পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షి 8షి খালি খাই খাই করবে, মাছ ছাড়া ত এ ছেলের মুখে এক গ্রন্স ভাত ওঠে না।” কামিনী উঠিয়া গেলেন বিমলকে আম দিতে। সে আম লইয়া হাতড়াইতে হাতড়াইতে বাহির হইয়া গেল । ছেলেটির বয়স প্রায় কুড়ি, কিন্তু দেহ-মন দুই-ই বালকের মত । বুদ্ধিবৃত্তিরও বিশেষ বিকাশ হয় নাই । কামিনী আবার ফিরিয়া আসিয়া বলিল, “আচাৰ্য্যি মশাইয়ের কাছে লোক পাঠাবে বলেছিলে, তা পাঠালে না ?” হৈমবতী বলিলেন, "কখন পাঠাই বল । সকাল থেকে দিদির কাছ ছেড়ে কি নড়তে পেরেছি ? হতভাগীর কি কপাল মাগো মা ! পেটে ধরল ঐ মোটে একট, এত বড়টা হ'ল, কত সাধ-আহলাদ ক’রে এই গেল বছর বিয়ে দিল, আর দেখ এখন দশা ! বে। আবাণীরই ব! কি আদেষ্ট।” কামিনী বলিল, “পোয়াতী, না ?” হৈমবর্তী বলিলেন, “এই ত সামনের মাসে ছেলে হবে । ঘটা ক’রে মেয়েকে নিয়ে গেল বুড়োবুড়ী, বলে হ'লেই বা আমাদের পাড়াগ, তাই ক’লে প্রথম পোযুতিী মেয়ে বাপের বাড়ী আসবে না ?” কামিনী বলিলেন, “এখন একটি বেটাছেলে হয় তবে না বংশটা থাকে ।” দরজার বাহিরে দাড়াইয় এক জন চাকর গলা থাকারি দিয়া বলিল, “বড় দাদাবাৰু গোট তিন টাকা চাইছেn ম৷ ” হৈমবর্তী বলিলেন, "তাকে ডাক দিকি এখানে, খালি টাকা আর টাকা । এই দুপুর রোদে কোথায় বেরবে সে ?” চাকরটা চলিয়া গেল । হৈমবতীর বড়ছেলে অমলের বয়স প্রায় পচিশ হইতে চলিল । ছেলেটি কেমন যেন অস্থিরমতি । সে একবার গেল এম্-এ পড়িতে, আবার গিয়া আইন পড়িতে ছুটিল। মাস পাচ-ছয়ের বেশী তাহাও অমলের ধাতে সহিল মা, কারবারে শিক্ষানবিশী করিতে সে জ্যাঠামহাশয়ের দোকানে গিয়া ভিড়িল । ঘরে খাইবার-পরিবার কোনো ভাবনা নাই, বাপ এখনও দিব্য কৰ্ম্মক্ষম আছেন, নিজেরও সংসার হয় নাই, কাজেই উড়িয়া উড়িয়াই তাহার দিন কাটিয়া वाहेरठरझ । প্রবাসী ●Né8総 মায়ের ডাকে অমল ভিতরে আসিয়া দরজার কাছে দাড়াইল । বলিল, “ডাকছ কেন ?” হৈমবতী বলিলেন, “তুই এই দুপুর রোদে কোথায় যাচ্ছিস শুনি ? খালি পায়ে যাবিই বা কি ক’রে " অমল বলিল, “গাড়ী ভাড়া করে যাব বলেই ত টাকা চাচ্ছি। আমায় পরেশের ওখানে এক বার যেতেই হবে ।” মা বলিলেন, “বাড়ীতে এই বিপদ, আর এখন পরেশনরেশ করে হৈ হৈ ক'রে বেড়াবি ? লোকেষ্ট বা বলে কি ? তোর জ্যাঠাষ্টমার কাছে ত আজ সকাল থেকে একবাব৪ যাস নি ?” অমল বলিল, বাতি দিয়ে দেব ? যু হবার ও ও ইয়ে গেছে, পাদ ত আৰু “ আমি গিয়ে আর ঠার কি স্বগে ফিরবে না ।" ম বfললেন, ‘ তবু সমাজের নিয়ম মেনে ও চলতে হবে ? অণ্ডচের সময় কেন্দ্ৰ লোকের বাড়ী বাড়া ঘোবে " অমল বলিল, “ত আমি চব্বিশ ঘণ্ট! ঘরে বন্ধ হয়ে থাকতে পারব না । আর বা বাড়ীর ७धादशीeभ1 ट्ध्रtछ, কাল্লার শব্দ ছাড়া আর কোনে আওয়াজ মেহ । বেঁচে আছি কি না সে-বিষয়ে সন্দেহ হচ্ছে ।” ম। শিহরিয়া বলিয়া উঠিলেন, "ষাট, ষাট কি যে বলিস্ তার ঠিক নেই। নে বাপু, তোর টাকা নিয়ে যেখানে খুশী যা। রোদে টে-টো করবি না কিন্তু ” “আচ্ছা”, বলিয়া টাকা লইয়া অমল চলিয়া গেল । সে স্বধী প্রকৃতির মাতুষ, নিজের আরামের উপর জগতের কোনো জিনিষকে স্থান দেয় না । বাড়ীয় এই শোকের আবহাওয়া, নিরস্তর কান্নাকাটি, দীর্ঘশ্বাস, তাহার ধাতে সহিতেছিল না। তাই কোনোমতে বাড়ী হইতে পলাইয়৷ গিয়া সে বঁাচিল । সিনেমায়ু যাইতে পারিলে মনট সত্য সত্যই হালকা হইত, কিন্তু সেখানে যদি কেহ ডাহাকে দেখিতে পাইয়া মাকে বলিয়া দেয়, তাহা হইলে আবার বকবিকির সীমা থাকিবে না। অগত্যা পরেশের বাড়ী গিয়া তাস থেলিয়ু দিনট কাটাইয়া দিয়া আসিবে শ্বির করিয়া সে বাহির হইয়া গেল । !. క్రౌ 3.