পাতা:প্রবাসী (সপ্তত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরুষের মন স্ত্রীরথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছল এক সময় মোহজালে জড়ালুম নিক্সেকে, যখন মেয়েদের উড়ে-পড়া আঁচলের ধারটুকু দুলিয়ে সোনার শিকল পরসুম পায়ে, দিত মন, তাকে নিলুম টেনে এত কাছে – তাদের এঙ্গোচুলের অল্প একটু ছোওয়া গায়ে দিত কাট, দেখতে কেমন, বয়স কচি ন কাচ, ছিল না খেয়াল কিন্তু লাগত ভালো । যা ছিল রঙীন আবছায়া একদিন তাই জমে উঠল মৃতিতে, মাধুরীর ছায়াপথে ফুটে উঠল কল্পনার একটি তারা, কাজের ফঁাকে ফঁাকে দেখা দেয় আর ঢাকা o পড়ে তার মোহন ছবি, মনকে ডুবিয়ে দেয় ধ্যানের অতলে, মায়ামূগী ভুলিয়ে নিয়ে যায় স্বপ্লের গহনে, চমক লাগিয়ে দেয় প্রহরগুলিতে ফেনিয়ে তোলে ভালোবাসার পাগলামি । মল্লিকা যখন এল ঘরে ভাবলুম যৌবনের সেই মরীচিক। প্রিয়ার দেহ ধরে লড়াল আমার পাশে । কত তার ছলনা আমি তা বুঝি তবু বুঝি নে । সে হয় ভারি খুশি । ফাক রইল না কোনোখানেই কল্পনা ধরা দিয়েছে হাতে এই আশ্বাসে বুক রইল ভরে কানায় কানায় { এথন স্মৃষ্টি হাংড়িয়ে ভাবি সে আছে কি নেই। যেন কুড়িয়ে পাই তাকে এখানে সেখানে । কারো চোখের চাহনিতে সন্ধান পাই তার, কারো একটুখানি হাসিতে পুরোনো হাসির7-> ঝলক লাগে, কারো আচমকা ছোওয়ায় স্বপ্ন দেয় জাগিয়ে, মনে হয় আরেক যুগের আগাথা মালার মুক্তে সব, প্রথম প্রেয়সীর ছড়ানো পরিচয়ের টুকরো। পাব কি কখনো ফিরে স্থাপন করেছিলুম যাকে ম্পর্শে ভ্রাণে ধ্যানে জ্ঞানে আমারই প্রিয়ার মাঝে । মল্লিকা কিছু বলে না, কেবল মূচকে হাসে, ভাবে, পুরুষের মন সে জানে ॥