পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণষাড় স্বল্পম্বরণ Nర్సిఫీ “মেজক !” —ডাকে তন্দ্রাবেগটা কাটিয়া গেল । আশ্চর্ঘ্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “তুই এখানে ধে ? মেয়েদের পাত করা হয়েছে, থেয়ে মিলি না কেন ? রাত হয়েছে যে ” “এক্কেবারে খিদে নেই ।” “কেন ? ..আচ্ছা, একটু মাথার চুলগুলো ধ’রে আস্তে আস্তে টেনে দে দিকিল ।” একটু পরে । “মেজকা ।” আলসোর স্বরে উত্তর করিলাম, “হু ।” “ঘুমুচ্ছ ?” উৎসাহিত করিবার জন্য বলিলাম, " । বেশ মিষ্টি শতট বে তোর । জানতাম না ।” “ন, সে কথা বলছি ন! ৷” “তবে ?” আব একটু চুপচাপ গেল । আবার তন্দ্রাট বেশ জমিয়া আসিতেছে । “মেজক, আমার বিয়ের জোগাড় ক’রে দেবে ?” তন্দ্র। ছুটিয়া একেবাবে উঠিয়া বসিলাম। এ ধে চারপে। কলি ! কিন্তু কেন তা বলিতে পারি না, কোন রূঢ় উত্তর দিতে কেমন যেন মন সরিল না। বোধ হয় মনে করিলাম এটা নিজ লা নিলজতার নিদর্শন না-ও হইতে পারে ; সম্ভবতঃ উৎসবের ছোয়াচ লাগিয়াছে ; ন হইলে—রণুির চেয়েও ছোট—বিবাহের আর ও কি বোঝে ? উংসবের স্বরটি ভাঙিতে কেমন কেমন বোধ হইল । পরে এক দিন না-হয় সমস্ত বিষয়টির অনেীচিত্যটা বুঝাইয় দিলেই হইবে । একটু নীরব থাকিয়া বলিলাম, “তোমার বিয়েট হয়ে গেলেও তো আমরা আরও নিশ্চিনি হতাম । আজি, না-হয় কাল তো দিতেই হবে ; কিন্তু সে তো আর অল্প কথায় হয় ন ম । দেখলেই তো রাণুর বিয়েতে খরচের হিড়িকটা ? নিজেদের খরচ তো আছেই, তা ভিন্ন তোমাদের খণ্ডবুেরা তো ই করেই আছেন, অল্প দিয়ে কি আর পেট ভরান যাবে ? চাই এক কঁাড়ি পয়সা,--”

  • مامس مbٹا

“তুমি উঠে বসলে কেন মেজক ? শোও না ওদিকে মুখ করে, আমি গুড়গুড়ি দিচ্ছি।” বুঝিলাম মুখোমুখি হইয়া প্রসঙ্গটা চালাইতে পারিতেছে না ! আহ, সত্যই কি এতটা বেহায়া হইতে পারে ? হোকু না এ-যুগ, হোক না সে মডার্ণ । একটু প্রসন্নভাবেই শুষ্টয় পাশ ফিরিলাম। বুঝিলাম দু-জনের মধ্যে একটি লঘু তন্দ্রার পর্দা স্বষ্টি করিবার চেষ্টা এটা। ভাল। একটু পরে ডাক হইল, “মেজক, ঘুমুচ্ছ ?” কৃত্রিম জড়িত কণ্ঠে বলিলাম, “না—বল...” একটু থামিয়া উত্তর হইল, “পয়সা আমি জোগাড় ক’রে রেখেছি মেজক, তোমাদের ভাবতে হবে না।” সৰ্ব্বনাশ! আমার বিস্ময় আমায় যেন ঠেলিয়া তুলিয়। দিল । দুষ্ট কইয়ের উপর ভর দিয়া অৰ্দ্ধশয়ান ভাবে উঠিয় পড়িলাম এবং চক্ষু বিস্ফাবিত করিয়া প্রশ্ন করিলাম, “পয়সা জোগাড় ক’রে রেখেছিস ? সে কি রে! তুষ্ট কবে থেকে এ-মতলব অণটছিস ? একটা বিয়ের খরচ জোগাড় করেছিস বলছিস ; সে তো চাfড়খানি পয়সা নয় ।” নিশ্চয় একটা মস্তবড় বাহাদুরি ভাবিল ; না হইলে এর পরে আর উত্তর দিত মা ...আজকালকার মেয়ে ! একটু তেরছা হইয়; বসিয়া মুখটা ঘুরাইয়া লইল । তার পর ঘাড়টা ঈষৎ নীচু করিয়া বলিল, “আনে—ক আছে ; অনেক দিল থেকে জমাচ্ছি।" প্রবল কৌতুহল হইল । বলিলাম, ”সত্যি নাকি ? নিয়ে এসে দেখাতে পারিস ? তোর কাছে ; না তোর মার কাছে আছে ?” “ম, আমার কাছেই আছে, আনছি।” আপনাদের অবস্থাটা বুঝিতেছি ; কিন্তু সাক্ষাংখ্রষ্ট৷ আমার তথনকার মনের অবস্থাটা কল্পনা করিতে পারেন কি ? বিশ্বাস করিতে আপনাদের বোধ হয় মনের উপর খুব একটা ষ্ট্রেন পড়িতেছে। কিন্তু যা হাওয়া বহিতেছে, সবই সম্ভব । আজ যাহা শুনিতেছেন, কাল যদি তাহা নিজেই প্রত্যক্ষ করেন তো কিছুই আশ্চর্ঘ্য হইবার নাই। গুরু-লঘু ভেদ আর ইহার রাখিবে না ; তা হা-হুতাশ কfরলে আর উপায় কি ?