পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అbూ8 প্রবাসী s*8窓 ছেলেমেয়ে কেউ নেই। একটু থেমে বললেন—তুমি শুধু মার খোকা। কথার শেষের দিকে পুরনো মা-মণির গলা যেন একটু পাওয়া গেল । পাতলা ভ্র একটু কুঁচকে একটু যেন অবাক হয়ে টাটু বললে—হেপাজত ! কিন্তু মেয়ের। ত পুলিস হ'তে পারে না। একটু পাতলা উপ-হাসের রেখা ঠোঁটে দেখা लिएल ! --ই্যা, পারে। মেয়ের সবচেয়ে ভাল গোয়েন্ধ-পুলিস হতে পারে। বলতে বলতে চোখে যেন এক ঝলক আগুন দেখা গেল। কুন্তী আমার গোয়েন্দা হয়ে খুব কাজ করেছে । তোমার বাবার • বলতে বলতে থেমে গেলেন । দু-জনেই কিছুক্ষণ কোন কথা কইতে পারল না । মা খোকার দিকে চেয়ে তাকে ছাড়িয়ে দূরে যেন চেয়ে यॉरछन । টাটু মার চিবুকের দিকে চেয়েই বললে—আর একটা কথা বলব ? --বল । কেমন যেন মরিয়ার মত হয়ে বললে—আমি মার খোকা ? মা কিছু বললেন না । টাটুর ঠোট কাপছিল, নিজের বুকের মধ্যের টিপটিপ, শৰ সে গুনতে পাচ্ছিল, শরীর এমন কঁপিছিল ষে মনে হচ্ছিল, হয়ত পড়ে যাবে-আমি তোমার খোকা, কিন্তু বাবার টাটু, বাবারও খোকা। বাবাকে এনে দাও। বাবা কোথা ? —আমি জানি না। কথা ত নয়, টাটু যেন আগুনের ভিতর দিয়ে হেঁটে চলেছে —ষাকে, তোমার আমার চেয়ে তোমার বাবার ভাল লাগে তার কাছে তিনি আছেন । আমরাও তার কেউ নই, সেও আমাদের কেউ নয়। —সেও আমাদের কেউ নয়। মায়ের কথার শেষ কথাকয়টি টাটু উচ্চারণ করলে। তার পরই উচ্ছ্বাসে যেন সে ভেঙে পড়ল—বাবা, কেমন ক'রে কেউ আমাদের নয় । আমার ত বাবা । বাবা । মা মুখটা কেমন ঘুরিত্বে নিলেন। একটু পরেই চেচিয়ে छांकरणन-प्रांश्, cबब्बांब्रf । - স্বাক্ট বেয়ারা ডাকার মাঞ্চন টাটুকে ধরে নিয়ে যাওয়া। সোজা হয়ে দাড়িয়ে, এবার সোজা মা’র মুখের দিকে চেয়ে টাটু বললে—ডাকতে হবে না, আমি নিজে যাচ্ছি। ঘর থেকে বেরিয়ে চলে এসে দাড়াল হলে। ঠিক সামনেই বাবার একখানি ছবি । দার্জিলিঙে কোন প্রসিদ্ধ শিল্পীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় ঘটে, তার নিদর্শন। বাবার ডান পাশে একটা প্রকাও কাল ঘোড়া। ঘোড়াটা চলবার জন্তে যেন একটু অধৈৰ্য হয়েছে। আঁটপাট ঘোড়ায় চড়ার পোষাকপর দেহধষ্টি ছন্দাবনমিত, হাতে টুপী, একটু ঝুকে ক’কে যেন অভিবাদন করছেন, বাতাসে মাথার লম্বা কোকড়া চুল একটু অবিন্যস্ত, অদৃশু লোকটির প্রতি বাবার হাসি, সে হাসি ঠিক যেন টাটুর ওপর এসে পড়েছে। টাটুর তখন বড় বড় নিশ্বাস পড়ছে । হলের সামনে গাড়ী দাড়াবার জায়গায় শোফার বাস্থদেব টাটুর আয়াকে বলছিল—মেয়ে জাতটার ধৰ্ম্মই এই, মেযেমানুষের মুখ সইতে পারে না। কুন্তী মাগীটা কি পাঞ্জী—থাপরে বাপ ! আমিও বলছি—দেখে ও মাগীর কপালে অনেক দুঃখ আছে। অায়া কিছু বললে কি না বোঝা গেল না, কিন্তু খুব ঘাড় নেড়ে সায় দিল দেখা গেল । হলে আলো নেই। সন্ধ্যার অন্ধকার হয়ে আসছে ; ঝুরঝুর করে নতুন শীতের মৃদ্ধ বৃষ্টি হচ্ছে ; মলিন কুয়াশা কোথা থেকে নেমে আসছে। হলের বাইরের দিকের কাচের দরজাটা খানিকটা ফাক করা রয়েছে। দরজা দিয়ে ঢুকলেই ডান পাশে টাটুর বাবার ছবি। তার সামনে দাড়িয়ে টাটু ওদের কথা শুনতে পাচ্ছিল। ওরা ওখান থেকে টাটুকে দেখতে পাবে না। ওদের কথায়, টাটুর একটুও মন ছিল না, কিন্তু বাধার কথা উঠতেই সে দিকে মন গেল। বাস্থদেব বলেই যাচ্ছে— সাহেবের কন্থরট কি ? বিবির মেজাজ চিরকালটাই ঐ এক রকম। অমন হ’লে অনেক ঘরে খুনোখুনি হয়ে যায়। তার ওপর আবার সাহেব বাইস্কোপের ছবি তৈরির ব্যবসা আরম্ভ করলে। গোড়ায় বিবির ছিল ঐ বুদ্ধি—তাত সবাই জানে। কিন্তু, এতেই বিবির মেজাজ একেবারে বেগড়াল। এমন রাজার মত পয়সা,