল । তাহার পিত! আবার ঘোড় ইকাইয় শাস্ত স্বরে বলিলেন, "छूमि ८ष निछ श्रडहे इंश वणिरख्छ, cनछछ आभि श्री " श्रांछ