পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩৪ প্ৰবাসী-ভাদ্র, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড বিভিন্ন ধারণা ও সংস্থাৱ আসিয়া মিশিল বা তাহার স্থান ঠনের সহিত, প্ৰাচীন গ্ৰীসের “সিটি” গঠনের সেই সম্বন্ধ অধিকার ফালি । কিঞ্চিৎ পরিবতি ও জাতে পরিণত যেমন শিল্পকলায় তেমনি জীবনের ব্যবহারেও, হিন্দুপ্ৰতিষ্ঠা হইয়া এইসকল ধারণা আপনাদের ভিতর হইতে একটা সুপ্ৰণালীসঙ্গত সুব্যবস্থা স্থাপনে অৰ্থাৎ সুপরিমাণ ও নিয়ামক তত্ব বাহিত করিতে গালি না এইসকল সেীসামন্ত স্থাপনে কাচিং সমৰ্থ হইয়াছে। জাতের সম্বন্ধে জাতের সংখ্যাবৃদ্ধি হইল ; প্ৰতোকে বিধি হই হিন্দুপ্রতি ভা কতকগুলি ক্ল দ্বার মণ্ডলীগঠনে সমস্ত শক্তি যাৰ সতৰ্কভাবে স্ব-শাসনতন্ত্ৰ অনুসরণ করিয়া চলিল। জাতের করিয়াছে—তাহাদের মধ্যে একটা সমসাধারণ কাৰ্য্য প্ৰবাহিত ফাঠামটা বিশাল ; উহার কোন নিৰ্দিষ্ট সীমা নাই নাই, পরম্পরের মধ্যে কোন থাত প্ৰতিঘাত নাই, পুরোহিত একটা স্বাভাবিক জীবনীশক্তি নাই ; একটা সাধারণ ধৰ্গের অপ্ৰতিদ্বন্দী একৰি বে’াকা প্ৰভুত্ব কাৰ্য্যপ্ৰবৰ্ত্তন৷ সমতলের উপর, ক্ষুদ্ৰ ক্ষুত্র তা সমাজ যেন বিশ্বখণ ক্তি ছাড়া আর কোন প্রবর্তনী শক্তি নাই ; সৰ্ব্বসাধারণ পিণ্ডের স্নায় অবস্থিত মনকে পূৰ্ণগ্ৰাস করিয়া পুরোহি বৰ্গই তাহাকে যথেচ্ছা অন্যান্য সমজাতীয় ভাষা হইতে, ভারতীয় প্ৰাচীন ভাষার পরিচালিত করিতেছে । মহাকাৰোৱ শষ্ট একতার মধ্যে একটা পাৰ্থক্য আছে সে পাৰ্থক্যটা খুবই নজরে পড়ে যেমন বিভিন্ন গগু-উপাখ্যানের পরস্পর সংঘৰ্ষ, বাক্যের মধ্যে সমাপক ক্রিয়ার বড় একটা স্থান নাই ; ব্ৰাহ্মণ্যধৰ্ম্মর সমতলক্ষেত্ৰে বিভিন্ন জাতের সচঞ্চল গতিবিধি বক্তব্য কথাটা দীৰ্থ সমাজবদ্ধ হইয়া গড়াইয়া চলে ; অনেক পরিলক্ষিত হয় । একটা কৃত্ৰিম পদ্ধতি অনুসারে, বিস্থির সময় পরম্পর সম্বন্ধটা অস্পষ্ট। যে বাক্যেরচনার মধ্যে অভি . অংশগুলিকে শান্তসিদ্ধান্তের দ্বারা ঢাকিতে পাৰিলেই যেন প্ৰায়টা সুস্পষ্ট, যাহার ভাঙ্গিক অংশগুলি পৃথক ভাবে যথেষ্ট হইব। । ব্যক্ত হইয়া পরিস্কারভাবে থাহিয়া যায়, সেই ক্লপ বাক্য ভাল করিয়া দেখিলে, জাতে ক্ৰমণরিণতি ভারত চনার স্থলে, ভারতীয় প্রাচীন ভাষার বাক্যরচনা একটু ঘনত্বের একটা শিক্ষাপ্ৰদ পরিচ্ছেদ । ধন্থলৈ ধরণের, বাকোর অংশগুলা কেবল সমানভাবে শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্ৰনাথ ঠাকুরা পাশাপাশি বসানো,--কাহাকে বেশী শিষ্ট করিয়া চোখের সামনে আনা হয় না। তারতীয় ধৰ্ম্ম গুলির ভিতর, সুনিশ্চিত কমের একটা বাধা-ত নাই । অপষ্ট-অ্যাকার জগৎ ক্ষবাদের ভাসস্তু রেখাগুলির মধ্যে,—বিরোধ ও বাঙালী পলটনের গান যাহা কিছু থাকে, সমগ্ৰ চলন্ত পিণ্ডের বেগে , সে-সমস্ত যেন চু ইয়া যায়। বিরোধ গুলি শীঘ্ৰই সনগাব্দক সমষ্টির এক হ’ল আঞ্জ অষ্ট বস্তু,—যুদ্ধ ভয়ঙ্কর শাহারীর জঙ্কা বাৰে বগে নিরস্তৱ ভিতরে মিলাইয়া যায়,—এইৱপে সাম্প্ৰদায়িক পাৰ্থক্যের বড় একটা তেজ থাকে সা । সময়কারী সনাতন ধৰ্ম্মমত, স্বকীয় মৰ্ম্ম যারা মতে জানে—নেই কিছু কেয়ার বৃহৎ আচ্ছাদন-বন্থের ভিতর সমস্ত মতভেদকে ঢাকিয়া হাত আছে যার সেই টেছে ধরতে হাতিয়ায় । রাখে। নিৰ্দিষ্ট মতের কোন অংশই একেবারে বহু নহে, পুৱা-বাচ্চা যারা নাচছে তাদের মন, একেবারে অলঙ্কানীয় নহে। সামাজিক বিভাগে, ইহারই মহাক বাচুক কবে লড়াই— এই সে অকিঞ্চন । এমন দিনে ঘরের কোণে কে পাৱে খাতে । অনুরুপ এক ব্যাপার আমরা জাতপদ্ধতির ভিতরে দেখিতে পাই । সৰ্ব্বত্রই সেই একটা শক্তিহীন থাল্‌খলে ভাব দন জামাদের যুদ্ধে গেছে কেহই না ডাকতে বাহ ঐতিহাসিক অবস্থা হইতে যতই ব্লস সংগ্ৰহ কৰক শরীর শুধুই পিছিয়ে মোদর, এগিয়ে গেছে - না কেন, জাতটা বিন্দনোভাবেঁরই পরিণামফল। হিন্দু মানস-লোকে মাৰ্চ করে যায় বাঙালী পল্টন কায্যের সহিত শ্ৰীক্যাজেরি যে সম্বন্ধ, ভারতীয় সমাদ ৫ম সংখ্যা] বাঙালী পণ্টনের গান মনু আমাদের থাকী পরে সেজেছে সোলজার, এমন সময় হুকুম এলো--- পরোঙ্গানা প্ৰাণদায় ! পরোয়ানা এ প্ৰাণ-মাতালো—এমন দেখি নাই মন এতদিন বা চেয়েছে আজ পেয়েছি ত জোয়ান্‌! তোমার দোয়ানী আথে দেখবে জগতে ঘরের পরের বাবে আস্থ তোমার ভাগতে অস্ত্ৰ ধন ৷ প্ৰাণের আদেশ কবে কে পালন ? বেরিয়ে পড় । বেরিয়ে পড়: বাঙালী পল্‌টন অস্ত্ৰ-দীক্ষা সমর-শক্ষা নতুন তে চারযুগই ধে বিধে তোমা শেষ্যে-পরিচয় ; দিগ বিজয়ী রঘুর সঙ্গে তোমা যুদ্ধে কীৰ্ত্তি রঘুর গঙ্গা-লোতে হেলা মুছে আঠারো দিন বিষম চাই করলে ধৰ্ম্মক্ষেত্ৰ কুঙ্কক্ষেত্ৰে বঙ্গ-প্ৰাগজ্যোতি, শীৰ্ঘো তোমার গোঁড়েতে প্ৰাঙলী আকৃষ্ট তোমার বাহু ক’লে কপিল বাস্তু প্ৰতিষ্ঠা, তোমার সৃষ্ট সাতগা এবং শ্ৰীপেও বৰ্দ্ধন কান্‌সোনা সে তৈরী তোমার বাঙালী পল্‌টন --ণে আত নোদের কিসের ? তা ভাই বল, রাক্ষসদের লা কেড়ে বানিয়েছি সিংহল গঙ্গার অ’লে বসত, করি আমরা বাঙালী বা নামে গ্ৰী পৈণ্ড হঠাৎ সাহস-কাঙালী ফাগীয়েতে দুঃসাহসী নিশান উড়া রাজার ইষ্টদেবের মূৰ্ত্তি ক্ৰোণে গুড়ালে কেশা কেউ না চুতে ক্ষে হুতাশন মেঘের মতন মাগুরাগ গলার বালী পলটন বাজা-হারা জয়াপীড়ে তোমরা হে সহায়, wাৰ্য্যাৰ জয় ক’রে থোও পাল-বাজাদের পা হাতীর হল কা ছুটলো তোমার দক্ষিণাপথে, মগ, মোগলে ক্লখলে তুমি নৌকাতে রথে নিমক্‌-হারাম হায় গোযেদিন মুলুক খোরালে রাজার সঙ্গে গোচ্ছে মাথা নোৱালে ; দু'দিন পরেই বাংলা ছেড়ে নিশান অগণন উড়ল তোমার কাংড়াগড়ে । বাঙালী পল্‌টন । সিংহবাহুৰ তোমরা বাহু দৃপ্ত সুবিশাল, চাদ-প্ৰতাপের কেদার রায়ের তোমরা খাঁ ঢাল ! শশাঙ্ক আর গণেশ রাদার সাজোয়া বাসার তোমা বিজয়সিংহ দেবের পাথর যে কেল্লায় । ফ্ৰান্সে তোরা অস্ত্ৰ ধরিস ভীষণ বিপ্লবে বেদিলেতে সৈন্য চালাস অমর গৌরবে নাজাদা লাল পলটন, ভাই, তোরাইছিলি, শোন, এম্পায়ারের তিং গেড়েছে বাঙালী পলটন । অাজকে আবার ডাক এসেছে যুদ্ধে যাবার ডাক লাভ ক্ষতি কে খতিয়ে দাখে ? হিসাব এখন খাক । বেরিয়ে পলাম সম্পন্দনেতে বৃহৎ জীবনের কুচ্‌-কাওয়াজের ছন্দে মোতে আনন্দে মনোয় ! অনেক লোকের সঙ্গে যাব, সাব অনেক পৰ থাকী, ধরব কিরীচ, এই সুখে ভরপুর বুকের বলে কব মোৱা অসাধ্যসাধন কামাখালেই কাণ্ড পাবে বাঙালী পরোয়ানা ভাই পেইছি যখন কুছ পরোয়া নেই, কঁাৰে সীন উড়িয়ে মোরা চলাব এগিৱেই কি পাই, না পাই, আমরা তা ভাই মোটেই বিনে মাৰ্চ করে যাই গোলার মুখে খেয়াল কবিনে । কিছুই চাওয়ার ধার ধাবিনে আজ মোরা বিলকুল বীরের বরণ লাভ ক’রে মন ফুৰ্ত্তিতে মশগুল । শের পথে জয়ের পথে চলছে ছুটে মন ড়িয়ে িনশান গান গেয়ে চল, বাঙালী পলটন