পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী-জাৰিন, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তা সকলো চেয়ে কম বলিয়া অনুমান হয় । আমরা বৎসরের পর বৎসর পুত্ব ও নারীদের আত্মহত্যায় বৎসৱও এই বিষয়টর আলোচনা করিয়াছিলাম । অনুপাত মোটের উপর সমান থাকে,—বেখানে, একজন তাহাও ফলে উক্তত্বৰূপ অম্বুমানের কারণ দেখা গিয়াছিল। খ্ৰীলোক আত্মহত্যা করে, তথায় ৩ বা ? ন পূজা ভারতবরে সব প্রদেশের খবর আমরা পরে দিতে চেষ্টা আত্মহত্যা করে। বির। যে কয়টির খবর দিলাম, তাহাতে দেখা যাইতেছে … সকল দেশেই নারীদের চেয়ে পুৰুষদিগকে বাহিরের শ্ৰীলোকদেয় অবস্থা খারাপ, বিশেষ করিয়া বাঙালী কথাট বেশী সহ করতে হয় । সুতরাং পৃথিবীর বর্তমান লোকদেয় । কেহ কেহ বলেন, বাঙালীর মেয়েরা অবস্থায় নারীদের চেয়ে পুতুষদের মধ্যে বেশী আত্মহত্য দীপা পড়ে বলি। বেশী আত্মহত্যা করে। কিন্তু কেবল অস্বাভাবিক নয় —যদিও আত্মহত্যা মাত্ৰেই শোচনীয়। লেখাপড়া-জানা মেয়েরাই যে আত্মহত্যা করে, বা তাহারাই নজরবন্দীর আত্মহত্যা । অধিকাংশ স্থলে আত্মহত্যা করে, তাহার কোন প্ৰমাণ বাংলার ব্যবস্থাপক সভায় গবৰ্ণমেণ্টের পক্ষ হইতে নাই। আমাদের দেশে পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের মধ্যে জানান হইয়াছে যে দুজন নজরবন্দী আত্মহত্যা করিয়াছে। নিরক্ষরের সংখ্য খুব বেশী, এবং শ্ৰীলোকদের চেয়ে অনেক ইহাও বলা হইয়াছে যে তাহারা সতা-সতাই আ তা বেশী পুৰুষ উপাস পড়ে। কিন্তু তাহারা ত তল্ল বেশী করিয়াছে, কেহ তাহাদিগকে মারিয়া ফেলে নাই, অ ত্যা কয়ে না! আমাদের দেশের চেয়ে পাশ্চাত্য তাহাদের উপর কোন অত্যাচারবশতঃ তাহারা দেশসকলে লেখাপড়া জানা মেয়ে খুব বেশী এবং তাহারা করে নাই। এসব কথা অবিশ্বাস করিবার মত কোন পাস পড়ে অত্যধিক মাত্ৰায় ; কিন্তু তাহারা ত খবর আমরা পাই নাই ; কিন্তু তথাপি ইহা জানা দরকার আমাদের দেশে মেয়েদের মত এত বেশী আত্মহত্যা করে বে এই দুট লোক কেন আত্মহত্যা করিল। তাহাদেৱ না। সুতরাং শ্ৰীলোক আত্মহত্যার অন্ত কারণ অনুসন্ধান স্বাধীনতা -লোপ এবং তাজনিত অল্পবিধ কোন না -কোন অসুবিধা ও মনস্তাপ যে ইহার কারণ তাহাতে সঙ্গে শ্ৰীলোকদের চেয়ে পুষদের অবস্থা খারাপ বলিয়া অনুমান বরিবার যদি কারণ থাকিত, তাহা হইলে তাহা গত বৎসর বঙ্গের সাধারণ অধিবাসীদের মধ্যে প্ৰতি লোবের বিষয় হইত না আত্মহত্যা পুৰুষে করিলেও দশ-লক্ষে ৭৩ জন আত্মহত্যা করিয়াছিন খেৱাৰি, শ্ৰীলোকে কৰিলেও দুঃখের বিষয় বন্দীদের সংখ্যা হাজারের বেশী হইবে না হাজানে আমাদেৱ দেশে শ্ৰীলোকেয়াই বেশী আত্মহত্যা করিতেছে মানে দশ-বাক্ষে ছ হাজার। এপ তুলনা অব স্বাভাবিক দেখিয়া সেই দিকে বেী দৃষ্টি পা স্বাভাবিক নয় ; কারণ নজরবন্দীরা স্বাভাবিক অবস্থায় নাই । কিন্তু তাবাদের শিক্ষা ও ক্ষমতা কম, এবং অত্যাচরিত হইবার এই অস্বাভাবিকতার মাত্ৰা ৭৩ এবং ২০০৭ এর মধ্যে যে সম্ভাবনা বেশী। পুরুষদের চেয়ে তাহাদের মনে নৈরাপ্ত প্ৰভেদ তথাৱা বুঝা যাইৰে আলিবার অধিকতর সম্ভাবনা আমাদের দেশের সামাজিক পারিবারিক কতকগুলি ব্যবস্থার মধ্যে নিহিত হিয়াছে। অনুসন্ধান-সমিতি পাশ্চাত্য দেশসকলে আত্মহত্যা সম্বন্ধে অধ্যাপক হরিচরণ দাস মালদহের একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শিক্ষক লিন বলেন – ছিলেন। তাহাকে ভারত-রক্ষা আইন অনুসারে রাজা জেলার একটি গ্ৰামে আবদ্ধ করা হয় তথায় তিনি হত্যা করেন। ব্যবস্থাপক সভায় যুক্ত ভবেন্দ্ৰচন্দ্ৰ of dedicine in the University of রায়ের এক প্রশ্নের সরকারী উর হইতে জানা যা যে, গৱৰ্ণমেণ্ট এই লোকটর স্বাধীনতা লোপ কম্বিা ৬ষ্ঠ সংখ্যা] বিবিধ প্ৰসঙ্গ—জেলে স্ত্ৰী কয়েদী ৬৪১ ছিলেন বটে, কিন্তু তাহা জীবনধারণের জন্তু কোন বৃত্তি আসে এমন সব লোকদের কােছ হইতে, ঠিক বয় না নিদিষ্ট করেন নাই, আবদ্ধ অবস্থায় তিনি যতদিন বাচিয়া দেওয়াটাই যাহাদের স্বাৰ্থরক্ষা ও স্বাৰ্থসিদ্ধির উপায় । ছিলেন, ততদিন পুলিশের কাছ হইতে টাকা ধার করিয়া ছাড়া, এসব স্থলে এক হিসাবে গবৰ্ণমেণ্টই অভিযুক্ত কারণ বায় নিৰ্ব্বাহ কবিয়াছিলেন । মৃত্যুর কিছুদিন পূৰ্কে তাহার সর্বাবিধ অত্যাচার নিবারণ করা গবৰ্ণমেণ্টের কৰ্ত্তব্য, কোন ম্যালেরিয়া গল্প হইয়াছিল, এবং তচ্ছদ্য তিনি কোন স্বাস্থা অত্যাচার হইলে গবৰ্ণমেণ্টের ক্ৰটি, অবহেলা বা অক্ষমতা কর স্থানে প্রেরিত হইবার জন্য পুলিশ-সুপারিন্টেণ্ডেটের প্রকাশ পায়। অভিযুক্তের নিকট সম্পূৰ্ণ সত্য নিৰ্দ্ধারণ । ছে দরখাস্ত করেন এবধি ধিয়ে তাহার চারিটি ও প্ৰকাশ আশা করা যায় না। সুতরাং কোন থান্ত তাহার মৃত্যুর পর পুলিশ সুপারিস্টেণ্ডেটের নিকট নিগ্ৰাহ, লাহনা, অত্যাচার, প্রভৃতির সংবাদ প্ৰকাশিত পাছে ; যদিও দরখাস্তগুলি যে যে তারিখে লিখিত ও হইলে, স্থলবিশেৰে আবশ্যকমত অনুসন্ধান রিবার জন্ম প্রেরিত হয়, তাহাতে তাহাৰ অনেক আগেই পোঁছা উচিত একটি বেসরকারী অনুসন্ধানসমিতি থাকা আবশ্যক এই চিঠি চারিটি কাহার দোষে ঠিক সময়ে জেলার স্বদেশী আন্দোলনের সময় মৈমনসিংহ জেলার জামালপুয়ে পুলিশের কৰ্ম্মপক্ষেৰ নিকট পৌছে নাই ? কে এগুলি আটক ; যে-সব অত্যাচার হয়, তাহার অনুসন্ধান করিবার করিয়া বাথিয়ছিল ? যে এপ্রকারে চিঠি আটক করিয়া দেশবাসীদের পক্ষ হইতে যেমন শ্ৰীযুক্ত ভূপেন্দ্ৰনাথ বঙ্গ থিতে পারে, সে যে হরিচরণ দাসের শুকত অভিযোগ- প্ৰভৃতি গিয়াছিলেন পুৰ প্ৰতিষ্ঠাবান লোকদিগকে লই৷ অন্যান্য চিঠি লুকাইয়া রাখে নাই বা নষ্ট করিয়া কেলে এই সমিতি গঠিত হওয়া উচিত। কলিকাতায় সমিতি ই, তাহার প্রমাণ কি ? হয়ত 'এপ্ৰকার কোন চিঠি কেন্দ্ৰ করিয়া জেলায় জেলায় প্ৰধান প্ৰধান লোকদিকে প্রকাশিত হলে তাহা আত্মহতা ঠিক কারণ জানা লইয়া শাখা স্থাপন করা কৰ্তব্য বাইত গবৰ্ণমেণ্টের এইসব বিয়ে খুব ভাল করিয়া অস্থ এৰূপ সমিতির কেবলমাত্ৰ অস্তিত্বেই স্থলবিশেষে সন্ধান করা উচিত অত্যাচার নিবারিত হইতে পারে ; এবং ইহােৱ অনুসন্ধানের বাড়ীর কৰ্ত্তা আবদ্ধ হওয়ায় পরিবারের অনুকষ্ট হইয়াছে, ফল প্ৰকাশিত হইলে কোন-কোন স্থলে গবৰ্ণমেণ্টের পক্ষেও তাহাদের জমীদারীর আয় আছে, অথচ তাহার তত্ত্বাবধান সত্য-নিৰ্দ্ধারণের সুবিধা হইতে পায়ে । কিন্তু যদি আর খাজনা আদায় না হওয়ায় বাড়ীর ছেলেদের বিদ্যালার কোন ফল না-ও হয়, তাহা হইলেও আমরা যদি আমাদে বেতন ও আহাৱাদির ব্যয় দেওয়া ইতেছে না, এক্সপ ঘটনার স্বদেশীলোকদের বেৰন উপর অত্যাচার হইলে তাহাতে বা আমরা বিশ্বস্তুত্ৰে শুনিয়াছি বাৰস্থাপক সভায় পাই, এবং তাহার প্রতিচারের চেষ্টা করি, তাহাৰ দ্বারা সরকার পক্ষ হইতে বলা হইয়াছে যে নজরবন্দী কাহারও দেশেৱ সৰ্ব্বত্ৰ যে হৃদয়ে যোগ স্থাপিত হইবে, তাহা অমূল্য। হতে হাতকড়া দেওয়া হয় না। আমরা কিন্তু বিশেষ বিশ্বাস এঙ্কপ চেষ্টা কৰ্ম্মী এবং অপর সমুদয় দেশবাসীর চরিত্ৰে বাগা এক ভালোকের মুখে শুনিয়াছি যে তিনি স্বয়ং বৰ্দ্ধমান নিশ্চয়ই শক্তির মুণে সাহায্য করিবে ষ্টশনে ফরিদপুৰনিবাসী একজন নজরবন্দীর হাতে হাতকড়া জেলে স্ত্ৰী কয়েদী লেখিয়াছিলেন । এই বাক্তি বীরভূম জেলার মারাক্ষি থানার এলাকাভুক্ত এক গ্ৰামে আবদ্ধ আছে বাংলা দেশের নেলসমূহের ১৯১৬ সালের রিপোটে খবরের কাগজে এবং লোকমুখে পুলিশের অত্যাচার দেখিতে পাওয়া যায় যে ঐ বৎসর বিচারের পর ৮০৮ এবং ছ’ লোকদের * দ্বারা অত্যাচারের অনেক কথাও লোক আদালত হইতে জেলে প্রেরিত হইয়াঢ়ি যাৰ । এসব বিষয়ে ব্যবস্থাপক সভায় প্রশ্ন করিলে তাহার আগের বৎসর ৭০২ জন জেলে গিয়াছিল উত্তর পাওয়া যায়, তাহা উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারীর মুখ ১৬ জন বেশী গ্ৰীলোক কেন দণ্ডিত হইল” ইতে বাহির হইলেণ্ড, উত্তরটা বাস্তবিক অনেক সময় প্ৰকৃত বা আঙ্গুয়ানিক কারণ রিপোটে ৮১—১২