পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন দেখেছে, ম-মণি পাথরের মূৰ্ত্তির মত বসেই আছে। মা-মণির চোখও যেন পাথরের। কিছু বোঝা যায় না, কিন্তু কি ভয়ানক ধেন কি ! বড়মামা রোজ আসেন। গুষ্কে পরাণবাবু প্রকাও ভূড়িটা দোলাতে দোলাতে র্তার সঙ্গে আসেন। টাটু শুনেছে, ওঁকে নাকি বলে টুৰ্ণীবাবু। টুৰ্ণীবাবু নাকি মানুষের গলা কাটে । পুলিসেও নাকি ওকে ধরতে পারে না । শোনা গেছে বড়মামা ব্যারিষ্টার । ব্যারিষ্টার কি ? খানসাম সেদিন দাইকে বলছিল, টুণাঁ-ব্যারিষ্টারে ভিটেয় ঘুঘু চরায়। ঘুঘু ছোট ছোট পাখী, টাটু তা জানে। সে কিন্তু কখনও ঘুঘু দেখে নি। বড় হ'লে ব্যারিষ্টার হয়ে সে অনেক ঘুঘু পুঘবে চরাবে। আচ্ছ ঘুঘু চরায় কেমন করে । ছাগল চরায়, গরু চরায়, কিন্তু ঘুঘু চরায় কেমন ক’রে । ঘুঘুদের কি চার পা, তারা কি উড়তে পারে না ? ওরা এলেই মা-মণির সঙ্গে কি-সব খুব দরকারী কথা হয়। তার ত্রিসীমানায় টাটুর কিছুতেই যেতে নেই। তাই ত টাটু পাশের ঘরে পদার ওপারে দাড়িয়ে কি হয় দেখতে গেছে। একটুও বোঝা যায় না, অর্ধেক আবার ইংরিজ। টাটু ठ इं९ब्रिसौ छांटन, किरू ७ ८म ट्रे९ब्रिसौ नञ्च । बांरणांe ड বোঝা যায় না । ভোরের ফুলের মত মা-মণির মুখ যেন আরও শুকিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রথম দিন রাত্তির বেলা, তাকে বুকে পুরে মীমণির কি কাপ্পা। তারও খুব কাল্লা পেয়েছিল। তার পর মা-মণির সঙ্গে বুঝি আর একটাও কথা হয় নি, আর দেখাই হয় নি। মা-মণি রোজ রোজ কি স্বম্বর কাপড় পরত, এ-কদিন কি ষ-ত প’রে আছে ; কি উস্কোখুস্কো চেহারা, এক দিনও বোধ হয় নায় নি। মা-মণির কাছে বাবার কথা বলতে টাটু ভিন চার বার গেছে। মা-মণি কেমন শক্ত করে চাইতে পারে, এখন এমন শক্ত করে চায় । মনে হয় ও কথা কিছুতেই বলতে দেবে না। নিজের ঘরেই ত দিন-রাত বসে থাকে। ওখানে ঢুকতেই পারা যায় না। খুব মনে জোর করে দুপুর বেলা সে যখন পা টিপে টিপে ও ঘরে যাচ্ছিল, দেখলে মা-মণি তেমনি শক্ত হয়ে চোখ বুজে ৰ’লে আছে, হঠাৎ বলে উঠল—ও ভগবান, ভগবান মা-মণির রাগ লে দেখেছে, শুধু গুৰু նrէա-3 օ বালক বীরের বেশে (ՆԵՎ9 ভয়ানক রেগে বাবাকে যখন বকেছে, সে তা দেখেছে। এ কিন্তু তার চেয়ে অনেক অনেক ভীষণ । তখন ও-ঘরে ঢুকতে কিছুতে তার সাহস হয় নি । টাটু আজ কিন্তু আর কিছুতেই সইতে পারলে না। দেখলে কোথাও কেউ নেই। রুদ্ধ আত্মা যেন নিশ্বাস ফেলে বাচল—বাব, বাবা । ‘ম-মণি', একটু চুপ করে থেকে টাটু বললে, একটা কথার মানে বলবে ? - কি কথা ? বলবার হ’লে বলব । টাটুর মনে হ’ল এ ত মা-মণি কথা কইছে না। —“একমাত্র সস্তানের হেপাজতের স্বত্ব, ত•••ত••• তত্ত্বাবধানের অধিকার’, মানে কি ? হেপাজত—হাজত মানে ত পুলিসে ধরা, ঐ স্বত্ব—ত...তত্ত্বটা আমি সাঁটতে ঠাওরাতে পারছি না। —খোকা–টাটু নামটা বাবার আদরের বলে মা যেন ঐ নামটা নিতে চায় না—ঐ সার্টতে ঠাওরাতে বলতে নেই। - ঘাড় একটু বেঁকিয়ে, যেন লড়াই করবে গে ধরে টাটু বললে—কেন, বাবা ত বলে । যত বড় দৈত্যের মৃত বড় হাতেই মুখ চাপা দিক, ‘বাব। এই শব্দটি বলবার জন্তু টাটু আজ মরে যাচ্ছিল । বাবা ত বলে—কেটে পড়। ঘাড় আর একটু বেঁকিয়ে নিজের অল্প-রাভ, রঙের জুতোর দিকে চোখ রেখে যেন এবার স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা করলে—আমি যখন বড় হব, সব বাবার মত হব । --খোকা--- । গলার স্বর ষেন বড় একটা কাচের মাসকে একখানা ধারাল ছুরি দিয়ে ঘা মারলে। এদিকে চাও। টাটুর কেমন একটু ভয়, খুব লঙ্গ করতে লাগল। —আমার দিকে চাও । টাটু যতই উচু ক'রে চোখ তুলুক, মার চিবুকের ওপরের দিকে চাইতে পারলে না । তোমার কথার মানে আমি বলছি শো-আমার আর তোমার বাবার একমাত্র ছেলে তুমি । তোমার বাবা ছেলে মানুষ করবার যোগ্য নয় ; ’ এখন থেকে তুমি শুধু আমার হেপাজতে থাকবে। - তুমি ছাড়া আর আমার