পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਟੈਕਂ পারে না । बबिल्खवाड़ानोत्र-इनिङ কোথায় তা খুব ভাল করেই বুঝেছিলেন। আমাদের দুর্বলতা আমাদের ঘরের মায়ায় । ঘরের প্রতি অত্যধিক মায়া, তায়ের মায়ের অত্যধিক স্নেহ আমাদের চিত্তে দেশাত্মবোধের উন্মেষকে যে ঠেকিয়ে রেখেছে, মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বঙ্কিম তা উপলব্ধি করেছিলেন আর সেই জন্যই বাঙালীকে কুটীরের আঙিনা থেকে টেনে এনে তাকে মুক্ত পথের বুকে দাড় করিয়ে দেওয়ার জন্য র্তার উৎসাহের অন্ত ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতাকে লাভ করতে হ’লে কেবল ঘরের মোহকে ভাঙলেই যথেষ্ট হবে না। পারিবারিক জীবনের ক্ষুদ্রতা থেকে মুক্তিলাভ দেশাত্মবোধের অপরিহার্ষ্য অঙ্গ সন্দেহ নাই—কিন্তু দেশকে আপনার করতে হ’লে শৌর্ধ্যও চাই। যারা বলহীন তাদের জন্য মুক্তির স্বর্গ নয়। স্বাধীনতা আসে শক্তিসাধনার পথে, অত্যাচারের অবসান ঘটায় সাহস এবং বীৰ্য্য। বাঙালীর এই শক্তিসাধনার পথে একটা প্রকাগু অন্তরায় স্বষ্টি করেছে আমাদের ধৰ্ম্ম । ফুেদিন থেকে আমরা ভগবানের শিরে শিখীপুচ্ছ আর হাতে মোহন বাণী দিয়ে তার মধুত্ব-রূপের উপাসনায় পক্ষপাতিত দেখাতে আরম্ভ করেছি—সেই দিন থেকে আমাদের জীবনে ক্লৈব্যের পাল স্বরু হয়েছে । আমরা শক্তির পথ ছেড়ে দিয়ে প্রেমের পথ ধরেছি, আর প্রেমের সাধনা করতে করতে অপদার্থ হয়ে গেছি। বহিঃশত্রু এসে আমাদের আক্রমণ করেছে, আমাদের অধিকারে হাত দিয়েছে আর অপমানের মধ্যে টেনে এনেছে । আমরা কিল খেয়ে কিল চুরি করেছি, আর বৈষ্ণব ধর্মের দোহাই দিয়ে অহিংসার মুখোস পরে আমাদের রৈব্যকে লুকিয়ে রেখেছি। কি কুক্ষণেই যে চৈতন্তদেব প্রেমের বাণী উচ্চারণ করেছিলেন । প্রেম শক্তিমানের ভূষণ, দুৰ্ব্বলের কলঙ্ক। যেখানে শৌর্ধ্য নেই সেখানে অহিংসা হ’ল ক্লৈব্যের পরিচয় । কিন্তু শৌৰ্য্য সেখানে আসবে কেমন ক'রে যেখানে ভগবান মানুষের কাছে দেখা দিয়েছেন কেবল প্রেমের ঠাকুর, হয়ে, যেখানে তিনি কেবল স্বন্দর ? বঙ্কিম তার স্বদেশবাসিগণের সম্মুখে স্থাপন করলেন ভগবানের প্রচণ্ড-মনোহর রূপ—ষে রূপে তিনি দণ্ডধারী বঙ্কিমচক্রের প্রভাব A$$ হয়ে শাসন করেন আর মৃত্যুকে বিকীর্ণ করেন দিকে দিকে । তিনি ভগবানের শক্তিময় রূপকে প্রতিষ্ঠিত করলেন” র্তার দেশবাসী সহস্ৰ সহস্ৰ মানুষের হৃদয়মন্দিরে। ধারা শক্তিহীন কাপুরুষ তাদের কাছে Christian Ideal &tst; oil on 1 Nothing is worthwhile unless it is strong, neither good nor evil. fox তাই দেশবাসীর কাছে বৈষ্ণব ধর্মের যে ব্যাখ্যা উপস্থিত করলেন তার মধ্যে রয়েছে শক্তির বাণী । মহেন্দ্র মুখন বললে বৈষ্ণবের অহিংসাই পরম ধৰ্ম্ম, তখন সত্যানন্দ সে কথার উত্তরে যা বলেছিলেন, নূতন বাংলা তার মধ্যে পথের আলো খুজে পেয়েছে। সত্যানন্দ, মহেন্দ্রকে বলেছিলেন— - সে চৈতন্যদেবের বৈষ্ণব। নাস্তিক বৌদ্ধধর্মের অমুকরণে যে বিকৃত বৈষ্ণবতা উৎপন্ন হইয়াছিল, এ তাহারই লক্ষণ। প্রকৃত বৈষ্ণব ধর্মের লক্ষণ দুষ্টের দমন, ধরিত্রীর উদ্ধার। কেননা, বিষ্ণুই সংসারের পালনকৰ্ত্তী ; দশ বার শরীর ধারণ করিয়া পৃথিবী উদ্ধার করিয়াছেন। কেশী, হিরণ্যকশিপু, মধুকৈটভ, মুর, নরক প্রভৃতি দৈত্যগণকে, রাবণাদি রাক্ষসগণকে, কংশ শিশুপাল প্রভৃতি রাজগণকে তিনিই যুদ্ধে ধ্বংস করিয়াছিলেন। তিনি জেতা, জয়দাতা, পৃথিবীর উদ্ধারকত্ব, আর সস্তানের ইষ্টদেবতা । চৈতন্যদেবের বৈষ্ণবধৰ্ম্ম প্রকৃত বৈষ্ণবধৰ্ম্ম নহে—উহা অৰ্দ্ধেক ধৰ্ম্ম মাত্র। চৈতন্য দেবের বিষ্ণু প্রেমময়—কিন্তু ভগবান কেবল প্রেমময় নহেন—তিনি उश्नर्छअख्भिग्न । বৈষ্ণব ধর্মের এই ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে বঙ্কিম দিলেন র্তার স্বদেশকে শক্তিমন্ত্রে দীক্ষা । নীটশে এক দিন জাৰ্ম্মানীকে এই শক্তিমন্ত্র শুনিয়ে তার অন্তরে জাগিয়েছিলেন পৌরুষের প্রতি দুৰ্ব্বার অনুরাগ । খ্ৰীষ্টের অহিংসার আদর্শকে ভেঙে ফেলে নীটশে নব্য জার্মানীর চিপ্তে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শক্তির আদর্শ তার Will to Powerএর বাণী উচ্চারণ ক’রে । সে অাদর্শ জাৰ্ম্মানীকে দিয়েছে ক্ষত্রিয়ের শৌৰ্য্য। বঙ্কিমও নীটশের মতই বাঙালীর চিত্তে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ক্ষত্রিয়ের পৌরুষের আদর্শ আর সে আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্তু তাকেও ভাঙতে হয়েছে বৈষ্ণব ধর্শ্বের দুর্বল প্রেমের বিরুত আদর্শকে, বঙ্কিম বাংলা দেশের কানে শুনিয়েছেন এমন অগ্নিবচন যা তাকে কৈধ্যের গ্রাস থেকে মুক্ত ক’রে