পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভবঘুর্যের চিঠি ‰8ጫ মত দক্ষভ দেখাইতে পারিতেন, তাহ হইলে আমাদের এই পরাজয় হইত না।” জাৰ্ম্মানিতে লোকে অতীতের কথা চর্চা করিতে চায় না। কি করিয়া পুনরায় জগতের মধ্যে মহাশক্তিশালী জাতি হইতে পারিবে সেইজন্য জাৰ্ম্মান শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, সংবাদপত্রসম্পাদক, অধ্যাপক ও জনসাধারণ খাটিতে প্রস্তুত । আমার বিশ্বাস এই যে, আগামী দশ বৎসরের মধ্যে জাৰ্ম্মানি অর্থনীতি-ক্ষেত্রে, ব্যবসায়ে, শিক্ষ-বিষয়ে এবং রাজনীতি ক্ষেত্রে নিজের শক্তিতে সৰ্ব্বপ্রধান রাজশক্তির মধ্যে পুনরায় গণ্য হইবে। জাৰ্ম্ম:ন জাতি জাতীয় অভু্যখানের জন্য সাধনা করিতেছে। সাধনার ফলে উন্নত হইবে, সে-সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই । জাৰ্ম্মানির জাতীয় সাধনার সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা করা এই চিঠির মধ্যে সম্ভব নয়। শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে কিভাবে উন্নতি-প্রয়াস চলিতেছে, তাহ যাহারা ভাল করিয়া বুঝিতে চান, তাহারা ইংলণ্ডের পালামেণ্টের লভ্য সার ফিলিপ ডসনের লিখিত নূতন পুস্তক জাৰ্ম্মান fosso oro (Germany's Industrial Revival) পড়িবেন । তবে এই প্রসঙ্গে কয়েকটা কথা বলিতে চাই। যদি কোন জাতি কখন বড় হইতে চায়, সেজাতিকে অপর দেশের সঙ্গে নানা প্রকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করিতে হইবে । শিল্প-বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সে-জাতিকে ব্যবসাক্ষেত্রে নামিতে হইবে এবং জাতীয় বাণিজ্য-পোত গড়িয়া তুলিতে হইবে । পুরাকালে ভারত, চীন, গ্রীস্ অন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষ উন্নতি করিয়াছিল ; পরে ইতালি, স্পেন, তুর্কি, হলণ্ডের বাণিজ্য-পোত এবং রণতরী জাতীয় উন্নতির ও প্রতাপের প্রধান সহায় হইয়াছিল ; বর্তমানে ইংলও, আমেরিকা ও জাপানের রণতরীর ও বাণিজ্য-পোতের প্রভাব সকলের জানা আছে। যদি গত যুদ্ধে জাৰ্ম্মানির রণতরী ও বাণিজ্যতরী শত্রুহস্তগত ন হইত, তাহ। হইলে জাৰ্ম্মানি আজ মহাবলশালী রাজশক্তির মধ্যে গণ্য হইত। ভারণই সন্ধির ফলে জাৰ্ম্মানি বড় বড় রণতরী নিৰ্ম্মাণ করিবার অধিকার হারাইয়াছে এবং জাৰ্ম্মানির অধিকাংশ বাণিজ্যতরী জয়ী জাতিরা বিশেষতঃ ইংলণ্ড লইয়াছিল ; কিন্তু অদম্য প্রয়াসের ফলে আজ জাৰ্ম্মান জাতি বাণিজ্যে উন্নতির পথে চলিয়াছে । উদাহরণ স্বরূপ নর্থ জার্মান লয়েড কোম্পানির অতীতের এবং বর্তমানের কথা বিচার করা যাউক । ৭• বৎসর পূৰ্ব্বে এই কোম্পানি স্থাপিত হয় এবং ১৯১৪ সালে যুদ্ধের পূৰ্ব্বে সমস্ত জগতের মধ্যে চতুর্থ বৃহৎ জাহাজ লাইনের স্থান অধিকার করে সেই সময় এই কোম্পানির ৪৯৪ খান জাহাজ ছিল ; তাহার মোট “গ্রোস টনেজ” ৯২৫,• • • টন ছিল। যুদ্ধের শেষে এই কোম্পানীর মাত্র ৫৭,• • • টনের ছোট জাহাজ ছিল। این گی জাৰ্ম্মালিতে ব্যায়াম-শিক্ষার নমুনা গত ৭৮ বৎসরের যত্ব আজ এই কোম্পানির জাহাজ ও বাণিজ্য পুনরায় খুব বাড়িয়া উঠিয়াছে। ১৯২৫ সালের শেষে এই কোম্পানির মোট “গ্রোস টনেজ” ৬১৩, ৫৬ টন্‌ এবং ৪১৮ খানি জাহাজ ছিল। এই জাহাজগুলির মধ্যে ১১৭ খানি সমুদ্রগামী বাণিজ্যতরী এবং তাহীদের মোট "গ্রোস টনেজ” ৩৫৮, ৯৩ টন । ১৯২৫ সালের শেষ সময়ে এই কোম্পানী ১২,৭৩৪ জন লোককে চাকরী দিয়াছে। ১৯২২ সালে এই কোম্পানী ২৩,৭৪৮ জন যাত্রী, ১৯২৩ সালে ৫৩,৮২০, ১৯২৪ সালে ৬০,৮০২, এবং ১৯২৫ সালে ৯১,৫৯৬ জন যাত্রী বহন করিয়াছে। এই কোম্পানির সমৃদ্ধির চিহ্ন এই যে, ১৯২৪ সালে ইহার শেয়ার ৬০ বা ৭০ মার্কে বিক্রয় হইতেছিল এবং বর্তমানে উহ্য ১৪• মার্কে বিক্রয় হইতেছে। যুদ্ধের পর এই কোম্পানি ৩২,• • ০ টনের "কলম্বস” নামক জাহাজ গড়িয়াছে এবং ১৯২৮ সালের মধ্যে “ইউরোপ" ও