পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీSలి অবশেষে স্বামী-স্ত্রী অগ্নিকে প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করিয়া বাসর-ঘরে প্রবেশ করিলেন। দেবতার নামে স্বতের গণ্ডুৰ করিয়া ধনপতি ভোজনে বসিলেন । পিঠা, মিষ্টায় আর ক্ষীরে ভোজন সারির দুই জনে কুঙ্কম-শয্যায় শয়ন করিলেন। চারি দিকে ভিড় জমাইল বণিক-রমণীগণ। তাহাদের পরিহাসের জালায় সাধু উঠিল অতিষ্ঠ হইয়। রজনী প্রভাত হইলে রমণীগণ শয্যা-তোলানীতে পঞ্চাশ কাহন কড়ি পাইল । তার পর সকলকে বিনয়-বচনে তুষ্ট করিয়া ধনপতি বিদায় লইলেন। এখনকার মত তখনও অস্তঃসত্ত্বা রমণীদের নানা দ্রব্য খাইবার সাধ হইত। স্বপ্রসবের জন্য গর্ভিণীর জলপড়া বা ঔষধ সেবন করিত। তাহারা স্বামীকে বশে আনিবার জন্তও নানারূপ মহাস্ত্র প্রয়োগ করিত। ঔষধপ্রবন্ধে সেই সব ঔষধের বিচিত্র বিবরণ পাওয়া যায়। এই ঔষধসংগ্রহের কথা মনে করিলেও ভয় হয়। আদেশ পূড়াতী গাছ হাইহামলাতি, আকুল কুণ্ডল করি আন মধ্যরাতি, ইহার ছামণী যোগে বশ হয় পতি । হাল ফ্যাশানে স্বামীকে বশে আনিবার ঘে মন্ত্র আধুনিকারী সচরাচর ব্যবহার করিয়া থাকেন, তাহাতে আর বাহাই থাকুক, এমনতর উদ্ভট রুচি কখনও প্রশ্রয় পায় না। এই সম্পর্কে আর একটি বিষয় লক্ষ্য করিবার আছে। তাহ স্বামীর উপর এক-অধিকার বিস্তার করিবার প্রলোভন । সপীকে স্বামীর চক্ষুশূল করিয়া নিজে স্বামীর প্রিয়পাত্রী হুইবার জন্য স্ত্রীলোকেরা ঔষধ সাধিত । কালকেতুর উপাখ্যানেও আমরা দেখিতে পাই, কবি চণ্ডীকে সপত্নীর ছদ্মবেশে সাজাইয়া ফুল্পরার মনে কেমন সংশয়ের ভাব জাগাইয়া তুলিয়াছেন। আনিলা তোমার স্বামী ৰান্ধি নিজ গুণে এই সামান্ত কথা কয়টি ফুল্পরার সরল প্রাণে কত বড় সন্দেহের রেখাপাত করিয়া দিল । কোন স্ত্রীলোকের অপবাদ রটিলে স্বামীকে ভজষ্ঠ নিগ্ৰহ ভোগ করতে হইত । - বরযাত্রী বিবাহের কথা বলিতে গিয়া বরযাত্রীদের কথা না বলিলে छांशंरबग्न अंडि अछांब कब्र! श्ब्र । विप्लवङ* डर्षनकांब्र প্রবাসী 。N888 দিনের বরযাত্রীরা এখনকার মত অনাবগুক বোঝা বলিঃ গণ্য হইতেন না। তাহাদিগকে রীতিমত সম্মানের সহিত ভোজ্য ও উপহার দিতে হইত। বরপক্ষের কাছেও বরযাত্রীদের এই দাবী ছিল। এই গেল বিবাহের বিবরণ । ইহার পরেই “মায়ের কোল আলো করে খোকার কচি মুখ ।” কিছু দিন পরে গণক আসিয়া খোকার নাম রাখিয়া যায় । তাই “গণক আনীঞ নাম খুইল কালকেতু।” তখন ছোট ছোট ছেলেদের ঘুম পাড়াইবার জন্ত “ধূমপাড়ানী গানে”র প্রচলন ছিল। তখনও আমাদের দেশে স্কুল, কলেজের প্রচলন হয় নাই ; টোল ছিল, টোলেই পণ্ডিতের কাছে থাকিয়া ছেলেরা পাঠাভ্যাস করিত। শ্রাদ্ধাদি বিষয়ক কথা সেকালে শ্ৰাদ্ধাদি বিষয়েও অনেক বিধি-নিষেধ মানিয়া চলিতে হইত। পিতৃ-বিয়োগে অশৌচ হইত এক বৎসর। বৎসরের শেষে সপিণ্ডন শ্ৰাদ্ধ করিয়া তবে অশৌচ ভদ করিতে হইত। এই সকল বিরাট কাজকর্শ্বে জাতি লোকদের মালাচান দিয়া সমাদর দেখাইতে হইত। কুলে শীলে যিনি শ্রেষ্ঠ, তিনিই এই মালাচন্দন পাইতেন । এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্ত অনেকেই চেষ্টা করিতেন। তাই তুমুল বাদবিতও বাধিয়া যাইক । তখন ভোট দেশের কম্বলের খুব আদর ছিল। পাদ্য, অর্ঘ্য, মধুপৰ্ক, আসন ও ভোট-কম্বল দিয়া অতিথিকে সম্বর্ধনা করিবার প্রখ ছিল । রাজদর্শনে গেলে ভেট লইয়া যাইতে হইত। ছুই সখীতে বা বন্ধুর সহিত বন্ধুর দেখা হইলে পরস্পর কোলাকুলি করিত। আজকাল আমরা করি প্রীতি-নমস্কার । অকুলীনের বাড়ী গেলে কুলীনের রাধিয়া খাইত। বর্তমানে এই প্রথা কচিৎ দেখা যায়। রন্ধনে পটু হওয়া তখনকার কালের মেয়েদের কাছে ছিল গৌরবের বিষয় । কারণ বরপক্ষ তখন এইটির উপরই বেশী জোর দিত। ভাল রাধিতে না পারিলে নিন্দার কথা ছিল। আজকাল বরপক্ষ চাং মেটে, লেখাপড়া নৃত্যগীত জানে কি না, তাই আধুনিকাদের লক্ষ্য রান্নাঘর হইতে সীতালয়ের দিকে ফিরিয়াছে। ওঁখনকার দিনের মেয়েরা বড় বেশ ঘরের বাহির হইত না। কিন্তু বেল পড়িয়া আসিলে জল