পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՊՅՋ প্রবাসী SN983 হয়। পালেমেণ্টকে ব্যবস্থাটা সংশোধন করিয়া অভ্যস্ততঃ সাময়িক ভাবে অন্ত প্রকারের কেন্দ্রীয় শাসনপদ্ধতি জাতীয় নেতৃবৃন্দের ও প্রাদেশিক গবষ্মেণ্ট-সমূহের সহিত পরামর্শ করিয়া রচনা করিতে বলা হইয়াছে। ইহাতে ব্রিটিশ পালেমেণ্টের ভারতবর্ষের জন্ত আইন করিবার অধিকার স্বীকৃত হইয়াছে। কিন্তু কংগ্রেস এই অধিকার স্বীকার করেন না । কংগ্রেসে কিরূপ প্রস্তাব ধার্ঘ্য হয়, কয়েক দিন পরে দেখা যাইবে । লর্ড লোধিয়ান ভারতবর্ষে আসিয়া জানাইয়া গিয়াছেন, যে, ভারতশাসন-আইনের সবটা—অর্থাৎ কেন্দ্রীয় শাসনপদ্ধতিটা পৰ্য্যস্ত—কিরূপ চলে ন-চলে তাহা ন-দেখিয়া পালেমেণ্ট ভারতশাসন-আইনের কোন প্রকার সংশোধন করিবেন না। তিনি স্বীকার করেন, যে, সরকারী যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থাটাতে খুৎ আছে, কিন্তু তিনি ভারতীয় দিগকে ঐ ব্যবস্থাটাই মানিয়া লইয়া তদনুসারে কাজ চালাইতে পরামর্শ দিয়াছেন। অর্থাৎ প্রথমে ব্রিটিশ জাতির জিদটা বজায় রাখিতে হইবে। ‘প্রাদেশিক আত্মকর্তৃত্বের সরকারী ব্যবস্থাটাতেও খুং আছে, কিন্তু কংগ্রেস আপাততঃ তাহ মানিয়া লইয়াছেন। কংগ্রেস যদি শেষ পৰ্য্যস্ত সরকারী ফেডারেশ্বন ব্যবস্থাটাও আপাততঃ মানিয়া লয়েন, তাহা আশ্চর্ষ্যের বিষয়ু হইবে না । কংগ্রেস দুই উপায়ে সরকারী ফেডারেশুনে বাধা দিবেন ভাবিয়াছেন। ( ১ ) যে ছয়টি প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভায় কংগ্রেসের প্রাধান্য, সেখান হইতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভায় প্রতিনিধি পাঠাইবেন না । ( ২ ) কংগ্রেসী ছয়টি মন্ত্রিসভার শাসিত প্রদেশগুলি হইতে কেন্দ্রীয় গবষ্মেণ্টের প্রাপ্য ট্যাক্স আদায় করিবেন না। অর্থাৎ এই দুই বিষয়ে তাহারা অহিংস অসহযোগ কfরবেন । তাহা হইলে ঐ ছয় প্রদেশের গবর্ণরেরাও কংগ্রেসী মন্ত্রীদিগকে বিদায় দিয়া কন্সটিটিউশুন সম্পেও করিয়ু স্বেচ্ছাশাসক হইতে পারেন। দেশীয় রাজ্যসমূহ ও ফেডারেশ্বন হায়দরাবাদ ও মহীশূর এই দুটি বড় দেশী রাজ্যের কর্তৃপক্ষ জানাইয়াছেন; যে, তাহারা সরকারী ব্যবস্থা অনুসারে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীভূত হইবেন কিনা, সে-বিষয়ে স্বৰ প্রজাদের সহিত পরামর্শ করিবেন; কিন্তু একথা বলেন নাই, যে, রাজ্যগুলির প্রতিনিধি প্রজাদিগকে নিৰ্ব্বাচন করিতে দেওয়া হইবে। কংগ্রেস চান, ষে, দেশীয় রাজ্যগুলির প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনে প্রজাদের ঠিক সেইরূপ অধিকার থাকিবে, ব্রিটিশ-শাসিত প্রদেশগুলির প্রতিনিধি-নির্বাচনে তথাকার অধিবাসীদিগের যেরূপ অধিকার আছে । হেরম্বচন্দ্র মৈত্রেয় অশীতি বৎসর বয়সে হেরম্বচন্দ্র মৈত্রেয় মহাশয়ের তিরোভাবে বঙ্গদেশ এক জন ভক্তিভাজন ও স্বদক্ষ শিক্ষক হারাইল। শিক্ষক হইবার যোগ্যতা তাহার সকল দিক দিয়াই ছিল । তাহার অধ্যাপনার বিষয় ছিল ইংরেজী সাহিত্য । এই সাহিত্যে র্তাহার বিস্তৃত ও গভীর জ্ঞান ছিল । যে-সকল পুস্তক তাহাকে পড়াইতে হইত, তাহার মধ্যে কঠিনতম পুস্তক ও গদ্য বা পদ্য রচনাগুলির চিস্তা ও ভাবের গভীরতম প্রদেশে তিনি ব্যাখ্যার দ্বারা ছাত্রদিগকে প্রবেশ করাইয়া দিতে পারিতেন। আমি আধ শত্বাধী পূৰ্ব্বে তাহার ছাত্র ছিলাম। আমাকে অবস্থাচক্রে প্রেসিডেন্সী কলেজ, সেণ্ট জেবিয়াস কলেজ ও সিটি কলেজে পড়িতে হইয়াছিল। পূৰ্ব্বোক্ত দুটি কলেজে বাঙালী, ইংরেজ, এংলোইণ্ডিয়ান, এবং ইংরেজ নহেন এরূপ ইউরোপীয়, কয়েক জন যোগ্য ইংরেজী সাহিত্যাধ্যাপকের নিকট পড়িয়াছিলাম । র্তাহারা প্রশংসনীয়। র্তাহাদের সকলের প্রতি সমুচিত শ্রদ্ধ নিবেদন করিয়া আমি মৈত্রেয় মহাশয়ের সম্বন্ধে বলিতে চাই, যে, গভীর ভাব ও চিন্তার ব্যাখ্যায় তাহার সমকক্ষ কোনও অধ্যাপকের নিকট পড়িবার সৌভাগ্য আমার হয় নাই। কোন বাক্যে কোন শব্দটির ঠিক অর্থ কি, তাহা বুঝিতে ও বুঝাইতে তিনি বিশেষ প্রয়াসী ছিলেন । এই জন্ত ক্লাসে পড়াইতে পড়াইতে তিনি প্রায়ই বড় বড় অভিধান দেখিতেন । তিনি মনোজ্ঞ ও বিশুদ্ধ ইংরেজী লিখিতে পারিতেন । ধাই লিখিতেন তাহাতে র্তাহার চিস্তার গভীরতা ও স্বাতন্ত্র্যওঁ লক্ষিত হইত্ব। কথিত আছে, তিনি এমাসন সম্বন্ধে যে প্রবন্ধ লিখিয়া গ্রিফিথ প্রাইজ পান, তাহার বস্তু ও ভাষার উৎকর্ষ এই সন্দেহের উন্ত্রেক করে যে, তাহ হয়ত কোণ প্রসিদ্ধ গ্রন্থকারের লেখার হুবহু নকল। সেই জন্ত এমাস"