পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գշo ভানুমতী উৎসুক হইয়। বলিল, “অনেক সম্বন্ধ আসছে নাকি সুশীলের ? ওমা, তা বাপ একবার খেয়ালও করে না ? বিয়ে দেবার মতলব নেই নাকি ছেলের ?” শোভাবতী তাচ্ছিল্যের মুখভঙ্গী করিয়া বলিল, “কে জানে বললে বলেন রোস, রোস, এরই মধ্যে তোমার ছেলের বিয়ের বয়েস উৎরে গেল নাকি ? ক’হাজার কামাচ্ছে তোমার ছেলে ? বিয়ে ক’রে বোঁকে খাওয়াতে পারবে ত?” ভানুমতী বলিল, “আহ, ঘরে খাবার বড় ভাবনা, সেই দুঃখে আর ছেলের বিয়েই হচ্ছেনা! আজকালকার পুরুষমানুষগুলির ধরণই হয়েছে এক অদ্ভুত । যেমন ছেলে, তেমনি বুড়ে । থোকাটাকে দেখন, একবার বিয়ের নাম করলেই যেন মারমুখো হয়ে আসে। এবার তবু কত কষ্ট্রে একটুখানি নিমরাজী মতন হয়েছে। সেইজন্তেই আজ তোমায় আসতে বললুম, এই বেলা যদি কিছু পাকাপাকি ক’রে নেওয়া যায় ।” শোভাবর্তী উৎসাহিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “খোকা রাজী হয়েছে তা হলে ? ওর। ত শুনলে বর্তে যাবে। আমার ত গায়ের যাংস খুব লে খাচ্ছে, কবে মেয়ে দেখতে আসবে, কবে মেয়ে দেখতে আসবে ক’রে। এইবার তাহলে বলে দেব। কি বললে খোক ?” ভানুমতী বলিল, “পুরোপুরি রাজী আর কৈ ? তবে অনেক বলা-কওয়াতে মেয়ে দেখে আসতে রাজী হয়েছে। আমি বলেছি মেয়ে যদি তার পছন্দ না হয়, তবে আমি আর কথাটি কইব না। মেয়ে খুব সুন্দর ত? আমি ত সেই আশায় আছি। তা না হ’লে যে মাথ-পাগলা ছেলে আমার, কোন দিন এক মেম বউ এনেই হয়ত হাজির করবে। বড় ভয়ে ভয়ে আছি।” মাধবী পান ও জল আনিয়া রাখিল গোটা দুই পান একসঙ্গে মুখের ভিতর ফেলিয়া দিয়া, অস্পষ্ট স্বরে শোভাবতী বলিল, “তা মেয়ে কিছু নিজের নয়, আমার নিজের চোখে দেখা মেয়ে। তোধের ঘরের কিছু অযুগ্য হবে না। রং খুব ফরশ, তোর মত হবে। চুল খুলে দেখিনি, তবে খুব চুল আছে ব’লে শুনি। তাকবে সুবিধে হবে ব’লে দিস, ওরা দিন দেখে সব ঠিক করবে।” প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ AAMAJSJAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAAJAAJAAA AAAAS AAAAAJAAAA [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASJAASJAJAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAAJJS ভানুমতী বলিল, “শনি-রবিবারের মধ্যে যদি ভাল দিন থাকে, তাহলে তখনই যেন ঠিক করে। অন্ত দিন আবার থোকার কলেজ থাকে, সে যেতে চাইবে না। দু চারজন বন্ধু-বান্ধব তার সঙ্গে যাবে বোধ হয়। তাছাড়া দেওয়ানজিকে আসতে লিখতে হবে, সময় ঠিক ক’রে, তিনিও যাবেন। একজন বোঝা-শোনা মানুষও সঙ্গে থাকা ভাল ।” শোভাবতী বলিল, “তবে তাই ব’লে দেব। ওদের বড় মেয়েটার শ্বশুরবাড়ী আমার বাড়ীর খুব কাছেই, রোজই ছাতে উঠে কথাবাৰ্ত্ত বলে। তাকে বললেই সে তখুনি খবর পাঠিয়ে দেবে। তারপর, তুই আছিস্ কেমন ? একটু যেন ভালই দেখছি । এবার একাদশীর পর আর অসুখ করেনি ত ?” ভানুমতী বলিল, “না, এবার ত অনেকটা ভালই আছি। গরমটা কম্লে আর একটু সাৱৰ বোধ হয় ; ডাক্তারে বলছে পূজোর ছুটতে হাওয়া বদল করতে যেতে, কোথায় যাব তাই ভাবছি। আমার ইচ্ছ। পুরী যাই, তা খোকা যেতে চায় না ; বলে, ওখানে দেখবার জিনিষের মধ্যে সমুদ্র আর উড়ে, দুটোই আমার দেখা আছে, আর দেখতে চাই না ।” ” শোভাবর্তী বলিল, “আমরা এবার দেওঘর যাচ্ছি, চল না। আমাদের সঙ্গে ? থোক না হয় তার যেখানে খুসি বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়িয়ে আসবে। তুই গেলে ত আমিও বাটি, একজন কথা বলবার লোক পাওয়া যায়।” ভানুমতী বলিল, “সে হ'লে ত আমিও বাচি। যাক, সে এখনও মাস দুই তিন পরের কথা। এখন আগে থোকার বিয়ের একটা ব্যবস্থা যেমন ক’রে হোক করতে হচ্ছে। যা ত শরীর, কবে আছি, কবে নেই। এখন একটি নাতী দেথে যেতে পারলে আর দুঃখ থাকে না। নিজের সব গহনাগুলো দিয়ে সাজিয়ে, একটি টুকটুকে বেএর মুখ দেখতেও বড় সাধ যায়।” শোভাবতী দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বলিল, “অত সাধ ক’রে তোর জন্তে সব গৃড়িয়েছিল রে! ক' দিনই বা পরতে পেলি ? এখন কোন ঘরের কোন বেট এসে সব জুড়ে বস্বে।” ভানুমতী বলিল, “যাক্ গে ভাই, সে কথা আর তুলিস্