পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— আশ্বিন ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ৬ষ্ঠ সংখ্যা] যা সুগন্ধিত বা সশস্কে চলিয়াছে। কোকিল ডাকিতেছে, এখন ভৈরোর সম্প্ৰদায় ছাড়িয়া একজন কবির নাম (সত্য যাহার ধৰ্ম্ম সে জ্যোতিকে দৰ্শন কৱিৰে । ) এই গানটি খুব চলতি । হার লেখায় মধ্যে মহাত্মা পাপিয়ার করিতেছে। দাদুর ও ময়ুর কলরব করিতেছে )। কথিক—যিনি শিক্ষিত। ইহার নাম হুমুখ সিংহ। ইহার হৰি তুচিত বাদলা গানও খুব সুন্দর। কবীরের প্রভাব দেখা যায় এই সম্প্ৰদায়ে রফাতী ও গীতনের নাম সুবিখ্যাত --- বাড়ী বালিয়া জেলায় । ইনি পণ্ডিত, তাই ইনি বাদলের বেীর অপেক্ষা হার শিষ্য “ীসুর’ বেশী নাম । ইনিও জোলহা” প্ৰভৃতি গানে ইনি বুঝাইতেছেন যে ভগবান কি ইহাদের গানে এমন কিছু নাই যে প্ৰকাশ করা যায় গান রচনা অপেক্ষা বিধবা-বিবাহের নিন্দা ও আৰ্যসমাজ একেবারে নিরক্ষর। "ইহার কাজীরও পূব আদর। ইহার নকাশী বসনের স্নায় এই সৃষ্টি বুনিয়া চলিয়াছেন—কি জানি এই সপ্তদায়ে হিন্ধুর গােন খুৰ লোকপ্ৰিয় । ঠাৱ ও স্বয়ানন্দ স্বামীর নিন্দা বেশ উৎসাহের সহিত করিয়াছেন প্রমের গানও খুব গভীর কার জন্য এই বস্তু ! বহু শার মনঃপুতই হইল না। কোনো অশিক্ষিত কবি এসব বিয়ে মনোযোগ দেন নাই প্ৰেমকো পংগ অৰ্থাত থাহ হি ঘুঘট পট খোলী অরে সাবলিয়া নিত্যই পুরাতন নাশ করিয়া নিত্যই আবার সূতা সৃষ্টি ( হে শ্যামল, আজ তোমার অবগুণ্ঠন গোল ) তাহারা বাদলের গান ইয়াই মণ্ড আছেন । ইহার রচনায় ( গ্ৰেমের পথ অতি গভীর-কে সেখানে তল পায় ১ হইতেছে, কিছুতেই “জোলহায়” মনঃপুত হইতেছে না । বেশ মুন্সীয়ানা আছে ৰাৱমাগার রচনার ইহার পুব নাম গানখানি খুব লোকপ্ৰচলিত। এই প্ৰেমণখে যে চলে এই গান গাহিতে গাহিতে বহু তরুণীকে হিদোলায় “মন, জোলহ তব লগা ধীনে বুটী বার বল, আছে নীহ কৰ্হৈ সরবশ দুষ্ট জাৱৈ” লিতে দেখিয়াহি । ( মন, প্ৰেমময় বল্লভ “জোলহান্ হইয়া তখন হইতে ( ধী বলেন, সৰ্ব্বস্ব লুট হইয়া যা এখন ধার নাম বরিতেছি—ইনি বোধ হয় কাশীতে ভালে এ সখী রৈন ভয়াৱন দুজে অধবিগ্ন রাত রে নকাশী বুনিতেছেন। ) অজকী নৈ ভাৱন লাগত প্ৰাণ হুমারো স্নাতৱে৷৷ মদ গাজা প্ৰকৃতি নেশার বিজন্ধে ইনি সমস্ত জীবন এখন সবচেয়ে নামজাদা কজলী-রচয়িতা । ইহার বহু লডিয়াছেন। হার নবনারী নামে নয়টি নারীর খেদ যদি বয়ভের সহিত মিলিতে চাও তবে তুমিও তোমাছ শিয়া আছে, মন্ত্ৰশি ( হে সখী, এই ভাদ্রাসে রাবি বড় ভীষণ -- আরও কি নহে—চনা-শিয় হার নাম দেশার-দুৰ্গতি জ্ঞাপন করিতেছে । সমাজের দুৰ্নীতি দুর মত কিছু জীবনে নকাশী বুনিতে থাক— আঁধার রাত্ৰি । কাজ রাত কি বিষম ভয়ঙ্কর প্ৰাণ অামার তৈয়ো ইনি সামায়ু, কলকা মেরামত করেন, এমন কহিতেও ইনি রচনা কম করেন নাই । সে দেশে কুলের লো জোগ করম কো জানে যে যায় কি ইহাকে সকলে "ঘড়ীসা” ( ঘড়ী মেরামত করনে ঔ ঐী তানী তানে” ধতিরে বধূ বড় ও বর ছোট অনেক সময় হয় । ইহার বিধবা-বিবাহের ইনি বিঙ্গ বলিয়া আদিরসে ইহার গয়ালা) বলে। প্রেমের বহু গান রচনা কৰিলেও ইহঁর “কঁ। কত্ব হাল মোরা ছোট মিলল বা বালম” ( যে যোগক জানে এবং এমন ভাত বুনিতে পারে) অনেক গানে বৈরাগ্যের সুর আছে । ইহাৱ উৎসাহ কম নহে। এমন কি সেগুলি উত করা অসম্ভৰ ( কি কহিব আমার কপাল, স্বামী মিলিয়াছে ছোট) সো আঠ পহর লেীলাৱৈ অার একটি প্রদায়ের গুহ “বেণী । ইনি অশিক্ষিত মুসাফির কয়ো বিকির চল্‌নেী গাট খুব তীব্ৰ ঔর পূৱা খান পুজাৱৈ । ইনি সমস্ত নিগা আচারের বিরুদ্ধ বে ধৰ্ম্ম বা শাস্ত্ৰ ধা আখির হুজা সুব সে শাম” রঘুনাথ নামে দুইজন রচয়িতা আছেন। একজন সামান্য সপ্ৰদা মানুষের হউক না—সতা ছাড়া, হঁহার মতে, স অষ্টপ্রহর প্রেমের আওনে অলে এবং পরিপূৰ্ণ (যে যাত্ৰী, ধাত্রার, আয়োজন কর, প্ৰভাত হইতে এখন তাহার নিণ্ডার নাই। ইনি ধৰ্ম্মসম্প্ৰদায়-ভেদ প্ৰতি মানেই দোকানদার ; ইনি টুপী হিন্দুস্থানী-জামা বস্ত্ৰ প্ৰভৃতি কাশীর স্থানে পৌছায় । ) হইয়া আসিল ) প্ৰভৃতি গান বহু ব্যথিতের মুখে কে বাজায়ে বিক্ৰয় করেন দামোদর নদীর বাধ ইনি উপদেশ শাহ হতে পান নাই,কোনাে এক না । ইহার মতে যায়। ইহার অনেক গানে ইনি তাকে দেৱপিয়রের ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় ইনি অনেক গান রচনা করিয়াছেন সাধকের কাধে উপদেশ পান হা কপট হৈ তহঁ৷ খী চৌরাসীরে ॥ পাখী বলিয়া গাহিয়াছেন অবশ্ন আদিরসেরও অভাব হার রচিত—দনাক আয়ো হৈ সমাচার দামোদর বো করো পাঁচো কোলা যা গংগাৰ্মে অন্যান করে। প্ৰথম গয়া সংসঙ্গত মে তব সৎগুরসে হিকমত পায়া বা গানে নাই। ইনি অশিক্ষিত কবি চাহে কলা পঢ়া করে রাজী চাহে তুম খ্যান করে । কা সাধ টুট গয়া” ইত্যাদি গান সাধারণের মধ্যে ( প্ৰথমে যখন সৎসঙ্গতে গেলাম তখন সৎগুরুত্ব কাছে হার শিষ্য রামকিনের দিবার মত কিছু নাই । পাচ অগিন যা তাপো বা অপনে কো কুরবান করো। গেয়ে কাজ করে কাজী রচয়িতারা কেহ কোহ রহস্য জানিলাম । ) তার পরই উল্লেখযোগ্য কবি বটুকনাথ । ইহঁর রচিত কির করো তসবী লোেকর যা জাপকে মালা মান করে। বও নে তবে এই কবির অন্যান্য গানে ঘীসুর ক্লায় ইনিও সঙ্গীত রচনায় বেণীয় শিবা। জব দিলা হোবৈ সাফ মিলৈ অৰিনাসীরে সাৱঁলিয়া । ভাবের গভীরতা আছে। ইহঁতে রচনায়ও দিবা সৃষ্টিতে ইনি বেীয় নাম বার বাৱ কহিয়াছেন কৰ্হৈ বটুকনাথ কংগন সোহৈ নো হাত যেখানে কপট সেখানেই চেীৱাশ নরক বিদ্যমান । আছে । ইহার রচিত বে ওক্লৱালে মরম ন জানে সাথ জাতী ভরতারকে আৱে সাৱলিয়া চাই পাচবেলা নেমাজের জন্য ওই কর বা গঙ্গাতেই স্থান মুীে হৈ দমমে দম অবতক জানৈগে কোই গুজকে লাল । টুফনাথ বলেন, হে হামল, আজ সতী স্বামীর সঙ্গে কর ; চাই কমাই পড় বা ধানই কর ; চাই পঞ্চ অথিৱ তুমসে দা ন হেঁাগে হম কহা কৱৈ ঘুনাথ হমেশা মরণে সে ডরতে নী হরদম যাত্ৰা করিয়াছেন, দুই হাতে তাহার কঙ্কণ শোভা মধ্যে বৃসিয়া নিজেকে তাপিত কর বা নিজেকে বলিই দেও জব ধয় দিয়া কদম ? গুজ বেণী জো ছেদয়াল পাইতেছে চাই তসবী লইয়া ধৰ্ম্মবাণা কর বা জপমালাই ঘুরাও যখন | আমাতে যতক্ষণ নিঃশ্বাসে নিশ্বাস আছে (প্ৰাণ আছে) ( গুহবিহীন এই সেঙ্গ মৰ্ম্ম জানে ন এই ছটি খুব প্ৰচলিত দর সাক্ষ হইবে তখনই অবিনাশী মিলিবেন ) তক্ষণ তোমা হইতে আমি বিছিন্ন নহি । পা যখন প্ৰেমের পেহারের যদি কেহ থাকে তবে হয়তো সেই জানিতে পারে। মাৰ্কণ্ডে কবির গান বিস্তত্ব, কিন্তু সবই চৰ্ব্বিতচৰ্ব্বণ ও হঁহার মতে বাধিলাম তখন প্ৰতি-নিশ্বাসে আর আমি তুকে রঘুনাথ সৰ্ব্বদাই বলেন— গুচ্ছ বেণী যদি আমা উপর দয়া ইমান সিকা সম্বা উসকো নুর নজরমে আবেগা ।” চাই না রাখেন