পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফণস্তুন বিবিধ প্রসঙ্গ—ন্ত্রীশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বামরাউল রেলওয়ে স্থৰ্যটনায় বিচূর্ণ বোগি যাত্রী থাকে, চুরমার হুইয়া গিয়াছে, ধাক্কা এরূপ প্রবল হইয়াছিল যে ট্রেনের সর্বশেষের গাড়ীর গার্ড পর্যন্ত মারা গিয়াছে ; অথচ রিপোর্ট বাহির হইয়াছে যে মোটে সাত জন লোক মারা পড়িয়াছে। এই কারণে নানা প্রকার গুজবের স্বষ্টি হইয়াছে। কেবল রেলওয়ের লোকেরা বা সরকারী অন্য লোকেরা তদন্ত করিলে সৰ্ব্বসাধারণের সন্দেহ দূর হইবে না, বেসরকারী বিশ্বাসযোগ্য লোকদের সহযোগে প্রকাশু তদন্ত হইলে তবে লোকে সেই তদন্তের রিপোর্টে বিশ্বাস করিবে । - / শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় \& স্বপ্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্তু চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হইল। তাহার বয়স মোটে ৬২ হইয়াছিল । স্বাক্ষরাং আরও কয়েক বৎসর ইচিয়া থাকিয় তিনি আরও কিছু গ্রন্থ রচনা করিতে -》 পরিবেন, বাঙালী পাঠকদের এই আশা ছিল । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে যখন সাহিত্যাচার্ষ্য উপাধি পান, তাহার পূৰ্ব্বে বলিয়াছিলেন যে অতঃপর তিনি বাঙালী মুসলমান সমাজকে অবলম্বন করিয়া কিছু উপন্যাস লিখিবেন । অনেকের সেইরূপ উপন্যাস দেখিবার আগ্রহ ছিল । র্তাহার ঔপন্যাসিক খ্যাতি যে ইউরোপে পৌছিয়াছে, তাহা এগার বৎসর পূৰ্ব্বে এদেশে জানা ছিল না। সেই সংবাদ প্রথমে মডার্ণ রিভিয়ু ও প্রবাসীতে বাহির হয়। ১৯২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রসিদ্ধ ফরাসী গ্রন্থকার রম্যা রলার সহিত জেনিভার নিকটবর্তী ভিলনভ, গ্রামে প্রবাসী-সম্পাদকের সাক্ষাৎ হয় । সেই সাক্ষাৎকারের বুভাণ্ড মডার্ণ রিভিয়ুতে ইংরেজী "লেটাস ফ্রম দি এডিট্যুর-এ এবং প্রবাসীতে “সম্পাদকের চিঠি’তে বাহির হয়। ১৩৩৪ সালের জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে প্রকাশিত সম্পাদকের ৮ নং চিঠিতে লেখা হইয়াছিল, “জামরা অবগত হইলাম, রল।