পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مصeobسb প্রবাসী SN588 লাভ হয়। কিন্তু ভুমানন্দের উপরে প্রেমানন্দ, ব্রহ্মপ্রেমো'পলব্ধির আনন্দ । এই বক্তৃতার মধ্যভাগে সে আনন্দের কথা কিঞ্চিৎ বলেছি, আর সে-কথার সমর্থনে হেগেলের প্রেমবিষয়ক উক্তি উদ্ধৃত করেছি। ব্র্যাডলি নির্বিশেষবাদ "-" –- হেগেল বিশিষ্টাদ্বৈতবাদী। উভয়েই ব্ৰহ্মবাদী কলে আমার গুরুস্থানীয় আমার গুরুকুল পূর্ব-পশ্চিম উভয় দিকেই। প্রাচ্য-প্রতীচ্য উভয় গুরুকুলকে এবং চৈত্য গুরু পরমাত্মাকে ভক্তিভরে বার বার প্রণাম ক’রে আদ্যকার উৎসব শেষ করি । [ বিগত ৭ই মাঘ তত্ত্ববিদ্যা-সভার বাধিক উৎসবে পঠিত । . শ্রেণী-সংগ্রাম ঐআনিলবরণ রায় ইউরোপে ধনিক ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে বিরোধ ক্রমশই ভীষণ হইয়। উঠিতেছে এবং তাহ সমস্ত পৃথিবীতে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছে । জাতিগত অহঙ্কার, লোভ, বিদ্বেষের জন্য দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে যে দ্বন্দ্ব তাহার সহিত এই শ্রেণী-দ্বন্দ্ব যুক্ত হইয়া সমস্তাটিকে অতিশয় জটিল করিয়া তুলিয়াছে এবং পৃথিবীর সভ্যতা ও শান্ত প্রগতিকে বিপৰ্য্যস্ত করিয়াছে। রুশিয়া ধনিক-শ্রেণীর সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সাধন করিয়াছে। জাৰ্ম্মানী ও ইটালীতে এই দ্বন্দ্ব জোর করিয়া চাপিয়া রাখা হইয়াছে, এবং সেখানে কাৰ্য্যতঃ ধনিকশ্রেণীই প্রভুত্ব করিতেছে। ফ্রান্স ও ইংলণ্ডে গণতান্ত্রিক প্রবৃত্তির জন্য এই সংগ্রাম এখনও উৎকটভাবে দেখা দেয় নাই। স্পেনে দুই শ্রেণী মৃত্যুপণ করিয়া সংগ্রাম চালাইতেছে, মনে হয় এক শ্রেণীর সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সাধিত না হইলে সে-দেশে শাস্তি স্থাপিত হইবে না ; ইতিমধ্যে হয়ত স্পেনের গৃহযুদ্ধের অগ্নি বিস্তৃত হইয়া সমগ্র পৃথিবীকেই এক বিরাট কুরুক্ষেত্র ও ধ্বংসলীলায় পরিণত করিতে পারে । , আমাদের দেশেও খনিক ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে দ্বন্দ্ব আরম্ভ হইয়াছে। অনেকে ইচ্ছা করিয়াই এই দ্বন্দ্বকে ডাকিয় জানিতে চান, কারণ র্তাহাজের বিশ্বাস যে ধনিকশ্রেণীর সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সাধিত না হইলে দেশের কল্যাণ নাই এবং এই উচ্ছেদসাধন কেবল শ্রেণীতে শ্রেণীতে উৎকট বিরোধের দ্বারাই সম্পন্ন হইতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও এই মতাবলম্বী লোকের সংখ্যাধিক্য হয় নাই। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকেরই বিশ্বাস যে, কোন শ্রেণীরই উচ্ছেদ সাধন না করিয়া, সকলেরই প্রয়োজনমত পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন করিয়া নিরুপদ্রবেই সকল প্রয়োজনীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রগতির ব্যবস্থা করা যাইতে পারে এবং এইটিই হইতেছে ভারতের চিরাচরিত প্রথা। কিন্তু কি ভাবে ইহা হইবে সে-বিষয়ে এ-পর্ষ্যস্ত কোন কাৰ্য্যকরী পন্থা অবলম্বিত হয় নাই। বস্তুতঃ এই সকল নানা মতের মধ্যে সমন্বয় সাধন করিয়া একটি মুস্পষ্ট নীতি নিৰ্দ্ধারণ করা এবং সেই নীতি অনুসারে কৰ্ম্ম করা একান্ত আবশ্বক হইয়া পড়িয়াছে, নতুবা ঘটনাস্রোত এই হতভাগ্য দেশকে যে কোথায় ভাসাইয়া লইয়া যাইবে তাহার কোন ঠিকানা নাই। কিন্তু ইহার জন্য প্রয়োজন, সমস্তাটিকে ভাসাভাস ভাবে না দেখিয়া ইহার গভীরতায় প্রবেশ করা এবং যেসকল শক্তি মানবের সমষ্ট্রি-জীবনকে পরিচালিত করিতেছে তাহাদের সম্বন্ধে ধৈৰ্য্যের সহিত জ্ঞান অর্জন করা । অথচ ঠিক এটুটিরই অভাব আমাদের দেশে খুব বেশ । আমরা পাশ্চাত্য দেশ হইতে নূতন নূতন আদর্শ, নূতন নূতন বুলি গ্রহণ করিতে খুবই পটু, কিন্তু নিজের গভীর ভাবে চিন্তা ও গবেষণা করিয়া নিজেদের পথ