পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

啟 | d o \\ *駕 § § ့ဖို့ီ . $o. চীনের ভবিষ্যৎ— চীনের জাতীয়-দলের সেনাধ্যক্ষ চ্যাং কাইসেকের যুদ্ধক্ষেত্র হইতে হঠাৎ অবসর-গ্রহণের সংবাদে সমগ্র জগৎ স্তম্ভিত । কেহ কেহ অনুমান করিতেছেন যে, ভারতবর্ষের মীরজাফরের মত নাকি চ্যাং কাইসেক অর্থের লোভে দেশ শক্রহস্তে তুলিয়া স্বদেশে পলায়ন করিয়াছেন। যে বিজয়ী সেনাপতি যুদ্ধের পর যুদ্ধে শত্রুদলকে বিধ্বস্ত করিয়া ইয়াংশি উপত্যকায় জাতীয়-দলের প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন র্তাহার এই শোচনীয় অধঃপতনে, জাতীয়-দলের বিচক্ষণ পররাষ্ট্রসচিব ইউজেন চেনের হঠাৎ পদত্যাগে ও জাতীয়দলের রুশ বন্ধু বরোদিনের চীন পরিত্যাগে চীনের গুণতীয় দল নিরুৎসাহ হইয়া পড়িয়াছে । ইতিমধ্যেই নাকি তাহদের মধ্যে গৃহ-বিবাদের লক্ষণ দেখা দিয়াছে। ইংরেজও এই সুযোগে চীনের সহিত গোলযোগ বাধাইবার জষ্ঠ্য চেষ্টত । সম্প্রতি একখানি ইংরেজ উড়ো-জাহাজ চীনের জর্মীর উপর দিয়া বে-আইনি ভাবে উড়িয়! যাইবার সময় ভাঙ্গিয়া পড়ে। চীনারা জাহাজখানি সরাইয়া লইতে আইন সম্মত ভাবে বাধা দেয় । ফলে ইংরেজ রুষ্ট হইয়া সংঘাইয়ের রেলপথ ভাঙ্গিয়া দিয়াছে । ইংরেজের এইরূপে নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করাতে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনাকল্পনা চলিতেছে । চ্যাং কাইসেকের সন্দেহ-জলক তাবসর গ্রহণের পর হইতে হ্যাংকণ য়ের জাতীয়- দলের উপর চীনের ভবিষ্যত নির্ভর করিতেছে। চীনের ভাগ এখন হাংকে সরকারের দৃঢ়তা, কৰ্ত্তব্য-নিষ্ঠা ও সাহসের উপর নির্ভর করিতেছে । তাহীদের দেশনিষ্ঠ ও শ্রমিক শক্তির লোকবলই এই দণরণ বিপদের সময় চীনের জাতীয়দলের সম্বল। জাতীয় দলের বর্তমান নেতার! যদি সকল স্বার্থ বিসর্জন দিয়া বিদেশী-অৰ্থ বশীভূত গৃহশত্রুদের দমন করিতে ন পায়েন ও একযোগে বহিঃশত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান করিতে পরায়ুৰ্থ হন তবে নবীন চীনের জাতীয় জাগরণ স্লাম হইবে সন্দেহ নাই । আয়ল্যাণ্ডের রাষ্ট্রীয় সমস্তা— আয়ল্যাণ্ডের রাষ্ট্রীয় সমস্ত লইয়া এক ভীষণ গোলযোগের সূচনা হইয়াছে । ইংলণ্ডের রাজার আনুগত্য স্বীকার করিয়া শপথ করিতে অসম্মত হুইয়া ডি ভেলেরার দল(Fianna Rail Party-আয়ল্যাণ্ডের ভাগ নিয়ন্ত্রক দল) এতদিন নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও আইরিশ রাষ্ট্রসভায় যোগদান করেন নাই। আয়ল্যাণ্ডের পররাষ্ট্র ও বিচার সচিব কেভিন ওঙ্কিগিন্সের হত্যার পর ফ্রি ষ্টেট সরকার এইরূপ আইন প্রণয়ন করিবার সংকল্প করিয়াছিলেন যে, র্যাহারা ইংলণ্ডের রাজার আনুগত্য স্বীকার করিয়া শপথ লইতে স্বীকৃত হইবে কেবলমাত্র তাহারাই রাষ্ট্র সভায় নির্বাচনে দাড়াইতে পরিবেন। সরকারের নুতন চাল বুঝিতে পারিয়া ডি ভেলের সদলবলে আইন সভায় リss")。愛幼ミ安リ洲sswi)%燃 9). o 癸 প্রবেশ করিয়াছেন। তিনি অবখ্য বলিয়াছেন উহাদের এই শপথ আগ্রহ করিয়া গ্রহণ আন্তরিক নহে । ডি ভেলেরার দল, জাতীয়দল ও শ্রমিকদল একযোগে আয়াল্যাণ্ডের বর্তমান সরকার কসগ্রেভ দলের পতনের জন্ত চেষ্টিত হইয়াছে। সম্প্রতি একটি ব্যাপারে গবর্ণমেণ্ট ও বিপক্ষদল সমান সমান ভোট পাওয়ায় সভাপতির নিম্পত্তি ভোটে গবর্ণমেণ্ট, পক্ষ জয় লাভ করে। গবর্ণমেণ্টের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট থাকায় কুম্বকদল শ্রমিকদলের সহিত যোগ দেয় নাই । সভাপতির নিম্পত্তি ভোটের জোরে রাজ্য চলা অসম্ভব। তাই আয়ার্ল্যাণ্ডের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত। নুতন নিৰ্ব্বাচনে যে-পক্ষ জয়লাভ করিবে তাহারাই রাষ্ট্র পরিচালন করিবে। জগলুল পাশার মহাপ্রয়াণ— সকল দেশেই জাতীয় জাগরণের সময় সেই জাতি একটি বিশিষ্ট্র নেতাকে কেন্দ্র করিয়া গড়িয়া উঠে । সেই নেতার জীবন-কাহিনীই সেই দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস রূপে পরিগণিত হয়। সেই কারণে চীনের স্তান ইয়াং সেন, রুষের লেনিন, তুরস্কের কামাল, ইতালীর মুসোলিনী, আয়ার্ল্যাণ্ডের ডি ভেলের, ভারতের মহাত্মা গান্ধী দেশে দেশে পূজিত। এই সকল একনিষ্ঠ দেশসেবকদের মধ্যে যেন জাতীয় স্বাধীনতার আদর্শ মুৰ্ত্ত হয় এবং তাহাতে অনুপ্রাণিত হইয়া স্বাধীনতাকামী জনসাধারণ জীবন উৎসর্গ করে । জগলুল জাতিতে কস্ট, ধর্কে খুঁষ্টিয়ান এবং ব্যবসায়ে আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু মুসলমান-প্রধান মিশরের জাতীয় দলের নেতার পদে মিশরবাসীরা খ্ৰীষ্টিয়ান জগপুলকেই বরণ করিয়াছিলেন। মৃত্যুকালে জগলুল পাশার ব্যক্রম ৭৬ বৎসর হইয়াছিল। কৈশোরের প্রারম্ভ হইতে মৃত্যুর দিন পর্য্যন্ত তিনি মিশরের স্বাধীনতার গুস্ত আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন । কখনও সংবাদ-পত্র-সেবী রূপে, কখনও শাসন বিভাগের কৰ্ম্মচারী রূপে, কখনও আইন উপদেষ্টা রূপে, কখনও শিক্ষক রূপে তিনি দেশ-সেবা করিয়া গিয়াছেন। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইংরেজের দৃষ্ট মিশরের উপর পরে। ইংরেজ বুঝিল হয়েজখাল ও কাপাস-ক্ষেত্র-সমৃদ্ধ স্বদানে একাধিপত্য বিস্তার করিতে হইলে মিশরকে করতলগত করা দরকার। তখন মিশর নামমাত্র তুকার অধীন ছিল। তুরস্ককে সরাইয়া দিয়! ংরেজ মিশরের উপর শ্বেতকায়দিগের জন্মগত অভিভাবকত্ব দাবী করিতে দেরী করিল না । কিন্তু মিশরবাসী তাহাতে স্বীকৃত হইল ন। ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে মিশরীর বিদ্রোহ ঘোষণা করিল। গুগলুল পাশ সেই বিদ্রোহে মিশরবাসীদের সহিত যোগ দিলেন । কিন্তু বিদ্রোহীরা ব্যর্থ হইল। মিশরে ইংরেজের প্রভুত্বের সূচনা হইল । ব্যর্থ ওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতাকামী মিশরবাসীরা শক্তি সঞ্চয় করিতে লাগিল । বিংশ শতাব্দীর প্রারস্তে জগলুলের নেতৃত্বে তাহার মিশরে ইংরেজের আধিপত্য বিস্তারের বিপক্ষতাচরণের গুপ্ত বিদ্রোহী হুইল ।