পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^gఆ প্রবণসী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শ্ৰীকান্ত' উপস্তাসের ইংরেজী অনুবাদের ইটালীয় অনুবাদ পড়িয়াছেন। তিনি বলিলেন, শরৎচন্দ্র এক জন প্রথম শ্রেণীর ঔপন্যাসিক, এবং জিজ্ঞাসিলেন, তিনি আর কি কি বহি লিখিয়াছেন। আমি বলিলাম।” ( প্রবাসী, ১৩৩৪ জ্যৈষ্ঠ, পৃ. ২৫০ । ) - শরৎবাবুর সহিত আমার ঘনিষ্ঠ পরিচয় কখন হয় নাই, কিন্তু আমি তাহার সম্পূর্ণ অপরিচিতও ছিলাম না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধিসম্মান লইবার জন্ত যখন তিনি ঢাকা যান, আমাকে তখন একটি কাজে ঢাকা ধাইতে হইয়াছিল। সেই সময় আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় তাহার ছাত্র অধ্যাপক জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষের বাড়ীতে ছিলেন। ঐ বাড়ীতে এক দিন অনেকের নিমন্ত্রণ হয় । আচার্ষ্য রায় ও শরৎবাৰু উপস্থিত ছিলেন। আমিও ছিলাম। শরৎবাৰু প্রথম কি প্রকারে আচার্ধ্য রায়ের নিকট পরিচিত হন, তখন গল্প করিয়াছিলেন। তাহা আমার অস্পষ্ট মনে আছে। শরৎবাবু বলিলেন, অনেক বৎসর আগে ( যখন বোধ হয় তাহার চুল পাকে নাই এবং বয়স বাস্তবিক যাহা তাহা অপেক্ষা কম দেথাইত ), তাহার এক বন্ধু তাহাকে আচার্ধ্য মহাশয়ের নিকট লইয়া যান। রায় মহাশয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “পড়াশুনা কি কয় ?” ( আচার্ধ্য মহাশয় বোধ হয় তাহাকে পোষ্ট-গ্ৰাডুয়েট কোন ক্লাসের ছাত্র মনে করিয়াছিলেন )। এই প্রশ্নের উত্তরে শরৎবাবু জানাইলেন যে তিনি পড়াশুনা কিছুই করেন না। তাহাতে আচাৰ্য্য মহাশয় বলিলেন, “এর মধ্যেই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছ ?” তখন শরৎবাবুর যে বন্ধু তাহাকে আচার্ষ্য মহাশয়ের নিকট লইয়া গিয়াছিলেন, তিনি বলিলেন, “ইনি ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।” তাহা গুনিয়া আচার্ধ্য রায় তাহার ষে যে বহি পড়িয়াছেন তাহার সম্বন্ধে নিজের মত বলিতে লাগিলেন । - শরৎবাবুর সহিত আমার এক বার মাত্র কিছু দীর্ঘ কথোপকথন হইয়াছিল। তাহ লিখিয়া রাখি নাই, এবং আমার স্মৃতিশক্তি আগেকার মত নাই। সামান্ত কিছু মনে আছে । তিনি ঢাকা হইতে উপাধি লইয়া ফিরিবার পথে যে ষ্টীমারে আসিতেছিলেন, আমিও সেই ষ্টীমারে আসিতেছিলাম। তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্যাবিন হইতে গল্প করিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আসিলেন। একটি যুবক তাহার মাকে সঙ্গে লইয়া কলিকাতায় তাহার ভাইয়ের সহিত দেখা করিতে আসিতেছিলেন । ভাইটির কোন বৈপ্লবিক অভিযোগে কারাদগু হইয়াছিল । শরৎবাবু বৈপ্লবিক সহিংস কার্ধ্যে সংশ্লিষ্ট যুবকদের খুব একটা বৃহৎ সংখ্যার উল্লেখ করিলেন এবং তাহাদের জন্য খুব উদ্বেগ প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং তাহার বাহাতে ঐরুপ কাৰ্য্য হইতে নিবৃত্ত হয় এইরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছিলেন মনে পড়িতেছে। পূৰ্ব্ববঙ্গের নদী বাহিয়া সেই অঞ্চলের অপরিমেয় প্রাকৃতিক সম্পদ লক্ষ্য করিতে করিতে চিন্তাশীল হিন্দুরা আসিলে তখায় হিন্দুর আপেক্ষিক সংখ্যা ষে কমিতেছে, তাঁহা স্বতই মনে হয় । সম্ভবতঃ এইরূপ কোন চিন্ত হইতে কথাপ্রসঙ্গে হিন্দু যুবক-যুবতীদের বিবাহ কঠিনতর হইতেছে, এই কথাও উঠে। তাহা হইতে কথাটা এই দিকে গড়ায় যে আজকাল বিবাহিত দম্পতিদের আগেকার মত