৩য় সংখ্যা] প্রাচীন ভারতে রাজ-কোষবিষয়ক বিধি-ব্যবস্থ৷ ○設ぐ লইয়া ভারতবর্ষে কত গোলযোগ চলিতেছে তাহা সকলেই অবগত আছেন। রাজার আদেশে নিৰ্ম্মিত লাঞ্ছনযুক্ত এই মুদ্র কারবারে বা রাজকোযের জমার জন্য, কোনও সাধারণ লোকের বা রাজপুরুষের গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিবার উপায় ছিল না [ অর্থাৎ ইহা legal tender রূপে ব্যবহৃত হইভ ] । ধাতু-নিৰ্ম্মিত মুদ্রার পরীক্ষা জন্য একজন রাজ-কৰ্ম্মচারী থাকত, তাহার নাম ‘রূপ-দর্শক । একশত পণে আটপণ ( রূপিক সংজ্ঞক ) পাচ পণ ( ব্যাঙ্গী সংজ্ঞক ) বা সাড়ে বার পণ পরীক্ষিক সংজ্ঞক বাটার ব্যবস্থ৷ দেওয়ার ভার এই রূপ-দর্শকের উপর ন্যস্ত থাকিত। কিন্তু বৰ্ত্তমান তুময়ে স্ববর্ণ রৌপ্যাদি ধাতুর মুগ্য বৃদ্ধি হইলে শাসন-সরকার যে-রীতি অবলম্বন করিয়া পত্র মুদ্রা বা কাগজ মুদ্রার প্রচলনের ব্যবস্থা করেন এবং যে মুদ্রাতে অধুনাতন লক্ষণাধ্যক্ষ সরকার পক্ষে মুদ্রাতে উল্লিখিত টাকার সংখ্যা তদ্বাহককে চাওয়া মাত্র ধাতুনিৰ্ম্মিত মুদ্রাদ্বারা পরিশোধের অঙ্গীকার করিয়া থাকেন—ত দ্রুপ কাগজ মুদ্রার প্রথা প্রাচীনভারতে কখনও ছিল বলিয়া জানা ধায় না। কিন্তু এখন আমরা কখনই এরূপ বুঝি না যে, যত টাকা মূল্যের প্রমুদ্র সরকারী অফিস হইতে বাজারে প্রচলন জন্য নিষ্ক্রান্ত হয় তদন্থরূপ ধাতুমুদ্র। রাজকোষে নাই । বিবিধ আয়-মুখ নিম্নে উল্লিখিত দুর্গাদিসংজ্ঞায় পরিচিত সাতটি বিষয় রাজস্বোৎপত্তির স্থান বলিয়া নির্দিষ্ট । এই সপ্তায়তন আয় শরীরের মধ্যে সপ্তবষ্টি প্রকারের আয়ের পথ উল্লিখিত আছে। যথা— (ক) ১। ঘট্টদেয়াদি নানারূপ শুদ্ধ ৷ ২ ৷ নানাপ্রকার রাজদণ্ড-লুব্ধ আয় । ৩। তুলা ও মান সংক্রান্ত আiয় । ৪ । নাগরিক বিভাগের আয় । ৫ লক্ষণাধ্যক্ষের অর্থাৎ টঙ্কশালার আয় । ৬। মুদ্রাধ্যক্ষ বিভাগের pass-port বিক্রয় জন্ত ] আয় । ৭ স্বরাবিভাগের wia ( Excise) v i zal festo (slaughter house) षीध्रं ।। २ । श्यांश्]ंचब्र चiघ्न । s•-•२ ।। ५१५ তৈল, ঘৃত ও ক্ষার বস্তুর কারবার-সংক্রাস্ত বিধিব্যবস্থার ব্যতিক্ৰমজনিত আয় । রাজ-সেীবণিক ও রাজপণ্যশালার আয় । ১৫ । বেস্তাদের নিকট হইতে প্রাপ্য अए{५:ाi ठाघ्र । ও দূত বা জুয়াখেলার নিয়মজনিত আয়। ১৭। বাস্তবিদ্যোপজীবিগণ (architects) হইতে লব্ধ আয় । ১৮ ১৯ । ও কারু শিল্পীগণের দেয় শুদ্ধাদি হইতে আয় । ২০ । নগর দেবতাধ্যক্ষের আয় । ২১ । ছায়া দেয় । ও ২২। বাহিরিক অর্থাং নটমৰ্ত্তকাদি হইতে গ্রাহ শুষ্ক দ্বার। অায়। এই দ্বাবিংশতি উপায় দ্বারা লভ্য রাজস্ব দুর্গসংজ্ঞক । (খ) ১। সীতা বা কৃষিসম্ভূত আয়। ২। প্রসিদ্ধ ধাপ্তাদির যড় ভাগ। ৩। বর্ণি-নামক ধৰ্ম্ম দেবতা বিষয়ক কর । ৪ । ফলস্তৃক্ষাদি সম্বন্ধীয় রাজদেয় কর । ৫ । বণিকদের দেয় । ৬। নদীপাল বা ঘাটরক্ষকদের দ্বারা প্রাপ্য আয় । ৭। তঃ-নামক (জল-কর)। ৮। নৌবিভাগের আয় । ৯ । ছোট ছোট পট্টন নামক নগর সঞ্জাত আয় । .م.. ১৩-১৪ | } و& < ১০ । এবং বিবীত বা ব্রঙ্গভূমি সঞ্জাত আয় । ১১। বৰ্ত্তনা (পথ্যকর)। ১২ । রজু নামক কল্প (বিষয়ুপতিদের ভূমির জরিপ জন্য কর)। এবং ১৩ । চোর রজু নামক কর ( সম্ভবতঃ গ্রামদেয় চৌকিদারী টেক্স)। এই ত্রয়োদশ উপায়ে লব্ধ রাজস্ব রাষ্ট্র সংজ্ঞক । (গ) স্ববর্ণ, রজত, হীরক, মণি, মুক্তা, প্রবাল, শঙ্খ, গোহ, লবণ, ভূমিধাতু (সম্ভবতঃ কয়লা প্রভৃতি), প্রস্তর ধাতু ও রসধাতু এই দ্বাদশ খনিজ পদার্থের রাজকীয় কারবার-জনিত রাজস্বেtৎপত্তি। এই আয় খনি ६७3६ ॥ (ঘ) ফুস্কৃমাদি কুহমবাট, ফলবাট, পূগাদি ঘণ্ড, কেদার (ধান্তদি ক্ষেত্র) ও মুলবাপ (হরিদ্র, আদ্রক প্রভৃতি ক্ষেত্র) এই ছয়টি স্থানে উৎপন্ন বস্তু হইতে প্রাপ্ত আয়। আমেরিকায় এইরূপ বহুলভাবে সরকার পরিচালিত ফলমুলাদির উৎপত্তি ও ব্যবসায়ের ব্যবস্থা অদ্যাপি আছে। এই আয় সেতু-সংজ্ঞায় পরিচিত। (ঙ) পশুবন, মুগবন, দ্রব্যবন ( প্রকাও প্রকাও কাষ্ঠাদির বন) ও হস্তিবন, এই চারি স্থান হইতে লভ্য আয় বন-সংজ্ঞায় পরিজ্ঞাত। (চ) গো, মহিষ, ছাগ, মেষ, গর্দভ, উজ্র, অশ্ব ও
পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭২
অবয়ব