পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালী জেঠ ১৩২ - ১৭শ ভাগ, } খ০ একওয়ে। আমের রসের লোতে যাহার মুখে দল গড়াই এমন সময় আপনাকে বিরক্ত করতে এসেছে বলে মহারাজ তেছে, সারা বাগানের শাকসবজি উজাড় করিয়া দিলেও ছখিনীর অপরাধ নেবেন না। অাহ, কেঁদে কেঁদে তাহার চোখ সেদিকে তাকায় না । মিঃ বেটসের মতামতে অভাগীর বুকটা যেন দুখান হয়ে যাছে। মি: গিলফিলের মনে একটা রেখাও পড়িত না, কিন্তু আর ই, হঁ্য, চোথের জ্বল ফেলতে ত’ আসার কড়ি ফেলতে একজনের মতামতে সেই মনেই খুব গভীর রেখা পড়িত হয় না। স্নাচ্ছা, যাও তাকে একবার লাইব্রেরীর ঘরে কি কপাল এমনই যে সে আর -একজনটি তাহাকে দোটেই পাঠিয়ে দাও গিয়ে বেটসের চোখে দেখিত না কনি পান শেষ হইল। যুবক দুইটি উঠিয়া ময়দানে এই অ্যর একজনটি যে কে তাহা বাহির করিবার স্ত মহিলাদের কাছে চলিয়া গেলেন । মৃদ্ধ জমিদার লাইব্রেরী খুব একজন বড় পৰ্য্যবেক্ষকের দরকার হয় না । ময়দানের মুগো হইলেন সঙ্গে-সঙ্গে চলিয়াছে তাহার অায়ের উপদ্ম দিয়া বালিশগুলি হাতে করিয়া ওই ংে ক্ষুদ্ৰ মূৰ্ত্তিটি ডালকুণ্ড ষ্টিপাট । আহারের সময় সে প্ৰভুর ডানদিকে চলিয়াছে, তাহার দিকে মিঃ গিলফিলের আকুল দৃষ্টটি স্বাক্ষা নিজের প্ৰিয় স্থানটিতে অত্যন্ত ভদ্ৰলোকের মতন চুণাট করিলেই সেই মানুষটিকে আবিষ্কার করা যায় প্তেন করিয়া বদিয়া ছিল । কিন্তু পানের সময় আসিতেই সে উইঙে সেইদিকেই চাহিয়া ছিলেন। কিয় হতে টেবিলের তার অন্তৰ্বান বোধ হয় তাহর মনে হইতে হা সুন্দৰ মুখতে সৌন্দৰ্য্যের প্রশংসা ছাড় হার কে ছিল পানাসক্তিটা মঙ্গল গুলোর একটা দুৰ্ব্বণত সে সেটা কিছু ছায়া পড়ে নাই ন করতে বিশেষ বা খবরের কাগজের উপর হইতে দুখ তুলিয় স্তর ক্ৰিষ্টফার খাইবার ঘরের পরেই দেয়াল-ঘেরা একটুখানি পথ, ওহে ! ঐ যে দেখি আমার গিী ! অ্যাণ্টনি পথের উপর মাদুর পা দুই চারি পা যাইলেই লাইব্রেরী টাটা বাজাও তা, কফি আনতে বল, চল, আমরাও ঘরের জানালার উপর একটা প্ৰকাণ্ড বিচ পাছ কুবিয়া এখানে গিয়ে হাজির হই । টিনা আমাদের একট গান ছায়া করিয়া আছে, চারটি দেয়ালের গা গাঢ় রঙের পুরানে শোনাবে এখন বই দিয়া মুড়িয়া দেওয়া ঘরখানি যেন মুখ আঁধার করিয়া তখনই কফি আসিয়া হাজির হুইল আজ কি অাছে। বিশেষতঃ খাইবার পুরের অতি স্বাক্ষ কাঙ্ককাৰ্য্য লাল -পোষাক-পরা থানসামা বাহকক্ষপে আসে নাই ও হালকা সুঞ্জের চিত্ৰে সোনালি ছোপের বাহার দেখিবার বাড়ী বুড়ে চাকরই, একটা বাড়া ধোয়া পুরানো কালো পত্র এ ঘরে ঢুকিলে ঘরানাকে নিশুভ লাগাটা খুবই জাৰ্মা গায়ে দিয়া করি সরঞ্জাম লইয়া আসিল । টেবিলের স্বাভাবিক উপর বড় বারকোষখানা নামাইয়া সে বলিগ থরের ঠিক মাথানটিতে একটি স্ত্ৰীলোক বিধবা ধাপ বুড়ো বিধবা স্ত্ৰী তাড়ার-গরে বাড়িয়ে-ড়িয়ে পোষাক পরিয়া পাড়াই ছিল সাধু ক্ৰিষ্টার ঘরের দিছে, একবারটি আপনার দৰ্শন চায় । দরজা খুলিতেই দরজা দিয়া উক্ষণ আলোর শ্ৰোত আঁধার ৱ জিষ্টা খুব তীয় সুরে জোর দিয়া বলি, গরের ছিতরে সেই মেয়ের গায়ে গিয়া পড়ি ও যা বিলিব্যবস্থা করবার সে ত আনি মাধ্যমকে বলেই স্বরে ঢুকিতেই বিধব খুব নত হইয়া তাহাকে দিয়েছি তাকে বল আর আমার কিছু নেই- নমস্কার কলি । বিধবার বঙ্গ প্ৰায় চল্লিশের কাছাকাছি, বেশ হাসিপুৰী নধর চেহারাটি । কঁদিয়া কঁাদিয়া চোখ ভূত্য হাত জোড় করি আর-একটু বনয়ের সুরে দুষ্ট লাল হইয়া উঠিয়াছে। ডান হতে একটা মোচড়ানে লিল, “মহারাজ, গরীবের উপর একটু দাল ; চোখের জলে ভিজ সর ক্ৰিষ্টফার সোনা ভাগী একেবায়ে ভেঙে পড়েছে। বলে, আপনার দৰ্শন না। মন্তাধারটি বাহির করিয়া তাহার ঢাকনাটায় টোকা দিতে লিলে সে সারারাত একবার চোখ বুজতেও পারবে না দিতে বলিলেন, "কিগো, হাটপ-গিলি, আমার কাছে অ ২য় সংখ্যা স্মৃতির সোঁভ কি মনে করে’ ? মাৰাম তোমার জমিজমা ছেড়ে দেবার সে হয় তোমার পয়সা কটা ঠকিয়ে হাত ফার পারোয়ানা দিয়েছে না ?” নয় ফুসলিৱে-ফালিয়ে তোমা বিয়ে করে বসৰে।।” আরে, হা মহারাজ, দিয়েছে বটে। সেই জন্যেই অ’ ওমা গো, সে কি কথা, তেমন মেয়ে মানুষ আমি নই আপনার চরণে এসে পড়েছি। ধৰ্ম্মাবতার, গরীবের কথা অম্বন কথা আমার কেউ কোনো দিন বলতে পায়েনি। আয় একবারটি ভেবে দেখবেন চন্দ্ৰস্থৰ্য্যর উঠতে ভুল হুঁ, তা সেটা না বলাই সম্ভব, কারণ এর আগে হলে আমার স্বামীৰ খাজনা দিতে একটি দিনও ভুল আর তুমি কোনোদিন বিধবা হওনি । হয়নি। কাচা বাংলা নিয়ে আমায় ভিটে ছাড়া করবেন না।” চিরকালই বোকা, তার ওপর বিধবা হ’লে যেন নীরে ধাও বাও, আর মেলা বাজে ৰোকোন একটা বোকা হয়ে ওঠে। এখন ভেবে দেখদিধি, বছর চার এই জমি ইজারা নিয়ে স্বামীর রোজগারের শেষ কড়িটি অবধি সব কাবা চালালে যখন তোমার পয়সা কস খুইছে তোমাঙ্গি বা কি লাভ হবে, আর তোমার ছেলেপিলেরই ফুৰিয়ে আত্মা যাবে, আৰ্দ্ধেক খাজনা বাকি পড়ে যাবে বাকি লা হবে, বল দেখি! তার চাইতে যেখানে টাকা বাসও বব গোল্লায় যাবে, তাতে তোমার লাটা কি হবে ? কটা রাখতে পাের এমন কোনো জায়গায় যাও, এখানকার অার নগ্নত কোন একটা হামদো বুড়ো বর জুটে তোমায় পুজি-পাটা বেচে দিয়ে বসবাস কর গিয়ে । এ ত’ জানা- ছেলেপিলেগুলোকে পিটিয়ে আর দিবারাত্ৰি তোমা গাল কথা যে আমি প্ৰজা মারা গেলে তার কে জমি ইজারা পেড়ে ভূত-ছাড় করে’ দেবে ।” ইলা । অজ্ঞে না মহারা, চাষবাস আমি বেশ বুধি, দোহাই ধৰ্ম্মাণ তার, একবার আমার কথাটায় কান অবধি বলে ওই-সবের মধ্যে কাটিয়েই তিন কালকাটালাম ন। ঘাস খণ্ড ধান চাল গঙ্ক বা পাণ পাখালী আর এই দেখুন না, আমার এক দিদিশাশুড়ী, কমন্ধে সব বেচে থাৱ শোধ করে টাকা খাটাতে গেলে একবেল পুড়ি বঙ্গর একটা ক্ষেত থামারের কাজ চালালেতায় দুটো মুখে দেবার মতনও থাকবে না বোধ হয় তারপর বুঢ়ী মরবার সময় সব কটা নাতিনাতনীর সঙে হাল ছেলেগুলোকে মানুষ কবই বা কি দিয়ে অার কাজ কৰ্ম্ম পত্তর লিখে দিয়ে গেল ; আমাদের উনি ত তখনো জন্ম শেখাবই বা কি করে আপনার নিদাদীর প্রার মান নি, তা তিনিও দিদিমার সম্পত্তির ভাগ থেকে বাদ ক’ত ? মাই বাবার আগে কোনে নি যে গন মাস্কায় পড়েননি : নি, খড় বেচেও খায়নি, তারই ছেলে কিনা। শেষে দিন সেই পাঁচ হাত লম্বা মেয়েমানুষ ত ; টাৱা মজুরি করে ’ থাৰে ! হা অামার কপালা : গায়ের ট্যাদা চোখ আর খোচা-খোচা হাত পা । সেীমানার চাধাদের ডেকে ডিগেস করুন, আমার স্বামীর বানি, মহিষমৰ্নিী। তোমার মতো কুলে থাছে মুছা চেৰে ধীর স্থির আর ভদ্ৰ লোক পিষ্টোন বাজারে আর হাটপ-গিৰি ।” তে নামরবার সময় গুমা গো, সেকি কথা, সাত জন্মেও ত’ তায় ট্যা সামায় শেষ ক গেল, বেসি, জনিলা-মশা যদি দয়া করেন, তবে চাব চোখের কথা শুনিনি। লোকে বরং বলত, ইচ্ছে করবে বাসের জটিা ছেড়ে না, চালিয়ে নি। ও । সে সাত বাৱ বিয়ে করতে পাৱত । কঁাদিতে-বাদিতে হাটপ-পিহি থামিয়া গেল, সার তেমন টাকার কাঙালগুলোর সঙ্গে নয় । বেশ অৱ া ষ্টা সেই অবসরে বলিয়া লইলেন, “হু হু, চের স্বরে বরেই হত এখন আমার কথাটা শোন বুদ্ধি বিবেচনা ছা, স্থা, তোমাদের সব অমনিই বুদ্ধি কাণ্ডজ্ঞান কাকে বলে সেটা একটু শেখ চাষবাস যত লোক তোমাদের দিকে একবার তাকিয়েছে, সবাই গাতে তুমি তোমাৰ গােয়ালেখা থকাটা মতই তোমাদের বেিয় করবার জন্ধে পিতাশ করে বলে দত । দেথবা শোনার লোক তোমায় সেই রাখতেই আছে আর যার যত বুলি আর গণ্ডাৰ্ত্তি