পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i. سراسbه সহ ইহারা মহা আড়ম্বরে জীবন-যাপন করেন এবং শিক্ষকের সঙ্গেও রাজকুমারের মতই ব্যবহার করেন, সুতরাং লেখাপড় কতটা হয় বুঝিতেই পারেন। অবতারী লামা বলিলেন, “পুথি বেশী নাই, তবে এক হাত লম্বা ও এক বিঘং পরিমাণ একটি মোটা পুলিনায় অতিশার স্বহস্তলিখিত তালপত্রের পুথি আছে ; ইহা ডোম-তোন-প স্বয়ং মঠে দান করেন। আমি দেড় বৎসর বাদে মঠে ফিরিয়া যাইব, আপনি আমার সঙ্গে যদি যান তবে সে সবই আপনাকে দেখাইব ।” এত দিনে প্রামাণ্য খবর পাওয়া গেল। যাইবার জন্যও মন উৎসুক হইয়াছিল বটে, কিন্তু দুঃখের বিষয় দেড় বংসরের পূৰ্ব্বেই আমাকে দেশে ফিরিতে হইল। ঐ পুথিগুলি সত্যই যদি অতিশার হাতে লেখা হয়, তবে তন্মধ্যে র্তাহার রচিত হিন্দী গীত থাকাও সম্ভব । ২৪শে নভেম্বর, ভোটীয় দশম মাসের নবমী fতথিতে সে-র সংস্থাপক জম-ঘঙের মৃত্যুতিথি ছিল । সে রাত্রে সারা শহরে ও আশেপাশের পর্বতগাত্রে বহু দীপ জালানো প্রবাসা 动°8@ হইয়াছিল। মহান সংস্কারকের সম্মান যোগ্যভাবেই দেওয় হয়। পথে-ঘাটে দীপশোভা দেখিতে বহু লোক আসে, দুঃখের বিষয় সেই রাত্রে যাহারা একেলা বা দুই-এক জন সর্থীর সহিত বাহির হইয়াছিল এইরূপ অনেক স্ত্রীলোকের উপর অশেষ অত্যাচার হয় । এইরূপ দুরবস্থার কারণ বোধ হয় শহরে লড়াইয়ের জন্য যে-সব সৈন্য একত্র করা হইয়াছিল তাহাঁদের উপর নিয়ম বা শাসনের অভাব । ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এক জন নূতন নেপালী উীঠ। অর্থাৎ দ্যায়াধীশ এখানে বদলী হুইয়া আসিলেন । ইনি ইংরেজী জানিতেন, আমার সঙ্গে আলাপ হইলে ইনি ইহার পুত্রকে সংস্কৃত শিখাইয়া দিতে আমাকে অনুরোধ করিলেন । ছেলেটি মেধাবী, আমার নিকট পুস্তক ছিল না, স্বতরাং লিখিয়া পাঠাভ্যাস কfরত । এই সময় আমার আর এক জন ছাত্র জুটিল। এ-ব্যক্তি চীনা, অর্থাৎ ইহার পিতা চীনদেশীয় fছলেন, বিশুদ্ধ চীনা ত এখন এদেশে নাই বলিলেই হয় । এই লোকটি অন্য অৰ্দ্ধ-চীনা বালকদের পড়াইয়ু এবং সরকার-তরফে চীনা চিঠিপত্র অনুবাদ করিয়া গ্রাসাচ্ছাদন হইয়াছিল। পর দিন স্বয়ং মহান চোণ্ড-থ-পার মৃত্যুতিথি, করিত। আমার সঙ্গে ব্যবস্থা হইল আমি তাহাকে সুতরাং সেদিন শহর ও নিকটবৰ্ত্তী পাহাড়ের উপর ছোট- ইংরেজী শিখাইব, সে তাহার বদলে আমাকে চীন বড় মঠগুলি দেওয়ালীর মত দ্বীপমালায় স্বসজ্জিত শিখাইবে। ፴፫፻፶: কাব্য-বিচারের নিকষ-পাথর ঐবিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় কোন কবিতা স্বন্দর আর কোন কবিতা অম্বন্দর তা নির্ণয় করবার সহজতম মাপকাঠি হচ্ছে পাঠকের ভাল লাগা এবং না-লাগা । গরম জলে হাত লাগামাত্র যেমন তার উষ্ণতা আমরা অনুভব করি, ভাল কবিতা পাঠ করার সঙ্গে সঙ্গে তার সৌন্দর্য্যকেও তেমনি আমরা উপলব্ধি ক’রে থাকি । অনবদ্য কবিতা আমাদের অস্তরে জাগায় এমন একটি আনন্দের অনুভূতি যা অনিৰ্ব্বচনীয়। পাঠক-পাঠিকার চিত্তে অনিৰ্ব্বচনীয় আনন্দের এই অমৃদ্ধৃতিটিকে জাগানোর জন্ত কবিতার মধ্যে থাকা চাই কতকগুলি গুণ । এই গুণগুলি যেখানে বর্তমান, সেখানে কাব্যের মধ্যে আমাদের চিত্ত পায় অমুতরসের আস্বাদন। ভাল কবিতার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে শব্দ-প্রয়োগের অসাধারণ নৈপুণ্য। ভাষার মধ্যে থাকা চাই একটি আশ্চৰ্য মোহিনী শক্তি। কবিতার চরণগুলি কানে বাজার সঙ্গে সঙ্গে মনে হবে, ‘চমৎকার । এমনটি ত কখনও শুনি নি জীবনে ! মাটির কোলে এ যেন সঙ্গীতের ইন্দ্রজাল !" ভাষার এই মোহিনী শক্তি মনের মধ্যে ধ্বনির নীহারিকা স্বাক্ট করেই নিঃশেষ হয়ে যাবে না। কারণ শব্দের মাধুৰ্য্য