পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-ՅՋ প্রবাসী ఫిY988 বিপুল পরাক্রমে পূচসাতটা একত্র হইয় তাহাকে জড়াইয়া ধরিয়া কামড়াইবার চেষ্টা করিতেছে। ভীমকুল ভীমরুলের বাসার বোলতাদিগকে প্রায় নিঃশেষ করিয়া ফেলিয়াছে, বাসায় মাত্র দুই-একটি বোলতা দেখিতে পাওয়া যাইতেছে। লড়াইয়ের সপ্তম দিনের পরে লেখক কর্তৃক গৃহীত চিত্র তাহাকে আক্রমণ করিতে গেল। বোলতা লড়াই না করিয়া ঘাসের নীচে দিয়া আসিয়া শুয়োপোকার কঞ্জিত দেহখণ্ড মুথে লইয়া উড়িয়া গেল ! ভীমরুল কিন্তু ছাড়িবার পাত্র নহে ; সেও বোলতার পিছু পিছু ধাওয়া করিল। চাহিয়৷ দেখিলাম, কিছু দূর গিয়া বোলতা ও ভীমরুল উভয়েই পুলের অপর পাশ্বে সহসা যেন কোথায় অদৃশ্য হইয় গেল। এত শীঘ্র উহার কোথায় অদৃপ্ত হইল ? নিকটে তেমন কোন গাছপালাও ছিল না ; তবে কোথায় যাইবে ? দেখিবার জন্ত খানিকট অগ্রসর হইয়৷ পুলের অপর পার্শ্বে আসিলাম । কোথাও কিছু নাই। কিছুক্ষণ এদিক-সেদিক লক্ষ্য করিতেই দেখিতে পাইলাম, বাধের ঠিক উপরেই পুলের তলায় বেশ একটু পরিষ্কার স্থানেই প্রকাগু একটা বোলতার বাসা । বাসাটার ব্যাস প্রায় দশ ইঞ্চি হুইবে । অঞ্জস্র বোলতা বসাটা খিরিয়া রহিয়াছে। তাহারই একু পাশে সেই ভীমরুলটার সঙ্গে বোলতাদের তুমুল লড়াই বাধিয়া গিয়াছে। নিকটে যাইতে ভরসা হইল না। একটু দূরে #াড়াইয়াই দেখিতে লাগিলাম। ভীমরুলটা যেন বোলতার চাকের মধ্যে তাণ্ডব নৃত্য সুরু করিয়া দিয়াছে ।যাহাকে পাইতেছে তাহাকেই ছল ফুটাইয়া, কুমিড়াইয়। ছিন্নভিন্ন বিয়া মেলিতেছে। বােলতারাও এক দিকে একটা বোলতাকে কামড়াইয়া ধরিতেছে তন্ম হুর্তেই অপর দিক্ হইতে চার-পাচটা বোলতা আসিয়া তাহাকে আক্রমণ করিতেছে। একটামাত্র ভীমরুলই যেন সমস্ত চাকটাকে চfষয়া ফেলিতেছিল । দেখিলাম, চার-পাঁচটা ছিন্নশির বোলুত৷ ৰূপ, বুপ, করিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল । প্রায় মিনিট-দশেক পর্য্যস্ত ভীমরুলট। প্রাণপণে লড়াই করিয়৷ অবশেষে রণে ভঙ্গ দিয়া পলায়ন করিল। ভীমরুল উড়িয়া যাইবার পর বোলতার ডন। খাড়া করিয়া শুড় উচাইয়া চাকটার উপর অত্যন্ত উত্তেজিত ভাবে ঘোরাঘুরি করিতে লাগিল । কেহ কেহ আবার প্রত্যেকটি . গৰ্ত্তে মুখ ঢুকাইয়। কি যেন পরীক্ষা করিয়া দেখিতেছিল । প্রায় পনর-বিশ মিনিটের মধ্যেই দেখিলাম কতকগুলি ঘোলত ডানা উচু করিয়া শুড় খাড়া করিয়া বাসাটার চতুর্দিকে সারবন্দী ভাবে জমায়েং হইয়াছে । বাকী অধিকাংশ বোলতাই বায়ার মধ্যস্থলে জটলা করিতেছে । মনে হইল যেন ভীমরুলের পুনরাক্রমণ আশঙ্কা করিয়াই ইহার এই ভাবে সজ্জিত হইতেছিল, কিন্তু বহুক্ষণ অপেক্ষা করিয়াও ভীমরুলের আগমনের কোনই লক্ষণ দেখিতে পাইলাম না। তখন বাধ্য হইয়াই ফিরিয়া আসিলাম । বেল তিনটার সময় ফিরিয়া গিয়া দেখি বাসাটাতে কোন গোলমাল নাই। বোলতার দস্তুরমত কাজকৰ্ম্ম করিতেছে। মাঝে মাঝে কেহ কেহ বাস হইতে উড়িয়া যাইতেছে ; আবার কেহ কেহ খাদ্য সংগ্ৰহ করিয়৷ ফিরিয়া আসিতেছে । বাসাটার খুব নিকটে যাইতেই বোলতাগুলি আমাকে দেখিবামাত্রই যেন আবার উত্তেজিত হইয়া উঠিল । তাহার। ডান উচু করিয়া সকলেই চুপ করিয়া দাড়াইল । বিপদ আশঙ্কা করিয়৷ আমি সরিয়া দাড়াইলাম । কিছুক্ষণ পরেই তাহাদের সতর্কতার ভাব কাটিয়া গেল ও পুনৰ্ব্ব । বাসার গৰ্ত্ত তৈয়ারী ও বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়ার কার্য্যে মনোনিবেশ কাবুল। সেদিন সন্ধ্য পর্যন্ত আর কোন গোলমালেক লক্ষণ দেখিতে পাইলামন । , তার পরদিন সকালবেলায় আবার গিয়া দেখি—ইতিপূর্বে বাসাটার উপর একটা ভীমরুলের সঙ্গে বোলতাদের তুমুল লড়া বাধিয়া গিয়াছে। 'ভীমরুলট যেন মরিয়া হইয়া যাহাকে পাইতে:ে তাহাকেই কামড়াইয়া ছিন্নভিন্ন করিয়৷ ফেলিতেছে। ইতিমধে,