পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

沈5否 ন্যায় সত্যসন্ধ হইতে হইবে । দুৰ্ব্বল'ব্যক্তিগণের সত্যে যাহাদের কঠোর দৃঢ়নিষ্ঠা নাই, তাহাদের এই পবিত্র ক্ষেত্রে প্রবেশ নিষেধ । 驗 ইতিহাসের আর একটি অবহেলিত বিভাগ বাংলা দেশের প্রাক্-মোগল যুগের মুদ্রাতত্ত্ব ও প্রত্নলেখতত্ত্ব। অৰ্দ্ধ শতাব্দীরও অধিক পূৰ্ব্বে সুলতানী আমলের প্রাচীন মূদ্র ও শিলালেখসমূহের পাঠ বিচার করিয়াই টমাস ও ক্লখমেন সাহেব ঐ আমলের বাংলা দেশের প্রকৃত ইতিহাসের ভিত্তিস্থাপন করেন। ১৮৭২ হইতে ১৮৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দের বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় ব্লখমেন সাহেব কয়েকটি মূল্যবান প্রবন্ধ লিথিয়া মুদ্রা ও শিলালিপির সাহায্যে মুলতানী আমলের বাংলার ইতিহাসের কাঠামো নিৰ্ম্মাণ করেন। সেই অসম্পূর্ণ কাঠামোর উপরেই আমাদের রাখালদাস অপূর্ণাঙ্গ প্রতিমা নিৰ্ম্মাণ করিয়া গিয়াছেন । এই ধারার গবেষণাপদ্ধতিই যেন আজকাল অপ্রচলিত হইয়া পড়িয়াছে। বিদেশী পণ্ডিত ষ্টেপল্টন সাহেব ব্যতীত রথমেন-প্রবর্তিত ধারা অনুসরণ করিতে আর কাহাকেও দেখি না। বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির ভূতপূৰ্ব্ব কৰ্ম্মী শ্রযুক্ত শরফুদিন সাহেবকে এই পথে চলিতে দেখিয়া প্রাণে বড়ই আশার সঞ্চার হইয়াছিল। কারণ কৃতবিদ্য মুসলমান পণ্ডিতৃগণ র্তাহাদের আরবী পারসী ভাষাজ্ঞান লইয়া তাহাদের নিজস্ব এই ক্ষেত্রে অগ্রসর হইলে সাফল্য অবশ্বম্ভাবী"। কিন্তু চক্ষুহীন এবং বিবেচনাহীন শিক্ষা-বিভাগের মজ্জিমত আজ ঢাকা, কাল রাজশাহী ও পরশ্ব চট্টগ্রাম বদলী হইয়া এই প্রতিভাশালী উদীয়মান মুসলমান পণ্ডিতটির লেখাপড়ার নেশা শীঘ্রই ছাড়িয়া যাইবে বলিয়া আশঙ্কা করিতেছি । ১৯১৮ সনের বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রাপ্ত স্কুলতানী আমলের কয়েকটি শিলালিপি সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত গুরুদাস সরকার লিখিত একটি মূল্যবান প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহার পরে বিহার ও উড়িয়া অনুসন্ধান সমিতির "forts aq: Epigraphia Indo-Muslemica ātrs তীরত-গবর্ণমেণ্ট প্রকাশিত পত্রিকায় • কয়েকখানি অপ্রকাশিত শিলালিপি প্রকাশিত হইয়াছে। কিন্তু বাংলা দেশে ইতিহাসচর্চা ግጭ একমাত্র ষ্টেপলটন সাহেব ব্যতীত অন্য কেহ আর এই দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়াছেন বলিয়া অবগত নহি । - এই বিষয়ে সবু যদুনাথ সরকারের নিকট অীমার নালিশ আছে। হাতের লেখা পারসী পুথি পড়িয়া তাহার যে-সকল ছাত্র গবেষণা করিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছেন, তাহাদের সকলেই চেষ্টা করিলে প্রাচীন মুদ্র বা শিলালিপি পাঠ করিতে পারেন। কিন্তু মুসলিম মুদ্রাতত্ত্ব বা প্রস্থলেখতব চর্চার দিকে তাহার এক জন ছাত্রও মনোযোগ দেন নাই। পারসী ভাষায় অসামান্ত পণ্ডিত হইয়াও তিনি নিজেও এই অবিমিশ্র প্রত্নতত্ত্বে অনেকটা উদাসীন বলিয়াই মনে হয়। র্তাহার পাচ খণ্ডে সমাপ্ত প্রকাও গ্রন্থ আওরংজীবে আওরংজীবের বৈচিত্র্যময় মুদ্রাসমূহ সম্বন্ধে অথবা তাহার টাকশালগুলি সম্বন্ধে কোন আলোচনা পড়িয়াছি বলিয়া মনে পড়ে না। এই ক্ষেত্রে তাহার প্রভাব অপ্রতিহত, গবেষণার মোড় যেদিকে ফিরাইবেন, গবেষণাস্রোত সেই দিকেই ফিরিবে । আমরা সামুনয়ে এই বিষয়ে তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি । উল্লেখযোগ্য আরব্ধ কাৰ্য্যাবলী বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির ভাস্কৰ্য্য-সংগ্রহের সচিত্র বিস্তৃত বিবরণীর কথা পূৰ্ব্বেই উল্লেখ করিয়াছি । আমি ঢাকাতে নিতাস্ত একাস্তে বাস করি। কাজেই আমার পক্ষে বাংলা দেশের সমস্ত উল্লেখযোগ্য আরব্ধ কার্ষ্যের সন্ধান রাখা সম্ভবপর নহে । যে দুই-একটির কথা জানি তাহারই উল্লেখ করিতেছি । প্রথমেই উল্লেখযোগ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকল্পিত বাংলার ইতিহাস । বাংলা দেশের বিশেষজ্ঞগণের সমবায়ে লিখিত এই পুস্তকখানি ষে বহুদিন পর্য্যস্ত আদৰ্শ্ব পুস্তক হইয়া থাকিবে, সে-বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। যত দূর জানি, ইহার কার্য্য আশানুরূপ দ্রুততার সহিত অগ্রসর হইতেছে না। এই রকম বৃহৎ ব্যাপারে বিলম্ব অনিবাৰ্য্য, তাহার জন্য অধীর হইয়া লাভ নাই । এই কার্য্য কি প্রকার পরিশ্রমসাধ্য, ইহার সমাপ্তির পথে বাধা-. বিঘ্ন কত, তাহ আমার ভালই জানা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট আমার এই মাত্র অহুরোধ ৰে বৃহত্তর ইংরেজী সংস্করণ অবলম্বনে ক্ষুদ্রতর