86te প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড একথা ছাড়িয়া দিয়া এখন দেখি, গবর্ণর ব্যবস্থাপক সভা প্রভৃতি ঠাট বজায় রাখিবার মত টাকা উ-প-সী প্রদেশের অাছে কি না । আসাম সকলের চেয়ে কম আয় বিশিষ্ট গবর্ণরশাসিত ও ব্যবস্থাপকসভাসমন্বিত প্রদেশ। কেবল উহার সহিত তুলনা করিলেই চলিবে। আলামে ভূকর আদায় হয় ১,০৫,৫৩,২৪৭ টাক, উ-প-সী প্রদেশে হয় ২৩,১২,২২৪ টাকা, অর্থাৎ আসামের সিকিরও কম। আসামে আয়কর আদায় ১৯২৪-২৫ সালে হইয়াছিল ২৩,৫৯,৫৬০ টাক, উ-প-সী প্রদেশে ৬,৫৪,৮১৬ টাকা । আসামে ঐ সালে আযকারীর অfয় হইয়াছিল ৬৫,৯৫,৯৩৮ টাক, উ-প-সী প্রদেশে ৫,৩৮,১১২ টাকা । আয়ের এই কয়টা দফা হইতেই বুঝা যাইবে, গবর্ণর, ব্যযস্থাপক সভা প্রভৃতির ব্যয় নির্বাহ করা উ-প-সী প্রদেশের পক্ষে অসম্ভব হইবে, উহাকে ভারত গবন্মে ন্টের সাহায্য লইতে হইবে । কিন্তু অল্প সব প্রদেশের টাকা লইয়া তাহা হইতে উ-প-সী প্রদেশকে দান করিবার অধিকার ভারত গবন্মেণ্টের নাই—বিশেষতঃ যখন দেখা যাইতেছে, ঐ অন্য প্রদেশগুলির প্রত্যেকটিতেই টাকার অভাবে শিক্ষণ, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য অবহেলিত হইতেছে। উ-প-সী প্রদেশকে স্বতন্ত্র একভাষাভাষী বলিয়াও আলাদা গধর্ণরশাসিত প্রদেশ বানাইবার প্রস্তাব সমর্থন করা যায় না। এখানে পষতে বলে ১২,৭২,৩২৬ জন, পঞ্জাবী বলে ১০,• •,২৫৫ জন ; অর্থাৎ প্রায় সমান সমান। পষ তোর হিসাবে বালুচীস্থানের সহিত, পঞ্জাবীর হিসাবে পাঞ্জাবের সহিত ইহাকে জুড়িয়া দেওয়া উচিত। শিক্ষায় এই প্রদেশ অত্যন্ত অনগ্রসর । ইহার সওয়৷ দুই লক্ষ লোকের মধ্যে দু লাখের উপর মুসলমান। তাহাদের সম্বন্ধে সেন্সস রিপোর্টে লেখা হইয়াছে, “The local Muhammadans, who are mainly Pathans, though handy enough with the rifle or sword, are by no means addicted to penmanship; in every thousand of each sex only 24 males and 1 female can read and write.” পাঠান ;
- স্থানীয় মুসলমানর প্রধানতঃ তাহারা বন্দুক তলোয়ার চালাইতে বেশ পারে, কিন্তু কলমের প্রতি আসক্তি छहोष्ण ब्र ८कोनभाठ३ अहेि । थठि इास्त्राद्ध श्रृङ्गारु २s छन ७ यछि হাজার স্ত্রীলোকে একজন লিখিতে পড়িতে পারে।”
আফিস আদালতের কাজ ও রাষ্ট্রীয় কাজ চালাইবার छछ कभ८द*ौ शे९८ब्रखौ छांनी लद्रकांद्र । किरू ऐंठ-श्रृं-जैौ প্রদেশের ২• ও তদৃদ্ধ বয়সের ইংরেজী জানা পুরুষদের সংখ্যা ২,২৬৬ জন মাত্র । বাংলা দেশের প্রত্যেক জেলায় এবং অনেক সহরের প্রত্যেকটিতে এর চেয়ে বেশ। ইংরেজীজানা লোক আছে । সিন্ধুদেশের লোকসংখ্য (৩২, ৭৯, ৩৭৭ ) মৈমনসিংহের লোকসংখ্যা (৪৮, ৩৭, ৭৩০ ) অপেক্ষা কম, ঢাকার লোকসংখ্যার (৩১, ২৫, ৯৬৭ ) প্রায় সমান । সিন্ধুর প্রধান ভাষা সিন্ধী বলা হয় বটে, কিন্তু নিজেদের ভাষা বলিয়া তথাকার হিন্দুরা হিন্দী চালাইতে ও মুসলমানরা উর্দু চালাইতে ব্যগ্র ; ফলে সিদ্ধাভাষীর ংখ্যা ১৯১১ সালে ৩•,০৭,• • • হইতে ১৯২১ সালে কমিয়া ২৬,১৮,• • • হয় । সিন্ধুদেশের সরকারী আয় সম্বন্ধে স্বতন্ত্র হিসাব সরকারী ষ্ট্যাটিষ্টিক্যাল ফ্ল্যাবস্থাক্টে দেওয়া নাই। কিন্তু বোম্বাইয়ের ও সিন্ধুর কোন কোন খবরের কাগজে দেখিয়াছি যে, এখন উহার স্বতন্ত্র গবর্ণর ও ব্যবস্থাপক সভা না থাকা সত্ত্বেও উহার আয় হইতে উহার ব্যয় ংকুলান হয় না। সকর নামক স্থানে সিন্ধুণদে বঁধ বধিয়া কৃত্রিম খাল দ্বারা উহার জল বহুবিস্তৃত ভূখণ্ডে সেচন করিলে সিন্ধুদেশে ফসল বেশী হইবে ও উহার আয় যথেষ্ট বাড়িবে, এইরূপ আশ। অনেকে করিতেছেন। কিন্তু অনেকে আশঙ্কাও করিতেছেন, যে, এরূপ স্বফল न श्हे८उe १itब्र । यूनि ट्ध्नe, ऊांश श्हेलe ७थन বঁধে দিতে ও খাল নিৰ্ম্মাণ করিতে যে বহু কোটি টাক। লাগিবে, তাহা কিম্বা তাহার স্বদ দিতে সিন্ধুদেশ অসমর্থ ; তাহা বোম্বাই গবন্মেটিকে দিতে হইবে। আমরা গবর্ণরশাসিত নূতন প্রদেশ বানাইবার প্রস্তাবটি আলোচনাপ্রধানতঃলোকসংখ্যা, ভাষা, ও আয়ের দিক্ দিয়া করিলাম। যেমন কেহ স্বতন্ত্র ঘরকন্না পাতিতে চাহিলে সংসারখরচের টাকাটা একান্ত আবশ্যক, রাষ্ট্রীয় ব্যাপারেও তাঁহাই। ইহাই জায়ের কথা তুলিবার কারণ। যদি টাকাই না জুটে, তাহা হইলে অঙ্গ যুক্তি বা আপত্তির আলোচন অনাবশুক ।