2ься সমান। আমি ধে তাহার নিকট হইতে মুক্তি পাইয়াছি সেজন্ত আনন্দিত ।” 婚 হেলগা নিজের ওষ্ঠাধর চাপিয়া ধরিল—গভীর রহস্তটি যেন তাহার মুখ হইতে বাহির হইয়া না পড়ে। গুডমুণ্ড যে নরহত্যা করে নাই, শুধু সে-কথা সে অবিতেছিল না। কিন্তু ঐ ঘটনা যে গুডমুণ্ড ও তাহার বাগদত্তার মধ্যে বিচ্ছেদ আনিয়া দিয়াছে। হেলুগ যে-রহস্ত জানে, তাহার সাহায্যে সে কি তাহাদের পুনর্মিলন সাধনের জন্য করিতে চেষ্টা করিতে পারে না ? হেলগা পুনরায় নীরবে ভাবিতে লাগিল। এদিকে গুডমুগু. নিজের কথা বলিয়াই চলিয়াছে। ইতিমধ্যেই সে হেলগাকে প্রণয় জ্ঞাপন করিয়া ফেলিয়াছে। এমন দিনে এ-কথা শুনিয়া হেল্গা পরম দুঃখ বোধ করিল। বড়ই পরিতাপের বিষয়, গুডমুণ্ড এমন চমৎকার বিবাহ হইতে নিজেকে বঞ্চিত করিয়াছে, কিন্তু তাহ অপেক্ষা দুঃখের কারণ—যদি এখন হইতে সে তাহার প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করিতে আরম্ভ করে। সে হঠাৎ দাড়াইয়া উঠিয়া বলিল, “না, না, আমাকে ও-কুখা *বলিও না।” 橡 গুডমুণ্ড উত্তর করিল—“তোমাকে আমি বলিব না কেন ? তুমিও কি হিলছরের মত আমাকে ভয় कद्र ?” - “ন, না, সেজন্য নয়”—হেলগা তাহাকে বুঝাইতে চাহিতেছিল যে, এরূপ কথা তাহার সৰ্ব্বনাশের কারণ হইবে। কিন্তু গুডমুণ্ড সে-কথা মোটেই শুনিতে চাহে না—“আমি শুনিয়াছিলাম ষে অনেক কাল পূৰ্ব্বে মেয়েরা এমন ছিল যে অতি দুঃখের দিনেও তাহারা স্বামীদের সঙ্গ ছাড়িত না ; কিন্তু আজকাল তেমন মেয়ে বোধ হয় দেখা যায় না ।” হেল্গার সমস্ত শরীর শিহরিয়া উঠিল। সে স্বেচ্ছায় এই মুহূর্তে গুডমুণ্ডের কণ্ঠ বেষ্টন করিয়া ধরিত কিন্তুড়াহা না করিয়া স্তন্ধ হইয়া রহিল। গুড়মুও বলিয়া চলিল—“আজ এখন আমার কারাগারে যাইবার সময় উপস্থিত, এ-সময় তোমার প্রেমভিক্ষ করা আমার পক্ষে ভালদেখায় না। কিন্তু যদি আমি জানি যে, কারাগার হইতে ফিরিয়া আসা পৰ্য্যন্ত তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করিবে, তাহা হইলে আমি সাননো সমস্ত দুঃখ বহন করিব।” “গুডমুও, তোমার জন্য ষে অপেক্ষা করিবে, সে-ত भांभि मझे ” তরাইয়ের তরুণী t=(ఏ , “সকলেই এখন আমাকে মাতাল, খুনী, পাপী মনে করিয়া ঘৃণা করিবে—এমন কেহ যদি থাকিত, এয অামাকে প্রীতির চক্ষে দেখে তবে সেকথা আমার্কে এই দুঃসময়ে সৰ্ব্বাধিক সাহায্য করিতে।” “তুমি নিশ্চয়ই জান, গুডমুণ্ড, আমি তোমার সম্বন্ধে মঙ্গল ছাড়া অমঙ্গল চিন্তা করি না।” হেল্গা শক্তিহীনের ন্যায় অসাড় হইয়া বসিয়াছিল। গুডমুণ্ডের প্রেম যেন তাহাকে পরাভূত করিয়া ফেলিয়াছে— কি ভাবে সে নিজকে মুক্ত করিবে ভাবিয়া পাইতেছিল না। কিন্তু গুডমুণ্ড তাহার মনের ভাব মোটেই বুঝে নাই—সে ভাবিল সে ভুল করিয়াছে, সে হেল্গাকে যত ভালবাসিয়াছে, হেল্গা নিশ্চয়ই তাহাৰে তত ভালবাসে নাই। সে হেল্গার দিকে অগ্রসর হইতেছিল-যেন সে তাহার সমস্ত অন্তরটা তলাইয়া দেখিতে চায় । “তুমি কি নেরবুদ দেখিবার জন্যই এখানে আসিয়া বসিয়া থাক না ?”
- তা সত্য ।” “তুমি কি সেখানে ফিরিয়া যাইবার কথা দিনরাত চিন্তা কর না ?”
“হঁ্যা, তা সত্য, কিন্তু কাহারও জন্ত আমার মন টানে না।” “এবং তুমি আমাকে মোটেই গ্রাহ কর না ?” "হ্যা, করি, কিন্তু আমি তোমাকে বিবাহ করিতে চাই না।” “তাহা হইলে তুমি আর কাহাকেও ভালবাস ?” হেল্গা এবার চুপ করিয়া রহিল। “হয়ত বা পের মোর টেনসনকে—” হেলগা সম্পূর্ণ নিঃসহায় হইয়া উত্তর দিল—“এক সময় ত আমি বলিয়াছিই যে আমি তাহাকে ভালবাসি।” গুডমুণ্ডের মুখমণ্ডলে রাগের ভাব ফুটিয়া উঠিল । সে হেল্গার দিকে একদৃষ্টে কতকক্ষণ তাকাইয়া থাকিয়া তার পর বলিল—“বিদায়, এখন হইতে আমাদের পথও স্বতন্ত্র।” এই কথা বলিয়া নীচে পাথরের উপর লাফ দিয়া নামিয়া বনের মধ্যে অদৃশ্য হইয়া গেল ।
গুডমুণ্ড অদৃশ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হেলগাও অন্ত পথে সত্বর নীচে নামিতে লাগিল। সে কোথাও না খামিয়া চোরাবালির কােছ দিয়া যত শীঘ্র স্বভব বড় রাস্তার
