পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nరి(S গণনায় না আনি বেদন লভি শিক্ষা, আমুক যত না যাতনার নিষ্পেষণ, নিঃশঙ্ক-আস্তর হহ অগ্রসর । প্রাণে উপজয় কৌতুকের সনে যেন সাত্বনার মধু সমন্বয়। জীবনের বিফলতা মাঝে কণ্ঠে জয়মাল্য ধরি, চেয়েছিল্প হ’তে যাহা, সে ব্যর্থ প্রচেষ্টা ওঠে ভরি প্রশাস্তি কুশলে মুখী আমি, পশুত্বের গুরুভারে ডুবি নি অতলে । সে কি পশু নয়, আত্ম ধার অসি সম রক্ত-মাংসে কোষবদ্ধ রয় ? বাসনা যাহার ইন্দ্রিয়ের বনে বনে ব্যাঘ্ৰ সম করিছে বিহার } যে মাতুম, প্রশ্ন কর তীরে, —দেহের চূড়ান্ত বেগ তাহার আত্মারে সঙ্গীহীন যাত্রাপথে কত দূর লয়ে যেতে পারে ? তবু যা পেয়েছি তার আছে ব্যবহার জানি আমি ; কতু নাহি করি অস্বীকার জীবন-সরণি পরে প্রতি বঁাকে বাকে অতীত আমাকে দিয়াছে যে কত শক্তি কত না পূর্ণত কত সার্থকতা ! এ নয়ন শ্রবণ-গাগরি আমি যে লয়েছি ভরি ভরি ! স্মৃতির ভাণ্ডারে সব রয়েছে সঞ্চিত । আনন্দ-স্পন্দিত হিয়া মোর উঠিবে না পুলকে শিহরি, বলিবে না,—“পেয়েছি শিখেছি কত এই দেহ ভরি ?” একটিমাত্র প্রাণস্পন্দে বলিব না আমি —“নমো নম:, ধন্ত তুমি হে জীবনস্বামী ! তোমার পরিকল্পনা পূর্ণরূপে পাই দেখিবারে । SNరి88 যেখা দেখিতাম শুধু শক্তিমাত্র তাহার মাঝারে পাই যে প্রেমের নিদর্শন, বিশুদ্ধ অপাপবিদ্ধ আনন্দগহন। নাই খুং তব রচনার নরজন্ম ধন্য যে আমার ! হে বিধাতা, ভেঙে চুরে তুমি মোরে গড় পুনরায়, তুমি যে মঙ্গলময়, নাহিক সংশয়-লেশ তায় । এই রক্তমাংস মুখে ভরা, ফুল-ফাদে আছে যেন ধরা অামাদের অন্তরাত্মা, সে বাধনে ধরা তারে টানে । তবু শাস্তি চায় প্রাণ তৃপ্তি নাহি মানে । চায় সে পশুর এই সুবিপুল ঐশ্বর্য্যের সনে অপার্থিব চিন্তামণি ধনে, —মানবের প্রচেষ্টার উপলব্ধি সার শ্ৰেষ্ঠ পুরস্কার । সদা যেন এ কথা না বলি, —যদিও এ রক্তমাংস ছলিছে কেবলি, তবু আমি আত্মবলে করিয়াছি ইন্দ্রিয় বিজয়, তাই প্রাণ নব নব সিদ্ধিপথে অগ্রসর হয়। মুক্ত পক্ষে ধায় পার্থী মুখে গান গায়, তেমনি আনন্দে যেন কণ্ঠে উথলায় এই বাণী-—“যাহা কিছু আছে ভাল সকলি মোদের, আমুকুল্য লভে দেহ আত্মা হ’তে, আত্মা পায় অঞ্জলি দেহের । 别 যৌবনের উত্তরাধিকার তাই দাবী করি আমি সম্মুখে জরার । জীবনের যুদ্ধ অবসানে বিধাতার আশীৰ্ব্বাদ ধরি মোর প্রাণে । পূর্ণাঙ্গ পশুর পদ পিছু ফেলি হয় অগ্রসর দেবানুসন্ধুত নর দেবের প্রবর।