পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やや8 প্রবাসী— ভাদ , లిరి8 [ ২৭শ ভাগ, »ग ४७ জোর ক’রে গলায় একটি গেীরাদানের দুগ্ধপোষ্যা শিশু ঝুলিয়ে দেবে ?” স্থবীর বলিল, “দশ গণ্ডাকে পারা যায়, বিশেষ তারা যদি পুরুষ হয়। কিন্তু একটি মায়ের সঙ্গে পারা শক্ত, বিশেষ তিনি যদি বিধবা হন, আর তার একটি মাত্র সন্তান থাকে। আইনতঃ আমি এখন সাবালক, যা খুন্সি কবুরার ক্ষমতা আমার আছে, কিন্তু কাৰ্য্যতঃ এত বড় অক্ষম এবং নিরুপায় জীব আর নেই হে। যা করতে যাই, তাতেই মনে হয় মা দুঃথ পেলেন বা । অত্যস্ত অল্প বয়সে বিধব৷ ” হ’য়েছিলেন, সংসারের কোনো সাধই তার মেটেনি। এখন সব সাধ তার আমাকে দিয়েই মেটাবার ইচ্ছা। একট। মানুষের সমস্ত স্নেহ-মমতার অধিকারী হওয়া বড় মুস্কিলের জিনিষ । আমি এক এক দিকে র্তার ভগবানকেও ছাড়িয়ে গিয়েছি মনে হয়। তুই বলছিস্ আমি জোর ক’রে বিলাত যেতে পারি ? তা পারি হয়ত। কিন্তু ফিরে এসে মাকে আর দেখব কি না সন্দেহ। তার কিছুকাল যাবৎ heart troubles জুটেছে, এত বড় শকৃ’ সইবে না। কাজেই চুপচাপ বসে আছি, যতদিনে তিনি মত দেন। চাকুরীর জন্যে বিলাত যেতে হবে না, এই এক রক্ষা ।” ইতিমধ্যে জল-খাবার আসিয়া পড়িল। রূপার, পাথরের এবং চীনমাটির বাসনে টেবলটা সবখানা ত ভরিয়া গেলই, তাহাতেও জায়গায় কুলায় না দেখিয়া ভূত্য ছুটিয়৷ পাশের ঘরে গেল, আর একট। ছোট টেব ল আনিতে । দুইজন দাসী ততক্ষণ আধ ঘোমটা টানিয়! থাবারের রাশ হাতে করিয়া দাড়াইয়া রহিল। টেবল আনা হইলে পর সব খাবারের পাত্র তাহার উপর গুছাইয়। রাথিয়। দাসীন্ধয় চলিয় গেল। চাকরটি, যদি তাহাদের আরও কোনো কিছু প্রয়োজন হয়, তাহারই অপেক্ষায় দরজার কাছে গিয়া দাড়াইয়া রহিল। চন্দ্র বলিল, “আরে। জন দশ বারো থাবে বলে মনে হচ্ছে হে ; তাদের ডেকে পাঠাও, অনর্থক দেরি ক’রে লাভ কি ? ক্ষিদেও পেয়েছে বেশ তেড়ে ।” স্ববার হাসিয়া বলিল, “তুমি আরম্ভ ক’রে দাও, মহাপ্রাণীকে স্কষ্ট দিতে নেই। অন্যদের আসবার সময় చ 1: A : হ’লেই তা আসবে। দেখ, চা ঢালব নাকি ? না, এই সরবতেই চলবে ?” চন্দ্র বলিল, “দেখা যাক। এ কিন্তু তোদের অস্কায় বাপু ! টাকা আছে ব’লে কি তা নর্দমায় ঢেলে দিতে হবে ? দুটো মানুষের জন্তে যা জলযোগের ব্যবস্থা দেখছি, তাতে দশটা মাতুব বেশ পেট ভরে থেতে পারে । এর কতখানি ফেলা যাবে, আন্দাজ কর ত’ ? তুই রোজই এইরকম জলযোগ করিস্ত ? দুই প্লেট ফল, লুচি ভাজা, তরকারী, চাট্‌নী ; সরবৎ দুই রকম, পায়েস ক্ষীর এবং কমলালেবু ; সন্দেশ দু-রকম, রসগোল্লা, এবং পিঠে ; তার ওপর চা । এই ত দেখছি জলযোগের ব্যবস্থা, ডোমরা পেট ভ’রে খেতে হ’লে তা হ’লে কি খাও ?” স্থবীর বলিল, “রোজই কি আর অত খাই ? আঞ্জ তুমি এসেছ শুনে ভবানী দিদির একটু বিশেষ রকম দিল খুলে গেছে দেখছি । নাও, আরম্ভ কর, তোমার ক্ষিদে ন পাক, আমার পেট চে চে করছে।” দুই বন্ধু আহার স্বরু করিল ; থাইতে খাইতে চন্দ্রনাথ বলিল, “ভবানী দিদিটি কে হে ? বাড়ীতে ত এক তোমার মা আছেন ব’লেই জানতাম।” স্থবীর বলিল, “ভবানী দিদির পরিচয় দেওয়া শক্ত ব্যাপার । তিনি জন্মেছিলেন রাজপুতানী হ’য়ে, কিন্তু জীবনটা কাটিয়ে দিলেন বাঙালীর ঘরে । আমার দাদা মহাশয় যখন রাজপুতানায় কাজ করতেন, তখন ইনি র্তাদের বাড়ী ঝি হ’য়ে আসেন। কিন্তু বেশীদিন ঝি ভাবে একে কাটাতে হয়নি, বাড়ীর পাচ জনের একজনের মতই তিনি ছিলেন ! চেহারা দেখলে বা কথাবার্তা শুনলে বোঝাই যায় যে, ভগবান তাকে দাসী বৃত্তি করবার জন্তে স্বষ্টি করেননি। আমার মায়ের বিয়ে হ’বার পর, ভবানী দিদি র্তার সঙ্গে আমাদের বাড়ী আসেন । বাবা মারা যাবার পর থেকে ইনিই আমাদের সংসারের অভিভাবিকা হ’য়ে আছেন। একাধারে তিনি housekeeper, manager (q-qt cashier. fvad% cvtoe রাখলেও এর চেয়ে ভাল ক'রে কাজ চলত কিনা সন্দেহ। ম৷ ত কোনো দিনই কিছু দেখেননি সংসারের। আমাকে