পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯৩ প্ৰবাসী—শ্ৰাবণ, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কিন্তু চম্পাৱ মনে হছিল, বোদ পড়তে এত দেী বুদ্ধি তার তিনি কোঁচের উপর লম্বা হয়ে গড়গড়া টানছিলেন, সঙ্গীত জীবনে আর কখনও হয়নি। সে তার সব কাজ শেষ করে কারিণীদের এবং বাদিকদের প্রয়াসগুলো সফল হচ্ছে ফেলে বেগমের ঘরের সামনে এসে দাড়াল এ কে ন সেদিকেও তার দৃষ্ট ছিল বেগম ছেলের অস্থি আজ আর চেনবার জো নেই। চিরকালে অনাদরের গা করছিলেন। কিন্তু তার মহলের অনেক জিনিষ বাস্তবি মেয়ে যেন আজি বাস-সঙ্গার সেয়ে পাড়িয়েছে। বেগমে দেখবার উপযুক্ত । তিনি ছেলেকে সে-সৰ দেখাবার মুখের হাসি আজ সারা বাড়ীর মাধৱ বু করে দিয়েছে একজন লোক খুঁজছিলেন, নিজে তখন ঘর ছেড়ে যেতে এ যেন ভাগাদেবীর প্রসহ অংশীদাদে তার দশ বছরের পারছিলেন ন আর-সব দাসীরা তখন খাও মাগের দিন ফিরে এসেছে তখন স্থানী তাকে উপেগ আরোহন করতে কি অল্প কাজে বাস্তু, কেবল করতে পারতেন না, ছেলের ৪ কে একটু প্ৰয়োজন ছিল দেথা নেই। বেগম জানল দিয়ে মুখ বার করে ডাকলে চম্পার মনে কিন্তু আনন্দই একছত্ৰ বা করছিল না, "চম্পা, শারে, একবার এদিকে অদ্য ।” একটা কিসের অজানা অাশঙ্গা মনক গণে আকাশের তারা দিক থেকে গোর করে চোখ পীড়িত করে ছিল চম্পা বাগান থেকে ফিরে চল । তা আঁচল আর কো হটাৎ চঞ্চ সজাগ হয়ে উঠা যে তো দেল রাশ থেকে বা পথে চড়িয়ে পড়ল শুকনে এাজের আনন্দ-ষ্কার কোনো পিয় অতিথি আগমন অা করা লোয় পাপড়ি জানিয়ে দিচ্ছে । চকিতে দরজা ছেড়ে সৱে দাড়াতে ন৷ । ছাড়াতেই ঘরের সামনে সকলে এসে গাড়ল নবাব ৷ একটা বাতি নিয়ে নবাবজাদাকে আমার উত্তর দিতে কিন্তু তাদের পিছনে কে ঘর গুলো দেখিয়ে আন নবাবজাদা কৌতুহলী তার দিকে চাইবামা চম্পা মনের সেই চলি একা। চম্পার মুখে দিকে তার নানে চোখ ফি লঙ্কা স্নান হয়ে মিলিয়ে গেল ধি তার না দেখে। নি বোঝা গেল না যে সে তার মানস:প্রিল পরাজয়ে বেদনা, একটা ভাবি আলো তুলে নিয়ে চম্পা এগিয়ে চল পেলে না, এই নৃতন, তিথির wয়াতে আনন্দই তার সে যে সকলের আগে আগে চলেছিল, তার মুখখানা কেউ দেখতে পাচ্ছিল না, এতে তার মনে একটা জার নবাবজাদার ভুবনমোহন রাপে দুই-একটা খুৎ ছিল, হছিল নবাবজাদার সঙ্গে তার এক ছোট ভাই আ তা অল্পের চোখে ধরা পণ Jা মুখে পুৰুষোচিত তিনটি পুত্রমহিলা ও রে দেখতে গলেন য্যের অভাব সম্বন্ধে চম্পার পিছনের একচন দাসী কি যে তারা হলো তার ঠিক নেই। এখানে কত শ একটা মন্তব্য প্ৰকাশ করলে । চম্পা অবাক তে তার আগের হাতির মতের আসবাব, ওখানে কাশ্মীরী বড় বড় চোখ মেলে সেই দাসীর দিকে তালিয়ে রইল অপূৰ্ব্ব বা কাৰ্য্য, কোথাও বা বিচিত্র গঠনের সোনা বেগমের ঘরের উৎসবে সেদিন চম্পার মন গেল না। সেই গৃহসঙ্গা সব তো শেলে একটি ছোট ঘর, তাতে পুরানো বাগানের করাফুলের মেলার মধ্যে একটি তা চাণী ; শাও কোনোদিন সে ধরে কপাট পাথরের বেদীর উপর সে স্তন্তু হয়ে বসে রইল, । বেগনের দেখেনি। নবাবজাদা সে ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ মহলের সেদিকে কোনো আলো ছিল না, কৃষ্ণপক্ষের করলেন “এটা বন্ধ যে ! এর ভিতর আছে কি ? রাতের সেখানে অবাধ রাজত্ব । কি বলবে ভাৰচে, এমন সময় লাঠির উপর ভর দিয়ে নবাবজাদার এ মহলে মনটা বিশেষ ছিল না, তিনি পায়৷ সেইখানে এসে উপস্থিত হল। সেই প্ৰকাণ্ড ধীর ধার অস্থির ভাবে কেলি ঘোরাঘুরি করে মধ্যে চম্পার হাতে কেবল মাত্ৰ একটি আলে, সেই বোছিলেন । নবাবে বেশী কবি হবার বয়স ছিল না, আলো আধ-ছাৱাৰ যধ্যে বুঢ়ী পাহাৰ লৈালচ মুক্তি সেই ৪ৰ্থ সংখ্যা] চোখের অালো কাতকাণ-বন্ধ দরজার সামনে হাড়িয়ে, পিছনে তার কালে প্ৰকাণ্ড পালয়ের চাধারে এখনও শুনো ফুলের মালা অন্ধকার । নবাবজাদা চমকে উঠলেন। তার মনে হল, এই দুলছে, এক এক দিকে বা ছিড়ে গালিচার উপর লুটিয়ে ককালের পুরানো নবাবৰাড়ীর বিশ্বত ইতিহাসের পড়েছে ঘরে ঢুকতেই বুলছে প্ৰকা সামনে এক এক অংশ যেন ওঁর চোথে সামনে হঠাৎ মুক্তি ধরে আয়না, কিসের তার উপর থেকেী অবধি একটা বিদারণরেখা চলে গিয়েছে। তার ধীয়ে বুঢ়ী নিচু হয়ে সেলাম করে ভাঙা গলা বা তে লাগল ছাট সোনা বাতিদান শূন্তু বাহ বাড়িয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। নবাবজাদা অামাকে দেখে ভয় পাছ ? অনেক কাল আগে বাবজাদা ঘরে ঢুকতেই সামনের আয়নার ভাৱ ছায়া তোমাকে কোলে করে মা বেছিলান তখন ো ৱা পল চম্পা হঠাৎ তানক চমকে উঠল, নবাবজাদায় এমন ছিল না, সকল দাসী চেংয় হামার কোলই তোমাব পাশেই এ কার চোৱা ? পিছন ফিরে চেয়ে দেখলে, কেউ সাত ভাল তোমাকে সেই কোলে ছেলে দেখেছিলাম, ত তার পাশে নেই ? কিন্তু নিজের চোখকে কি অবিশ্বাস ভারখর অঞ্চ এই দেখছি ৭ই ধরে কথা বল ? করা যায় ? ঐ যে দেখা যাচ্ছে তারই পাশে দাড়িয়ে ঠিক চম্প কি করে জানবে, ও ত তপন এ বাড়ীতে মাসেওনি ঠাই নে আর-একটি ছায় এ কে ? মেদিন এ ঘরের দয়া বন্ধ হয়ে গেল, তখন আমি এইখানে ঐ দেখ নবাবজাদা, তোমার ছাড়িয়ে ; ধারা এ গৱেব ভি ও ছিলেন এখন ৩রা কেউ ঠাকুরদাদার ছবি, ঐ ৰে আয়নার পাশেই ঘুলছে। দেখে বেঁচে নেই। এ দুরের তালার চাৰী ভগন কায় বড় বেগম না ও আমার কথা ঠিক কি না। । যে রাতে তিনি চলে যাৰ, তোমার ঠাকুরম, আমাকেই দিয়ে গিয়েছিলেন যে বা তার বেশী দিন জাগের এ ছবি নয়, তখন তার বয়স তোমার রাতে এ ঘরের ৮ বঙ্গ বঙ্গ হল, তারপর এই পঞ্চাশ বছর চেয়ে পুব বেশী ছিল ন৷ সকলে ছবির দিকে এগিয়ে এ ঘর কেউ খোলেনি । কি অবস্থায় তোমার ঠাকুর গে, চম্পা সবার আগে নবাব জাহান আলি খাৱ ছবি দাদা মাৱা যান সবই এক ষ্টে আগম্বকদের দিকে চেয়ে রইল আমার পুরানো মনিব জাহান আলি পার কথা মনে পড়ছে, আঁকা নয়, গাঢ় নীল মথমলের গায়ে কার নিপুণ হাত জৰিয়। একমাত্ৰ তুমিই এ বংশে ক্ষপে তার কাছাকাছি এসেছ । তার আর রেশমের সুতোয় তার মূৰ্ত্তি ফুটিয়ে তুলেছে। এ বেন ছবি তোমাদের চিত্ৰশালায় নেই, কোথায় অাছে তার গোল নবাবজাদারই ছবি, কেবল মুখের ভাব বিষাদে মাথা । কখনও নিয়েছ ? দেখতে চাও ত দেখাতে পারি।" নবাবজাদাৰ সঙ্গিনীদের ভিতর একজন বলে উঠ নবাবজাদা ধু ঘড়ে নামলেন, তা যেন কথা । বলার মা ! কি আশ্চৰ্যা সেলাই, মানুযে এমন করতে পারে তা লোপ পেয়ে গিয়েছিল হানতাম না! এটা কে করেছিল গা পাল্লা আহি ?” পাহা তা হলে দয়া কপাটে বা থাতে, “য়ে করেছিল সে অনেক কাল চলে বা শব্দে দরজা পুলে গেল, সঙ্গে সঙ্গে পা সেই ঘরে গিয়েছে। এই কাজ করতে-কাতেই তা :ে গেল, তখনও নবাব হাতে ফুল অৱ ম লক্ষণ দেখালেন না, অ’লে ইত চগাঁও পাথরের বাকি ছিল। তার ছেলে এটা করলে মত দাড়িয়ে রইল । তব কলক ষ্টে হেসে বলে উঠল, “চোখ কালা ঘরের ভিতর থেকে পার ডাক সকলে কানে এসে মতন চ ৱা বট বাপু ! আমার করবার ক্ষমতা যদি সেছিল। চম্পা আলো নিয়ে ঘরে কল, আর সকলেও থাকত তা হলে আমিও এমনি কৃপবান এবজনের ছবি তৈরী পিছৰ পিছন এল হরটির সজা অপরাপ, তবে কালের করবার জন্তে চোখ দিতে পারতাম।” নবাবজাদার দিয়ে ত্যাচারে তার মখমলের রং স্নান হয়ে এসেছে, তার উপরের তাকিয়ে তার হাসংবার ভঙ্গীই সকলকে জানিয়ে দ্বি বে ছবির জালো নিভে আসছে। হাতীরাতের কাজ কর সে একজন'ট কে ।