পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՇԵ* বিজ্ঞান, দর্শন ও ধৰ্ম্ম booግ আর আত্মা যে আত্মাছাড়া আর কিছু জানতে পারে না, ভাবতে পারে না আত্মবাদী দর্শনের এই মূলস্বত্র ধরতে না পারলে দার্শনিক মতভেদ দূর হবে না, ধৰ্ম্মের ভিত্তিও আচল অটল হবে না। বর্তমান শতাব্দীর প্রারম্ভে প্রসিদ্ধ ইংরেজ মনোবৈজ্ঞানিক ওয়ার্ড র্তার “Naturalism and Agnosticism” Rio Gifford Lectures a groño স্পেনসারের অজ্ঞেয়তাবাদের ভ্রম অতিশয় দক্ষতার সহিত দেখিয়েছেন । এই গ্রন্থকে অনেকে বলেন “Deathknell of Agnosticism” offs arossoftwa soস্থচক ঘণ্টাধ্বনি। অজ্ঞেয়তাবাদ মরেছে বটে, কিন্তু ETA (ESTT "Neutral Monism” TT fTA TC+ বেড়াচ্ছে । সে প্রেতাত্মা বলুছে যে এমন একটা বস্তু আছে যা জড়ও নয়, আত্মাও নয়, অথচ জড়রূপে ও আত্মারূপে প্রকাশ পাচ্ছে । প্রসিদ্ধ ইংরেজ দার্শনিক বারট্র্যাও রাসেল এই মতের পক্ষপাতী। তিনি তার Outlines of Philosophy at to osco of esca স্বীকার করেছেন যে তিনি আত্মবাদ ( Idealism ) খণ্ডনে অক্ষম, অথচ জড়ের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করে থাকতে পারেন না । তার সরলত প্রশংসাজনক বটে, কিন্তু অজ্ঞেয় অচিন্তনীয় জড়শক্তি আছে আর সে শক্তি আত্মরূপ ধারণ করে, এরূপ বিশ্বাস মানসিক জড়ত-ব্যঞ্জক নয় কি ? যা হোক, এরূপ মানসিক জড়তা অতি সাধারণ, অতি ব্যাপক। আত্মবাদীরাও সময়ে সময়ে এরূপ জড়তার অধীন হয়ে চলিত দ্বৈতবাদে সায় দেন। এই জড়তার ওষুধ কেবল দার্শনিক জ্ঞান নয়। এই জড়তা দূর করতে গেলে দার্শনিক জ্ঞান গভীর যোগসাধনে পরিণত হওয়া চাই, এবং যোগসাধন ভক্তিসাধনে অভিষিক্ত হয়ে মধুর হওয়া চাই। এই সাধন অতি দুর্লভ। “সৰ্ব্বং খৰিদং ব্রহ্ম” এই সত্য এদেশে তিন সহস্ৰ বৎসর ধ’রে গৃহীত হয়ে আসছে, কিন্তু এদেশেরও কত অল্প লোক এই সত্যের সাধক ! জীবনে এ’ মূৰ্ত্তিমান হওয়া তো দূরের কথা । গ্রেট বৃটেনে এই সত্য কেবল অর্থ, শতাব্দী পূৰ্ব্বে শষ্টাক্ষরে প্রচারিত হয়েছে। এ’র সাধনা এখনও আরম্ভই হয় নি বললে অত্যুক্তি হয় না। যা হোক, আশা করা যায় বে কেয়ার্ড ভ্রাতৃদ্বয় প্রভৃতি দার্শনিকের এ-বিষয়ে যে পথ প্রদর্শন ক’রে গেছেন, জীপ্স, এডিংটন প্রভৃতি দৰ্শনঞ্জ বৈজ্ঞানিকের সেই পথে অগ্রসর হবেন । ইংলণ্ডের শেধ দার্শনিক-প্রবর এফ, এইচ ব্র্যাডলি কত দূর সাধক ছিলেন বলতে পারি না। কিন্তু তার Appearance an i Reality নামক অদ্বৈতবাদী গ্রন্থের অনেক স্থল ব্রহ্মসাধনের সহায় । আমি এরূপ একটি স্থান উদ্ধৃত ক’রে আর তার বঙ্গাতুবাদ দিয়ে আজকের বক্তব্য শেষ কার । আজকের বক্তৃতার একাধিক স্থলে বলা হয়েছে যে আমরা প্রত্যেক দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শ, আঘ্রাণ ও আস্বাদনে, প্রত্যেক মনন ও বিচারে, ফলতঃ আত্মার প্রতি স্পন্দনে, ব্রহ্মকেই জানি, তিনি ভিন্ন জ্ঞানের বিষয় আর কিছু নেই। এ-বিষয়ে ব্র্যাডলি বলছেন,– ' “The Reality to which all content in the end must belong is, we have seen, a direct all-embracing experience. This Reality is present in, and is my feeling ; and hence, to that extent, what I feel is the all-embracing universe. But when I go on to deny that this universe is more, I turn truth into error. There is a more of feeling, the extension of that which is now mine, and this whole is both the assertion and negation of my 'this.’ My ‘mine' becomes a feature in the great ‘mine' which includes all ‘mine's. ( P. 253. ) অর্থাৎ "আমরা দেখেছি যে সমুদায় জ্ঞানের বিষয় মূলে ষে সত্তার অন্তর্ভূত, সেই সত্তা একটি প্রত্যক্ষ সবাধার অভিজ্ঞতা। এই সত্তা আমার অমুভূতিতে বৰ্ত্তমান, ইহা আমার অনুভূতিই, সুতরাং আমি যা অনুভব করি তা আমার অমুভবের পরিমাণে সৰ্ব্বাধার বিশ্বই। কিন্তু আমি যদি বলি যে বিশ্ব এই অমুভূতির অতিরিক্ত কিছু নয়, তবে আমার কথা আর সত্য রইল না, ভুল হয়ে গেল। আরো অনুভূতি আছে। এই মুহূত্তে, আমার. অমুভূতি যতটুকু, সেই অনুভূতি এই অমুভূতিরই বিস্তার, আর এই সমষ্টি আমার এই অমুভূতির সঙ্গে এক অর্থে এক, আর এক অর্থে এক নয় । যাকে “আমার” বলি তা সেই বৃহত্তর “আমার" এর একটা প্রকাশ যার অস্তভূতি হচ্ছে সমস্ত "আমার" গুলি । এখন আমার বক্তব্য এই যে এই সত্য উপাসনাকালে উপলব্ধি করলে উপাসনা কত গভীর ও আনন্দপ্রদ হয় । তা প্রকৃত উপাসক মাত্রেই জানেন। কিন্তু উপাসনায় কেবল ব্রহ্মসভার উপলব্ধি যথেষ্ট নয়। সত্তোপলব্ধিতে ভূমানন্দ, অর্থাৎ অখণ্ঠের সহিত একত্ববোধের यांनन्ल,,