পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ఆ ఆ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড बांध निद्रा रुझे आहेब छाख्द्र cनांकान श्हे८ङ दाश्ब्रि হইয় ফুটপাথের উপর আসিলেন। তাহার মনে ट्हेंज —কি ভয়ানক, কুলের কুলবধূ, বই লিখিয়া এখন তার পরিচয় লোকের মুখে মুখে ফিরিতেছে। এমনকি, বয়সলইয়া পৰ্য্যস্ত আলোচন, ইহাপেক্ষ নারীর অপমান জার কি হইতে পারে ? এখনি ইহার উচিত বিধান করিতে হইবে । কিছু পথ অতিক্রম করিয়া হারিসন রোডের মোড়ের উপর একখানি লালরঙের বাড়ীর সম্মুখে পিতলের ফলকে “হিমাকর ব্যানাচ্ছি, এম-এ, বি-এল, উকীল, হাইকোর্ট” দেখিয়াই ভাক্তার সেই বাড়ীর মধ্যে টুকিয়া পড়িলেন। জনৈক ব্যক্তি বঁ-হাতি একখানি মুসজ্জিতগুহে একাকী রলিয়াছিলেন। বলিয়া উঠিলেন—“কি চান মশাই ?” ভাক্তারের সহিত চোখোচোথি হইতেই আবার ৰলিয়া উঠিলেন,—“স্বভাব যে—আরে, তুমি কোখেকে ? কালই তোমার কথা হচ্ছিল। এসো, এসো, ঘরে . এসে ।" ভাক্তার ঘরে ঢুকিয়া আসন গ্রহণ করিয়া কহিলেন, “জাজ সকালেই এসেছি। মহতাশ্রমে নেমেছি। একটা জরুরি কাজ আছে। একটা উকীল ঠিক করে দিতে পার ?” হিমাকর কহিলেন,—“আরে ভায়, আমিতো নিজেই উকীল । কি করতে হবে বল না ?” ডাক্তার কহিলেন,—“না ভাই এসব পয়সাকড়ির মামলায় বন্ধুবান্ধবকে উকিল দেওয়া আমার প্রিন্সিপল नद्र। इ१ि cडाभाद्र छाना ७क,ि डेकौन ঠিক ক’রে দাও। আজই দরকার-পাচদিনের ছুটি নিয়ে আমি এসেছি।” হিমাকর স্বভাষের সহপাঠী, স্বভাবের পাঠ্যাবস্থার খামখেয়ালীভাব তাহার খুব জানা ছিল । সে আর দ্বিরুক্তি না করিয়া কহিল,—“বেশ, আমার সঙ্গে কাছারী চল, ঠিক ক’রে দিচ্ছি। তোমার খাওয়া-দাওয়া হয়েছে ত স্বচ্ছদে আমার এখানে এসেই উঠতে পারতে। তা না হোটেলে উঠতে গেলে । নাও, একটা সিগারেট ቁስte " ডাক্তার কহিলেন, “হোটেলে খেয়ে এসেছি ; এই সিগারেটই যথেষ্ট বেলাতে এগারোটা বেজে গেছে, কোর্টে যাবে কখন ?” “এই যে, পোষাকটা পরে আলি। খেয়ে একটু বিশ্রাম না করে ধ। ধ৷ ক’রে দৌড়লেই অস্থখ হয় । , বোলো তুমি। হাতে ওখানা কি বই হে ? “কালীর আঁচড়” আজকাল বে-থা ক’রে গল্পের বই পড়তে শিখেছ তা হ’লে ? ষ্টুডেন্ট-লাইফে ও সবের উপর তুমি যে খঙ্গহস্ত ছিলে ।” ডাক্তার উত্তর দিলেন না । হিমাকর-বাবু কয়েক মিনিটের মধ্যেই অন্দরমহল হইতে পোষাক পরিয়া আসিয়া বন্ধুকে লইয়। রাস্তার মোড়ের মাথায় ট্রাম ধরিবার জন্য যাত্রা করিলেন । קfr• দিনতি নচার পরে রবিবারের দ্বিপ্রহরে আবার বন্ধুভবনে হিমাকরবাবুর সহিত ডাক্তারের সাক্ষাৎ । হিমাকর বন্ধুসন্দর্শনে খুব খুশী হইয়া উঠিয়া কহিলেন, “এসে, এসো, সেই দেখা ক’রে গিয়ে একেবারে ডুব মেরেছিলে যে। বোসে, বোসো, খবর কি ? *কালীর আঁচড়” বুঝি শ্ৰীমতীর লেখা —এমন স্থখবরও লুকুতে হয় ? I congratulate you on your having such an enlightened wife.” বন্ধুর প্রসারিত করখানি ঠেলিয়া দিয়া ডাক্তার মানমুখে কহিলেন—“মকদ্দমা যে টেকে না হে ! স্ত্রীর জবানবন্দী চায়—তাকে কি আমি কোর্টে এনে দাড় করাতে পারি !” হিমাকর কহিলেন, “ব্যাপারটাতো আমার কাছে তুমি আগাগোড়াই লুকিয়ে রাখ লে। ত৷ আমি কি করি, বল ? তোমার স্ত্রীর অমতে manuscript (পাণ্ডুলিপি ) পাবলিশার ছেপেছে, এই অজুহাতে তুমি যেন নালিশ করলে । কিন্তু পাবলিশার্ত স্পষ্টই আদালতে বলেছে যে, হিরন্ময় ঘোষ ( লেখিকার ভাই ) manuscript ( পাণ্ডুলিপি ) তাকে দিয়েছিল। এক্ষেত্রে হিরন্ময়-বাবুর সঙ্গেই আগে তোমার দেখা করা