পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* t | s ! f f i 1398 as stors (Bacchanalian poet) footal ** ठेिक হয় না। যাহার স্বরাকে অপবিত্র বিবেচনা করেন না, ও স্বরাপান করেন,তাহাদের সকলকেই মাতাল বলা যায় না। তিনি বিধান ও বুদ্ধিমানকেই স্বরাপান করিবার অধিকারী বলিয়াছেন। “যদিও স্বরা হরাম, কিন্তু জান কি ? কে খাইবার অধিকারী ? কোন স্থানে ? কতটা ? কাহার সহিত খাওয়া উচিত ? এই চারটি কথা যে বুঝিতে পারে না, সে যেন স্বরাপান না করে । কেবল বুদ্ধিমানের স্বরাপান করিবার অধিকারী ।” স্বরাপাল করিবার অধিকারী সম্বন্ধে তিনি বলিয়াছেন, “সম্রাট, হীম [ মহামহোপাধ্যায় বিদ্বান Doctor ] ও মত্ত মাতালের স্বরাপান করিবার অধিকার। যদি এই তিনটির এক প্রকার না হইতে পার, তবে খাইও না, কেন না উহা শত্রু । { সম্রাট সকলে হইতে পারে না, হয় বিধানদের মত অল্প মাত্রায় থাও, নয় মত্ত মাতালের মত খাষ্টয়া মাতলামি কর। মাতালের মত থাইলে উহ। শত্রু ]” তিনি স্বরার পরিমাণও নির্দেশ করিয়া দিয়াছেন । “যদি তুমি স্বরাপান করিতে চাও, তবে বুদ্ধিমানের সহিত খাও। অথবা প্রিয়ার সহিত হাসিতে হাসিতে খাও। বেশী খাইও না, বারবার থাইও না, গুপ্ত কথা প্রকাশ করিও না ( অর্থাৎ এত থাইও না যে মনের গুপ্ত কথা প্রকাশ করিয়া ফেল ) । অল্প খাও, কখন কখন থাও, একান্তে ঘসিং খাও ( অথবা লুকাইয়া খাও) " “যদি স্বরাপান করিতে চাও, দেখিও বুদ্ধিভ্রষ্ট হইও না। জ্ঞানশূন্ত হইও না, দুষ্ট ও মূর্থের সহিত এক প্রকোষ্ঠে হইও না । যদি ইচ্ছা কর যে স্বরা তোমার পক্ষে হলtল হউক, তবে কাহাকেও কষ্ট দিও না ও পাগল হইও না। { কোরানের আজ্ঞানুসারে স্বরা সকল অবস্থাতেই হরাম, থৈয়াম সে কথা অগ্রাহ করিয়া বলিতেছেন, অল্প পরিমাণে খাইলে হলাল, বেশী থাইলে হরাম ]” দার্শনিক আবু-আলী সীনা স্বর্যপান করিতেন ; তিনিও স্বরার গুণ গান করিয়াছেন—“স্বরা মত্ত মাতালের শত্রু ও বুদ্ধিমানের বন্ধু । উহা অল্প মাত্রায় ভিরিয়াফ [ সৰ্ব্ব-রোগ દ્વત્તાનો– ૬ ઇં, 498 [ २१* छोण, sञ थ७ ংর গুন ও বেণী মাত্রায় কাল কূট। বেশ খাইলে তাহার দোষ অল্প নহে, কিন্তু অল্প খাইলে তাহার গুণ অনেক ।” খৈয়ামকে সম্মান করিয়া নিমন্ত্রণ না করিলে তিনি কোথায়ও যাইতেন না, তিনি রাজাদের দ্বারেও অনাহূত যাইতেন না। দেশের সম্রাট ও প্রাদেশিক রাজার তাহাকে সম্মান করিয়া আপনাদের সহিত সমান মসনদে বসিতে স্থান দিতেন,তাহাতে বোধ হয় তিনি সামান্ত গৃহস্থসস্তান ও স্বর্যপায়ী হইলেও বিদ্বান দার্শনিক রূপে সমাজে ও দেশে সম্মানিত ছিলেন ; তিনি বন্ধ মাতাল (Bacchanalian poet) xêta q xruta oitētwa ai ! তিনি যেমন উদার দার্শনিক ছিলেন, সেইরূপ ভণ্ডামি সহ করিতে পারিতেন না। তিনি ভণ্ড সাধুদের বিদ্ধপ করিয়া বলিয়াছেন— “একজন সাধু এক বেস্তাকে দেখিয়া বলিলেন, তুই মাতাল। তুই কেবল অন্ত লোকদের আপনার ফাদে ফেলিবার চেষ্টা করিসূ স্ট্রীলোকটি উত্তর করিল, আমাকে প্রকাশ্বে যাহা দেখিতেছ, আমি ঠিক তাহাই । কিন্তু তোমার যেমন বাহ বেশ, তুমিও কি তাহাই ?” ইসলামের অধৰ্ম্ম বিষয়ক আইন অনুসারে কেহ কোরানে বর্ণিত ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করিলে সে কাফির ; কেননা কোরানের আজ্ঞাগুলি স্বয়ং ঈশ্বরের উক্তি ; তাহাদের কেহ মিথ্যা বলিতে পারে না । বলিলে তাহার একমাত্র শাস্তি শিরচ্ছেদন । থৈয়াম দার্শনিক, অতএব তাহার মত কোরান বিরুদ্ধ ; কিন্তু মনে যাহাই ভাবুন বা বিশ্বাস করুন, তিনি সে কথা মুখ ফুটি বলিতে পারিতেন না । সেইজন্ত তিনি দুঃখ করিয়া বলিয়াছেন :– "ঞ্জাতের গুঢ় রহস্য যাহা আমার মস্তিষ্কে সংগ্রহ করা আছে । বলিতে পারি না, কেননা তাহা হইলে আমার বিপদ হইবে ॥ সংসারী জীৰ মধ্যে (অর্থাৎ শাসক ফকীহ সম্প্রদায়ে) যখন কেহ উপযুক্ত লোক নাই । তখন আমার মনে যাহা অাছে তাহা প্রকাশ করিতে পারিলাম না ৷” তিনি মৃত্যুর কয়েক দিবস পূৰ্ব্বে এই কবিতাটি রচনা