পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভবঘুর্যের চিঠি \b8సి দের জমি দিয়া বসবাস করিবার জন্য মুযোগ দিয়াছে। ব্রাজিলের প্রত্যেক ধনী ও মধ্যবিত্ত সংসারের ছেলেমেয়ের কৃষ্ণাঙ্গ ধাইর দুগ্ধে পুষ্ট হয় এবং এই চাকরাণীদের “ব্লাক মাদার” “কৃষ্ণাঙ্গ মাতা” বলিয়া থাকে এবং সম্প্রতি এই কৃষ্ণাঙ্গ চাকরাণীদের বা কৃষ্ণাঙ্গ মাতাদের স্মৃতিরক্ষার্থ প্রায় এক ক্রোর টাকার স্মৃতি-মন্দির গঠনের জন্ত জনসাধারণ টাকা উঠাইতেছে। ইংরজের রাজ্যে ভারতবাসীর সম্মানের স্থান নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না ; বিশ্বব্রহ্মাগুকে কৰ্ম্মক্ষেত্র করিয়া বাঙ্গালী যুবক জগতে বাহির হইয় পড়— আমাদের বিশ্বজয় করিতে হইবে ; কেবল ঘরে বসিয়া কঁদিলে চলিবে না। আর একদিন আমরা ব্যাভেরিয়ান আল্পসের মধ্যস্থিত “মিটেস্ ওয়াল্ড ” (মধ্যবন) সহরে যাই। আমরা যখন ষ্টেসনে আসিয়া প্লাটফরমে বেড়াইতেছি হঠাৎ দুইটি ১৬:১৭ বৎসরের বাগিকা আমাদের কাছে আসিল । ইহাদের মধ্যে একজন আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করিয়া বলিল, "আপনি কি একজন ইংরেজ মহিলা ?” আমার স্ত্রী হাসিয়া বলিলেন, “ন, বালিকা, আমি একজন মার্কিন মহিলা ; আমার স্বামী একজন ভারতবাসী ।” বালিকা তখন বলিল, “আমি একটি ইংরেজ বালিকা, প্রায় তিনমাস পুৰ্ব্বে আমি এথানে আসিয়াছি । আমি এখানে একটি জাৰ্ম্মান বালিকাদের বোর্ডিং স্কুলে থাকি ; আমি জাৰ্ম্মান শিখিতেছি এবং আমার নিকট হইতে মেয়ের ইংরেজী শিক্ষা করে। আমার সঙ্গা আমার স্কুলের ছাত্রী। আজ তিন মাসের পর আপনাদের সঙ্গে মাতৃভাষায় কথা কহিয়া কত আনন্দ হইল।” আমি তখন বালিকাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “একলা বিদেশে আসিতেতোমার ভয় হয় নাই? জাৰ্ম্মানিতে তোমার কোন কষ্ট হয় কি ?” মেয়েটির মুখখান লাল হইল এবং সে বলিল—“ইংলও ছাড়িবার সময় মনে মনে একটু সন্দেহ হইয়াছিল, যে, জাৰ্ম্মান মেয়েরা আমায় হয়ত ইংরেজ বলিয়া ঘৃণা করিবে। গত যুদ্ধের ফলে আমাদের দেশে জাৰ্ম্মানীর লোককে বৰ্ব্বর বলিয়া বর্ণনা করিয়াছে ; কিন্তু আমার {জীবনে এত দয়া, মমতা এবং সখ্যভাব অন্য কাহারও কাছে পাই নাই। আমার সহপাঠী জাৰ্ম্মান বাদু রাইফেন হলের নিকটস্থ ব্যাভেরিয়ান আল্পসের একটি চূড়া বালিকার আমায় নিজেদের বোনের মত ভালবাসে এবং এই জাৰ্ম্মান বালিকা আমার বন্ধু।” আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলাম, “তুমি কিজম্ব জাৰ্ম্মানিতে আসিয়াছ ?” তদুত্তরে ইংরেজ বালিকা বলিল, “আমি জাৰ্ম্মান শিথিতে চাই, এবং আমাদের ইচ্ছা, যে, ইংরেজ ও জাৰ্ম্মানের মেয়েদের - মধ্যে সথ্য ভাব বুদ্ধি হয় ; কাজেই জাৰ্ম্মানিতে আসিয়৷ জাৰ্ম্মান শিক্ষা ও জাৰ্ম্মন জাতিকে ভাল করিয়া জানা অামার উদ্দেশ্য।” এই সময়ে আমাদের ট্রেন আসিয়া পড়িল,আমরা বিদায় অভিবাদন করিয়া গাড়িতে উঠিলাম এবং ট্রেনে ভাবিতে লাগিলাম ইংরেজ ভারতে অত্যাচারী সত্য ; কিন্তু ইংরেজের শক্তি, সাধনার ফল । ১৭ বৎসরের ইংরেজ মেয়ে একল৷ বিদেশে শিক্ষার জন্য সাধনা করিতে ভীত বা উৎকষ্ঠিত নয় আর ভারতে হিন্দু সমাজ সতত্বের ধুয়া ধরিয়াও স্ত্রীজাতির মর্য্যাদার ভান করিয়া, মেয়েদের শিক্ষা দিবার সুযোগ দেয় না এবং ৫।৭৮১০ বৎসরের বালিকাদের