পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ প্ৰবাসী শ্ৰাবণ ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড চায়েল আহা, তাই বুধি পুরোনো মনিবাড়ী ফিরে আর তাকে হাত ধরে নিয়ে খাবার দরকার নেই, তার অন্ধ চোখ এখানে তাকে বাধা দেয় না তার সন্তাষ যে ছ, যদি খেতে পরতে স্নায় চম্পা বললে, “হামা, ঐখানেই আমার শেষ আশ্ৰয় । এগানকে চেনে, চোেখ নাইবা থাকল । আচ্ছা, তুমি সারাদিন ওটা কি বুকে করে নিয়ে থাক চম্পার মনে পড়ল সেই আগেকার ধিনে সে কেমন করে সন্ধ্যাবেলা বেগমের বারাণ্ডায় দাড়িয়ে এই দিকে সে মা ! গদাপষ্ণৱ ” অাছে বুকি কিছু ? চম্পার মুখে একটা বেদনার আভাষ দেখা দিল, সে থাকৃত । বেগম বোধ হয় এতক্ষণ সেই গোলাপবাগানে বললে, ন, মা, গয়নার চেয়ে এর দাম ঢের বেশী, সার জানলার ধারে গিয়ে বসেছেন। আর বুড়ী পান্না ? সে ফি জীবন দিয়ে আদি এটা পেয়েছি।” এখনও বেঁচে অাছে ? কে জানে ? বুী সন্দি দৃষ্টিতে একবার তার তরুণী সঙ্গিনীর দিকে নবাবজাদার মহলের সিডিতে পা দিয়েই চম্পার বুল চাইলে, তারপর আপন মনে বিড়-বিড় করে বললে “হবেও কেঁপে উঠল । তার জীবনের নিবিড়তম মুহূৰ্ত্ত এই যে সে , মাৰাড়ীর বি, সেখানে কত হীরে মুক্তোগড়া গড়ি পড়ল পা েয আর চলতে চায় না, তা এতদিনে সঞ্চি যায়, একখানা সরিয়ে থাকবে হয়ত । " সাহস কোথায় হারিয়ে গেল ? কত কথা বলুবে বলে অনেকখানি পথচলার বড়ই ক্লান্ত হয়ে ফলে চম্পা করে এসেছিল, তার একটাও আর মনে পড়ে না কেন ? পড়েছিল, বসেবসে তার ঘুম আসতে লাগল। একটু নবাবজাদার ঘরের দ্বাররক্ষকের হাতে শী চম্পাকে পাইগাছের গোড়ায় মাথা দিয়ে সে মাটির উপর গুহে সাপে িদয়ে আবার টু খট্‌ করে িসড়ি িদয়ে নেমে েখলা কতক্ষণ যে অঘোরে ঘুমাৰো তার ঠিক নেই দ্বাররক্ষক চম্পার দিকে একবার তাকিরে বললে বিকালবেলার পড়ন্ত রোদের সোনালী আভা পাছে এসো গো অামার সঙ্গে পাতার কাক দিয়ে চম্পাৱ মুণে এসে পড়ে তা " অভিয়ে দিলে সে উঠে বসতেই বুড়ী বলে উঠল “আচ্ছা যে তার পথপ্ৰদৰ্শক এগিয়ে চলেছে। দুই হাতে তাঁর যাহোক তোমার বাছা! চল, বাকি পথটুকু পার হয়ে অমূল্য ধনটকে বুকে চেপে চম্পাও তার পিছনে পিছদে ন, অ্যাবার সক্ষ্যে পড়লে পথ চলতে কষ্ট হবে বেশী হয়ে এইবার সে ধরে এসে পৌছেচে, পায়ের তলার নাম চম্পা গাড়িয়ে উঠে বলে “আগে আমার সেই গোলাপ নাটা দাও মা, এটা পথের ধুলোয় বোধ হয় ময়লা হয়ে থালিচা আর আতরে আর চুলের মিশ্ৰিত সুগন্ধই তাকে তা জানিয়ে দিলে দারোয়ান কুৰ্মীশ করে বললে, “জাস্থাপনা, এক মাৰবাড়ীর সদর দরজা তারা দুজন যখন এসে ভিখিরী মেয়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চায় । ছিল তখন স্যা হয়ে এসেছে, লোকজনের কোলাহলে এইবার ঘরের সব লোকের চোখ তার উপর পক্ষে সেই পাঁচমহল বাড়ী মুখর হয়ে উঠেছে। সব কোলালের কেউ কি তাকে চিনবে ? কেউ না, সে ত এ মহলে কথা উপরে শোনা যাচ্ছে নবাবজাদার মহলের হাসির আর গররা আসেনি। নবাবজাদাও না , তিনি তাকে একদিন মাছ রাত্তিরে দেখেছিলেন । চম্পা শাদা পাথরের বিশাল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে খুীয় কানে ফানে বললে, “যে শায়ী আছে তার কি চম্পানিবে না দৱজায়-এই েয েসই গলার স্বয়, কি সে কি চাও ? হাতে এই টাকাটা দিয়ে বল নবাবজাদার মহলে আমাদের এত কথা বলবার ছিল, সব গেল কোথায় ? নিয়ে যেতে চোখের দৃষ্টির সঙ্গে-সঙ্গে যেম কথা কইবার মালে পাথরের বাখনো তার উপর িদয়ে টু খট্‌ শঙ্খ করে শাস্ত্ৰী এগিয়ে চলল, স্পো তাঁর পিছনে এখানে গিয়েছে। আবার প্রশ্ন হল কি চাইতে এসেছ ? । ৪ৰ্থ সংখ্যা আলোচনা—পাট-চাধ কত কালের । চম্পা প্ৰাণপণে শক্তি সঞ্চয় করে অক্ষুটকণ্ঠে বললে, নবাবজাদা তার অনুচরদের নিয়ে সে.র থেকে ৰেদি চিাইনাদিতে এসেছি চলে গেলেন ধরে একটি স্বাক্যহীন বিস্ময়ে ঢেউ খেলে গেল, সেটা সে তার নিজের চোখের শেষ জে্যাতিকণা দিয়ে যে ছবি । চম্পার দেহ সেইখানেই পড়ে রইল ীিনা সূৰ্ব্বাঙ্গ চপা যেন তার দিয়ে অনুভব করলে । দেয়াল চোখের জ্যোতি ফুটিয়ে তুলেছিল, পাশের থেকে বায়জামা বললেন একটুখানি বাঙ্গ িমশ্ৰিত হাসি হেসে ছবির সেই হাতিয়া চোখ তার দিকে একদৃষ্টিচেৰে তাই নাকি ? আচ্ছা, কি দেবে দাও । রইল নিজের ওড়নার ভিতর থেকে চম্পা তার সেই বছরে শ্ৰীসীতা দেবী। তি মোড়কটি কম্পিত হাতে তুলে ধরলে নবাবজাদ যেটা তার হাত থেকে তুলে নিলেন । চম্পা আর বঁাড়াতে না পেরে বসে পড়ল। তার নিশ্বাস নেবন্ধ হলে আসছিল এই বুলি মোড়কটার বাইরের এইবা তা পাওনার সময়, তার পাট-চাষ কত কালের ? নৈবেদ্য উৎসৰ্গ করা হয়ে গেছে, এইবার দেবতার বরদানের গত মাসে লিবিয়াছিলাম পাট-চাব অবিক কাল পূৰ্বে ছিল পাট গাছ স্নান ছিল । চৱকে নালিকা না আছে। পাট লা, চম্পার অন্ধ চোখ আকুল আগ্ৰহে বিদারিত নলের মতন পা বলিয়া নাম না-লিকা : ক হানে চহইয়া স প্রারতে নালিচা, এবং চ স্থানে ত হইয়া বৰ্তমান বাঙ্গালা কি, ওকি হাঃ হাঃ, হ নাজি হিতা-পরিষদ হইতে প্ৰকাশিত চণ্ডীদাসের ী হাঃ ৰে লাগি একটা বিচ্ছপের হাসির রোল উঠল যে ! চপার সমস্ত শী সম্বন্ধে কি আনিয়া টিয়াছে। কৃষ্ণ বাঙ্গীয় শিকার বিদিত পাঠ দোড়ী করিয়াছিলেন। যথা, নালিছা কাটা কাহাঞি’ নামলে ইল । এই বিদ্রেপের হাসি ? বায় পতৃ হছিলোঁ তাহাৰু তুলিল । নবাবজাদার একজন অনুচর মোটা গলায় বলে উঠল সুথাৰ্জিা ৰাছিয়া পাট কালি সুসৱ । চায়ী গুণ দী পাকাইল দামোদর ক্ষ্যাপা নাকি । নবাবজাদাকে কতগুলো ছেড়া এই বৰ্ণনা হইতে বুদ্ধিতেছি এই ভীত নাৰায় সদা পাটগাছ উপহার দিতে এসেছে আঁশের দোয়ী জানা ছিল । বপূৰ্বকালে নাৰাৰি গাছের খীণ হইতে দোষ্ট্ৰী করা হইত ; এখনও হয় চাষ হইত না, এখনও হয় না। । সে যাহা হটক, উক ফী পা এ কোন নিষ্ঠুর দানৰে পরিহাস ? চৰ সময় মালিচার চাষ হইভ না । হইলে, শ্ৰীকৃষ্ণ কোন ডাকিনী হে তার চিরজীবনের সাধনার ধন কৱিতেন নানালিচা দে বিন মাত্ৰ ফুলে ডিজাই শখাইয়া কাঠ বাছি এবং পাট ‘সুসৱ আদায় তুচ্ছ হয়ে গেল ? দিতেন পঢ়িলেই মনে হয়, নালিচা বঙ্ক । বৰ্ণনা বিয়াছিল, কৃষ্ণ কো ষে কঁপতে কাপতে সেই গালিচার উপর লুটিয়ে দেী কবি ছিলেন না ও চাবে শণের ষোড়ীর শিকা না ফ, ভিতরবাইরের সব অালো তার আজ এক পলকে কবিয়া পাটের করিার কাণ বোধ হয়, পাটের যোগী কোণ শণের দোড়ী কা নবাবজাদা অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বললেন “আঃ কি ধ ষ্ণ-কীৰ্ত্তন পুৰী নাকি ছয় শত বৎসরের পুরাতন । পৱৰী পুখীতেও পাটকাৰে উখে পাই নাই। প্লামাই দ ইহা চাব করিাছিলেন । তিনি পাটের চাব করেন নাই। লো এইখনেই মরে েগল নাকি ? কৰ নাই। এই পুরাণে পাট শব্দ আছে তার এক মোসাহেব সঙ্গে-সঙ্গে বলে উঠল, “সকালে ঘোড়ার সাঙ্গনের মধ্যে আছে । সেখানে স্পষ্ট তুং-পাট মনে হইবে বুঢ়ী ভিখিরীর কাছে অমন খাসা তসবীর মিলল, ভাব আমি পাত্ৰ ( প্ৰায়) পর একই পাটটা । লিঙ্কো না জানি চুড়ির কাছে কি মিলবে মুক্ত হয় লেগেছে সাৰে কি তবে পাকামা । লোকে বলে অতি-লোতে তাতি নষ্ট।”