পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1్క\రిరి প্রবাসী s*88 আসিয়াছেন। সদরের ও মহকুমার উকীল-মোক্তারও অনেকে উপস্থিত আছেন। ভালকুটি গ্রামের মুচিদের ব্যাও বাজনা পৰ্য্যস্ত ভাড়া করা হইয়াছে । আবাহন, বরণ, পুষ্পবর্ষণ, মাল্যদান, স্তবগান শেব হইতে হইতেই করতালিধ্বনিতে আসর বেশ জমিয়া উঠিল । সভামগুপের একটা দিক্ অধিকার করিয়া সারি সারি চেয়ারে চোগ চাপকান পাগড়ী আংটি চেন ঘড়িতে স্বশোভিত হইয়া মুখুজ্জে-কৰ্ত্তারা বসিয়া আছেন । কয় জন তরুণবয়স্কের পরিধানে হাট কোট টাই, চোথে চশমা। কৰ্ত্তারা প্রত্যেক অনুষ্ঠানের শেষে ঘাড় নাড়িয়া মৃদু মৃদু হাসিতেছিলেন । অতঃপর আসিল বক্তৃতী-পৰ্ব্ব । এইবার আসরটা যেন ঝিমাইয়া পড়িল। দেখা গেল সকলেই হাততালি দিবার লোক—বক্তৃতা দিবার লোক কেহ নাই। অবশেষে জেলার ফৌজদারী আদালতের এক জন উকীল উঠিয়া এই কমলাশ্রিত বংশটিকে কল্পতরুর সহিত তুলনা করিয়া বেশ খানিকট বলিয়া আসরের মানরক্ষা করিলেন । সঙ্গে সঙ্গে করতালিধ্বনিতে আসর যেন ভাঙিয়া পড়িবার উপক্রম হুইল । তার পর সভা আবার নিস্তষ্ক । সভাপতি জেলার জজসাহেব চারি দিকে চাহিয়া বলিলেন—“বলুন, কেউ যদি কিছু বলবেন ? কেহ সাড়া দিল না। আবার সভাপতি বলিলেন, ‘বলুন, বলুন যদি কেউ বলতে চান ।” রামপুর মহকুমার বৃদ্ধ মুন্সেফ বাবু এবার টুবাবুকে অনুরোধ করিলেন, 'কুটুবাবু, আপনি কিছু বলুন।" কুটুবাবু ( কুটবিহারী বন্দ্যোপাধ্যায় ) রামপুর মহকুমার মোক্তার, সমবয়সী না হইলেও গুটুবাবুর সহিত মুন্সেফ বাবুর ঘনিষ্ঠ হৃদ্যতা। কুটুবাবু হাতজোড় করিয়া বলিলেন, ‘মাফ করবেন আমাকে ’ সভাপতি কিন্তু মাফ করিলেন না, তিনি অনুরোধ করিয়া বলিলেন, ‘ন-না, বলুন না কিছু আপনি ? কুটুবাবু এবার মোট দ্বস্বতী চাদরখানা খুলিয়া চেয়ারের হাতলের উপর রাথিয়া উঠিয় দাড়াইলেন। তার পর আরম্ভ করিলেন, “সভাপতি মশায়, এবং মহাশয়গণ, আপনার সকলেই বোধ হয় জানেন যে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার মুখে প্রথমে দেয় মধু। লোকে বলে, আমার মা না কি আমা মুখে নিমফুলের মধু দিয়েছিলেন । আমার কথাগুলো ব তেতো । সেই জন্যেই আমি কোন কিছু বলতে নারা fছলাম। তবে ভরসা আছে ব্যঞ্জনের মধ্যে উচ্ছেঃ একটা স্থান আছে এবং দেহে রসাধিক্য হ'লে তিক্তভক্ষণ বিধেয়, সেই জন্তেই বসন্তে নিশ্বভক্ষণের ব্যবস্থা। কঙ্কণ গ্রামে দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হ’ল আমাদে ধনী মুখুজে বাবুদের দানে, খুব মুখের কথা আনন্দের কথাভাল অবশু বলতেই হবে । কিন্তু আমার বার-বাঝু | হচ্ছে, এ হ’ল গরু মেরে জুতো দান আর জুতেী-জোড়াটা মরা গরুর চামড়াতেই তৈরি । এ অঞ্চলের সেচের পুকুরে সেচ বদ্ধ করেছেন এই বাবুর।--ফলে অজন্মাহেতু অণঃা চাষী আজ দুৰ্ব্বল--রোগের সহজ শিকার হয়েছে। স্বদের স্ত্র তস্য স্বদ তাদের কাছ থেকে আদায় ক’রে তাদের পে বসিয়ে—” সমস্ত সভাট চঞ্চল হইয়া উঠিল । সভায় উপস্থি মূখুজে বাবুরা বসিয়া বসিয়া ঘামিতে আরম্ভ করিলে র্তাহীদের হাসি তখন কোথায় মিলাইয়া গিয়াছে, পরস্পংে মুখের দিকে চাহিয় তাহারা পাষাণ-মূৰ্ত্তির মত নিশ্চল হই বসিয়া রহিলেন । তাহাদের দিকে চাহিয়া সভ্যস্থ ভস্থ মণ্ডলীও কেমন অস্বস্তি অনুভব করিতেছিলেন। কুটুবাবু তখন অনেকটা অগ্রসর হইয়াছেন, তিনি বলিতে ছিলেন—“আমার পূর্কের বক্তা মহাশয় এদের কল্পতরু সঙ্গে তুলনা করলেন। আমার মনে হয় তিনি এদের স৷ে কিঞ্চিং রসিকতা করেছেন, কারণ বাস্তব সংসারে কল্পত অলীক বস্তু—আকাশ-কুহুমের পুষ্পাঞ্জলির মতই হাস্যকর আমার মনে হয় এদের তুলনা হয় একমাত্র খেজুরগাঙ্গে সঙ্গে। মেসোপটেমিয়ার খেজুরগাছ নয়—আমাদের খাটি দে ষ্ঠাটিলার খেজুরগাছের সঙ্গে । তলায় বসে ছায় কে কখনও পায় না, ফল—তাও মাটিলার, আর আলিঙ্গন কর:ে ত কথাই নেই, একেবারে শরশয্যা। এদের হুদের গ চক্রবুদ্ধি হীরে, এদের প্রজার জল্পে বরাদ দোকানে বরাতআধি পয়সার মুড়ি, আখ পয়সার বাতাস, আর কেউ যf কাকূতি-মিনতি ক'রে মদ-মাফের জন্তে জড়িয়ে ধরে তংে কথার কাটায় তাঁর শরশধ্যাই হয়। তবে ভরসার মধ্যে