পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vరిveఆ মেয়ে পনর উত্তীর্ণ হইয়া বোলয় পা দিয়াছে, বিবাহ না দিলে চলে না, অথচ স্বামী অশক্ত, নির্ভর করিতে হইবে দেবর হেমন্তের উপর—শাস্তিলতার স্বামী । তাই কথাগুলি বড়বোয়ের তত ভাল লাগিল না, কথা সে একটাও বলিল না, কিন্তু নিজেরও অজ্ঞাতে একটা দীর্ঘনিশ্বাস বাহির হইয়া আসিল, হায়, এবারই পূজায় সে কন্য। উষাকে একথান ঢাকাই বুটীদার দিবে বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছে,— ভাগগি রাঙা ঠাকুরপোকে সে এ অঙ্গুরোধ জানাইয়া চিঠি লেখে নাই । ছোটবে সুহাসিনী একটি বেতের ধামিতে করিয়া চাল লইয়া এক হাতে পায়ের কাপড় তুলিয়া আধ হাঢ় জল বঁাচাইয়া রান্নাঘরে যাইতেছিল । মেজবৌয়ের রাগ পড়ে নাই, তাহাকে দেখিয়া আবার জলিয়া উঠিল, ঐ ত এক জন দাদাদের কথা ন শুনে স্বন্দরী বেী বিয়ে করে আনলেন, কিন্তু খাতি দেয় কেডা—শুনি ? কত দিন ত দুডোরেই পুষতি হ’ল—কই এক বছর ত রোজগার করতি গেছেন, এটুট। ফুটে পয়সা দিয়ে ত সাহায্য করতি পারলেন না ! গা আমার জলে ঘায়-- শাস্তিলতার মেজাজ দেখিয়া বড়বেী ও ছোটবেী আশ্চৰ্য্য হইয়া যায়। স্বামী তার অন্নদাতা, স্বতরাং মেজাজ তার হষ্টবেই, কিন্তু জল বাড়তির সঙ্গে সঙ্গে মেজাজ তার দিন দিন যেন বাড়িয়া চলিয়াছে । পরের দেওয়া ভাত যখন থাইতে হয়, তখন কথা তাহার শুনিতে হইবেই, কিন্তু তাই বলিয়া দুঃখ কি লাগে না ? রুগ্ন স্বামীর কানে কথাগুলি পৌঁছিয়াছে নিশ্চয়—বড়বেী মুখ নীচু করিয়া তাহাদের পশ্চিমের ঘরে রওনা হইল। পক্ষাঘাতে তার স্বামীর অঙ্গ হয়ত চিরকালের জন্যই ঘুমাইয় পড়িয়াছে, কিন্তু কান ও মন হইয়াছে অধিকতর সজাগ । রাধিতে বসিয়া স্বহাসের বুকের ভিতরটা সেদিন কেবলই মোচড়াইতে লাগিল। প্রায় বৎসর ঘুরিয়া আসিল স্বামী তাহার বিদেশে গিয়াছে, এর মাঝে একখানাবই চিঠি সে পায় নি। এত দিনই সে চাকরি পায় নি—এটা কি সত্যি ? আর কত দিন সে পরের দুয়ারে দাস-বৃত্তি করিবে, পরের লাথিঝাটা খাইবে ? বিশ টাকা মাহিনীর চাকরিও কি এত দিন মিলিল না, তাহা দিয়াই যে স্বহাস প্রবাসী ১৩৪৪ সংসার করিতে পারিত ! একখানা চিঠি লেখার পয়সাও বি র্তার জুটে না ?—মুহাসের কান্না পাইতে লাগিল। বে জানে—হয়ত তাই ! সে ত পরের লাথি থাইয়াও দু-বেল দু-মুঠে খাইতে পাইতেছে, কিন্তু ঐ নিতান্ত অসহায় আয়েস জীবটি কোথায় কি খাইয়া দিন কাটাইতেছে—কে জানে যাবার সময় সে বলিয়া গিয়াছে, যত দিন কাজ না পাই বাড় আসব না, চিঠি লিখব না, তুমি ভেবো না। চিঠি না পেলে জেন—ভাল আছি,—অসুখ হ’লে খবর পাবে। কিন্তু সুহাস বোঝে না—fববাহের পর যে-লোক তার আঁচল ছাড়িয় এক দিন কোথাও কাটাইতে পারিল না,–এক বৎসর ঘূরিয়া আসিল, এতদিন হগসকে ন! দেখিয়া, তার খবর না লইয়া সে কি করিয়া আছে ! দক্ষিণের ঘর রান্নাঘরের কাছে । ভাসিয়া আসে, স্বধ। তার মায়ের কাছে আবার করিয়ু বলিতেছে,—তা আমি কিছুতি শোনবে না—তা ক'য়ে দিচ্ছি,—সিদ্ধের ছাপা শাড়ী আর দুডো চুড়,--আর বছর তুমি ফাকি দিছে, এবার কিন্তু আমি কিছুতিক ছাডবে! न1 ।। শাস্তিলতা তাহাকে চাপা গলায় ধমক দিল, চুবো। স্বধ চুপ করিল কিন্তু মাণিক আবার স্বর ধরিল—ম, আমার এটুটা সিদ্ধের জামা দেব,—বাগচীগারে অমূল্যর মত—দেবী—কও ! আর একটি কচি কণ্ঠের স্বরও কানে আসিল - ম', আমাল দেবা এটুট ! মা কি উত্তর দেয়, বোঝা যায় না, হয়ত আদর করিয়া গালটা একটু টিপিয়া দিয়াছে। স্বঙ্গসের মনের আর কোথাও যেন ব্যথা লাগে : অমনি নরম তুলতুলে দুটি গাল...তাহার দিকে চাহিয়া বুঝি স্বহাস আর এক বেদনা কিছু তুলিতে পারিত। সহস মুহাসের মনে হয়—সত্য আসিবে। বিজয়ার দিন শেষ রাত্রে আসল্প বিরহের কথা স্মরণ করিয়া স্বহাস যথন অস্থির হষ্টয়া উঠিয়াছিল, বার-বার তার চোখের জগ মুছাহয় সত্য বলিয়াছিল—সে আসিবে, যেখানে যেরূপ অবস্থায় থাকে সে পূজায় তাহার স্বহাসের পাশে আসিবে। মা প্রসন্ন হইলে সে স্বহাসকে সঙ্গে লইয়া যাইবে । মা প্রসর হইয়াছেন সেখান হইতে কথা