পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टैंछक्क কেমন ক’রে বিজ্ঞান বা অমৃতক উৎপাদন করবে ? বিজ্ঞান বা অনুভব উৎপাদন করতে পারে কেবল সেই যে জ্ঞানবান, è*f*f* 1 3 Ttqw*a ( Idealistic Philosophy ) বিজ্ঞানের এরূপ কারণই স্বীকার করে । ফলতঃ জ্ঞান কেবল জ্ঞানকেই জানে; আর কিছু জানা, আর কিছু ভাব, তার পক্ষে অসম্ভব। . প্রত্যেক জ্ঞানক্রিয়ায় আমরা কেবল জ্ঞানরূপী আত্মাকেই জানি, অন্য কিছু জানা অসম্ভব, অর্থহীন। আমরা নিজ জ্ঞানকে বিশেষ দেশকালে সীমাবদ্ধ ব’লে জানতে গিয়ে অবশ্বম্ভাবীরূপেই এ’কে এমন এক জ্ঞানের অচ্ছেদ্য অংশরূপে উপলব্ধি করি যে জ্ঞান অনন্ত, সৰ্ব্বাধার, যার বাইরে কিছুই নেই। আত্মাকে জানা একটি ক্ষুদ্র বস্তু জানা নয়। আত্মজ্ঞানের ভিতরে সসীম-অসীমের ভেদাভেদ ভাব অচ্ছেদ্যরূপে বর্তমান রয়েছে । আমার ক্ষুদ্র সসীম জ্ঞানকে যে অনন্ত জ্ঞানের অংশ ব’লে জানছি তাকে আমারই পরম আত্মা ( Higher Self) ব’লে জানছি। সমগ্র বিশ্বকে একটি সমষ্টি বিশ্বাত্মা বলে জানছি ও ভাবছি, এবং নিজেকে বিশ্বাত্মার সঙ্গে মূলে এক, অথচ প্রকাশ-তারতম্যে ভিন্ন ব’লে জানছি ও ভাবছি। অন্য কোনও প্রকারে জানা ও ভাবা অসম্ভব ও অর্থহীন। প্রত্যেক জ্ঞানক্রিয়ায়, প্রত্যেক ভাবনায়, অনন্ত পুরুষ নিজেকে শাস্ত পুরুষের কাছে তারই পরমাত্মারূপে প্রকাশ করেন, আত্মপরিচয় দেন। জীবের পক্ষে ব্রহ্মের এই সাক্ষাং পরিচয়প্রাপ্তিই প্রকৃত বিশ্বাসের ভিত্তি, ধৰ্ম্মসাধনের স্বৰূঢ় ভিত্তি। এই পরিচয় না পাওয়া পৰ্য্যস্ত বিশ্বাস অস্থির থাকে, ধৰ্ম্মসাধন নিষ্ঠাশূন্ত, নিরুদ্যম থাকে । ব্রহ্মের পক্ষে জীবের নিকট এই আত্মপরিচয়-দানের কারণ খুজতে গিয়ে দেখা যায় সকল কার্য্যের কারণ যা, যে-কারণে আমরা প্রত্যেকে কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হই, স্বষ্টিকাৰ্য্যের কারণ তাই। সব কাৰ্য্যের কারণ আনন্দ, ভাল লাগা, ভালবাসা, আত্মপ্রীতি বা পরপ্রীতি। সৰ্ব্বাধার অনন্তস্বরূপের ভিতরে অসংখ্য সসীম জীব নিত্য বৰ্ত্তমান। তিনি ব্রহ্ম, অর্থাৎ সৰ্ব্বীধার বৃহৎ বস্তু। তিনি একাকী নন, তিনি স্বগতভেদ-যুক্ত, তিনি সসীম-বিশিষ্ট অসীম। তা না হ’লে বিশ্বের এই অসংখ্য বিচিত্রত হ’ত না । তার আশ্রিত অসংখ্য বিজ্ঞান, দর্শন ও ধৰ্ম্ম ՆածՎ2 সন্তানকে স্বষ্টি করা, অর্থাৎ কালে ব্যক্ত ক’রে তাদের মুখ ও শ্ৰেয়: সাধন করা, তার কৰ্ম্মপ্রবৃত্তির একমাত্র কারণ। এই কার্ষ্যেই তার আনন্দ, এই কাৰ্য্যই তার ভাল লাগে, এতেই তার ভালবাসা, তিনি প্রেমময় । এ-বিষয়ে তৈত্তিরীয় উপনিষদের ঋষি তার আনন্দবল্লীতে খুব স্পষ্ট কথা বলেছেন। তিনি বলছেন—“আনন্দাদ্ধোব খম্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে আনন্দেন জাতানি জীবস্তি আনন্দং প্রযন্ত্যভিসংবিশন্তি”—অর্থাৎ নিশ্চয়ই আনন্দ হইতেই এই সকল প্রাণী জন্মে, জন্মিয়া আনন্দ দ্বারাই জীবিত থাকে, আনন্দেই প্রতিগমন করে, প্রবেশ করে। এই জন্ম, জীবন ও প্রতিগমন প্রত্যহ, প্রতিনিয়ত ঘটছে । প্রত্যেক দিনের জাগরণে, প্রত্যেক জ্ঞানকণার প্রকাশে, প্রত্যেক বিস্মৃতি ও স্মরণক্রিয়ায়, প্রত্যেক রাত্রির নিদ্রায়, স্বাক্ট, স্থিতি, লয়ের কার্য্য হচ্ছে। সসীম-অসীমের ভেদাভেদ সম্বন্ধ ব্যতীত, মাতা-সন্তানের স্নেহসম্বন্ধ ব্যতীত, এই নিত্যলীলা সম্ভব নয়। জীব-ব্রহ্মের ঘনিষ্ঠতা মানবসম্বন্ধের চেয়ে অনন্ত গুণে অধিকতর। এই ঘনিষ্ঠত যে প্রেম-মূলক, তা আমরা সাক্ষাং ভাবে দেখি নিজ প্রেমে। আমাদের নিজ জ্ঞান যেমন ব্রহ্মের জ্ঞানের অল্পপ্রকাশ, আমাদের নিজ প্রেম তেমনি ব্রহ্মপ্রেমের অনুপ্রকাশ । আমরা বেশী লোককে ভালবাসতে পারি না বটে, কিন্তু যাদের ভালবাসি তাদের প্রাণভরেই ভালবাসি। তাদের হিতের জন্যে সৰ্ব্বস্ব, প্রাণ পৰ্য্যস্ত, বিসর্জন করতে পারি। উচ্চ মুহূর্তে আমাদের হৃদয় সমগ্র জগৎকে আলিঙ্গন করে। মানব-সীমার মধ্যেই যে প্রেম এমন সম্যক্, পূর্ণ, সুন্দর, মধুর, মানব-সীমার অতীত স্থানে তা ষে অনিৰ্ব্বচনীয় তা সহজেই বোঝা যায়। কিন্তু যা আগেই বলেছি, প্রেমেই প্রেমের প্রকাশ । যারা প্রেম সাধন করে না, যারা বুদ্ধিziti (intellectualists), c:Twi (TRI &R বুঝানতেই ব্যস্ত, তাদের কাছে ব্রহ্মপ্রেম সন্দেহাচ্ছন্ন। আর ব্রহ্মপ্রেম তাদের কাছে সন্দেহাচ্ছন্ন ব’লেই ধৰ্ম্মবিশ্বাসের একাদ্ধআত্মার অমরত্ব—তাদের কাছে একেবারে অনিশ্চিত, অনেকের কাছে একেবারে অসম্ভব কথা। কোন কোন ঈশ্বর-বিশ্বাসীকেও বলতে শোনা sযায়—’ঈশ্বর মানি, কিন্তু পরকালে সন্দেহ কAি , আমার ধারণ এই ষে এই