পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ёБая ७कठोब्रान्न बड ! डिनि ਜੋ প্রাণের বেদিতে রাজ্যোচিত গরিমায় জেগে রইবেন তার মাধবাচার্য্য, রামদাস স্বামী, সত্যানন্দ, ভবানী পাঠক জার অভিরাম স্বামীকে নিয়ে। বাঙালী কি কোন দিন ভূলতে পারবে স্বৰ্য্যমুখীকে আর রোহিণী সুন্দরীকে, রজনীকে আর মৃণালিনীকে, কমলমণিকে আর শ্যামাসুন্দরীকে, দরিয়াকে আর নিৰ্ম্মলকুমারীকে, দলনী বেগমকে আর লুৎফ-উন্নিসাকে, সপের চেয়ে ভয়ঙ্কর হীরাকে আর ফুলমণি নাপিতানীকে ? বঙ্কিম বাঙালীর বড় আদরের ধন, বঙ্কিম বাঙালীর আত্মীয়ের চেয়েও পরমাত্মীয় ; বঙ্কিমকে বাদ দিয়ে বাঙালী নেই, বাঙালীকে বাদ দিয়ে বঙ্কিম নেই। বঙ্কিম আমাদের প্রাণের এমন সব নিভৃত তারে আঘাত ক’রে থাকেন যেখানে আর কারও পক্ষে আঘাত দেওয়া এক রকম অসম্ভব। বাঙালীর ভাবপ্রবণ চিত্তে আর কারও লেখা কি এমন ক’রে সাড়া জাগাতে পেরেছে ? কিন্তু সামান্য একটি প্রবন্ধের মধ্যে বঙ্কিমের বিশাল প্রতিভার সকল দিকের আলোচনা সম্ভবপর নয়। তাই আমি শুধু তার সাহিত্যে প্রগতির দিকটাকে দেখিয়ে ক্ষান্ত থাকব । কেবল স্বন্দরের পূজায় আত্মনিবেদন ক’রে বঙ্কিমের প্রতিভা সস্তুষ্ট থাকতে পরে নি। এক শ্রেণীর সাহিত্যিক আছেন, যারা বাস্তবের দাবিকে ফাকি দিয়ে কল্পনার ইন্দ্রলোকে বাস করতে ভালবাসেন । এই জগতের লক্ষ লক্ষ ভাঙা হৃদয়ের কান্নার স্বর তাদের প্রাণের উপকূলে গিয়ে পৌছয় না। রোম যখন পুড়ে যায় তখনও তাদের হাতে বাজে বীণা । দেশ জুড়ে যখন অত্যাচারের ঝটিকা বয় তখন তাদের স্বপ্নবিলাসী মন কল্পলোকে করে বিচরণ। অন্তায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ক্ষীণতম স্বরটিও তাদের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসে না । বাস্তবের দাবিকে এড়িয়ে যাবার এই ষে অমার্জনীয় ভীরুতা এই ভীরুতার কালিমা বঙ্কিমের তেজস্বী হৃদয়ুকে কখনও স্পর্শ করতে পারে নি। উদার-চিত্তের দিগন্তপ্রসারী কল্পনার আলোকে বাস্তবের মধ্যে তিনি দেখেছিলেন সৰ্ব্বগ্রাসী দারিত্র্যের বীভৎস রূপ; লোভীর নিষ্ঠুর 6णाउ, अंक्रणव्र उरुङ चछाङ्ग, cवक्रम७शैन चल९था বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাৰ میمونه নরনারীর পৌরুষের একান্ত দৈন্ত, দেশব্যাপী তামসিক জড়তা এবং ক্লৈব্য । তিনি দেখেছিলেন অনপুনৰ্টি সহস্ৰ সহস্র গ্রামে দুর্ভিক্ষের দিগন্তব্যাপী ছায়া, দিকে দিকে বুভূক্ষু নরনারীর শীর্ণ কঙ্কালমূৰ্ত্তি, দেশের এক প্রাপ্ত থেকে আর এক প্রান্ত পৰ্য্যন্ত অজ্ঞানের নিবিড় অন্ধকার । তিনি দেখেছিলেন শিক্ষিত বাবুদের মধ্যে মনুষ্যত্বের একান্ত অভাব। তারা কেবল উমেদারিতে তৎপর, তাম্বুলচৰ্ব্বণে উৎসাহী, তামাকু-সেবনে অভ্যস্ত এবং গৃহিণীতে অনুরক্ত। বঙ্কিমের অননুকরণীয় ভাষায়— ধিনি নিজগৃহে জল খান বন্ধুগৃহে মদ খান, বেশ্বাগৃহে গালি খান এবং মানব সাহেবের গৃহে গলাধাক্কা খান, তিনিই বাৰু। যাহার স্নানকালে তেলে ঘৃণা, আহারকালে আপন অঙ্গুলিকে ঘুণ, এবং কথোপকথন কালে মাতৃভাষাকে ঘূণা, তিনিই বাবু। এই ইংরেজী-শিক্ষিত, পরামুকরণপ্রিয়, স্বার্থসৰ্ব্বস্ব, মনুষ্যত্বহীন চাকুরীজীবী ভদ্রসম্প্রদায়ের প্রতি বঙ্কিমের হৃদয়ে ছিল দারুণ বিতৃষ্ণ । মুচিরাম গুড়ের জীবনচরিতে বঙ্কিম এই খেতাবধারী, খোসামুদে, সাহেবঘেষা বাবু-সম্প্রদায়ের মুখোস খুলে দিয়েছেন। কমিশনার সাহেবের দর্শনপ্রার্থী মুচিরাম বাহির থেকে সাহেবের মুখে ‘নিকাল দেও শালাকো শুনে যেখানে দুই হাতে সেলাম ক'রে বলছে, "বহুৎ খুব হুজুর। হামারা বহিনকো খোদা জিতা রাখে—’ সেখানে বঙ্কিম শিক্ষাভিমানীত দ্রসম্প্রদায়ের নৈতিক অধোগতির প্রতিই অজুলি নির্দেশ করেছেন । নিজের স্বদেশবাসী শিক্ষিত-সম্প্রদায়ের আত্মসম্মানবোধের একান্ত দৈন্ত, মনুষ্যত্বের একান্ত অভাব তাকে অত্যন্ত বেদনা দিত। তার ব্যঙ্গরচনাগুলির মধ্যে এই সুতীব্র বেদনার প্রকাশ, তার হাসির পিছনে লুকিয়ে আছে চোখের জল । বাস্তবের মধ্যে কোন সাত্বনাই তিনি খুঁজে পান নি। সেখানে ছিল না কোন আলো, ছিল না কোনও আশা, ছিল না কোনও আশ্রয়। সেখানে ছিল শুধু পুীভূত অন্ধকার, দারিদ্র্য, ক্লৈব্য, অত্যাচার, স্বার্থপরতা, উদ্যমের ঐক্যের সাহসের এবং অধ্যবসায়ের একান্তু অভাব। দেশজননী তার কাছে দেখা দিয়েছিলেন শীর্ণ মলিন মূৰ্ত্তিতে . পরাধীনতার মানিকে বমি মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব o - *