পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిన r রাজা, অন্ত সবে অত্যাচারী। প্রাচ্যের আদর্শ ইহাই, ইংরাজ এখন যাহাই বলুন না কেন। যে রাজা প্রাচ্যআদর্শ মানিয়া না চলিবেনু—তিনি কখন আমাদের হৃদয়রাজ্য অধিকার করিতে পারিবেন না । বুৰ্ত্তমান সংখ্যায় শিবাজীর যে দুইখানি চিত্র প্রকাশিত হইল তাহ এই উপাখ্যানটি আশ্রয় করিয়া অঙ্কিত। জিজ্ঞাসু পাঠক রবিবাবুর কথাগ্রন্থে ইহার সুন্দর বিবরণ দেখিতে পাইবেন। - শ্ৰীযুক্ত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের অঙ্কিত যে চিত্ৰখানি আমরা এবার প্রকাশ করিলাম, তাহার বিষয় কালিদাসের ঋতুসংহারের বর্ষাবর্ণন হইতে গৃহীত। ছবিখানি মুখাবয়ব, অঙ্গভঙ্গি, পরিচ্ছদ ও অলঙ্কার, সৰ্ব্ববিষয়েই ভারতবর্ষীয়। ইন্দ্রজিৎ স্বৰ্গ হইতে ইন্দ্র ও দেবসভার এক অপ্তারাকে বন্দী করিয়া রাবণের সভায় আনিয়াছেন, ইহাই রবিবৰ্ম্মার অঙ্কিত বর্তমান সংখ্যায় মুদ্রিত ছবিখানির বিষয়। পরাজিত শত্রুর সন্মান যে করিতে জানে না, সে বীর নহে । তাহার পতন অনিবাৰ্য্য। যে নারীর অবমাননা করে, সে পশু অপেক্ষীও হেয়, তাহার পতন অবশুম্ভাবী। রামায়ণের এই উপদেশ, বর্তমান চিত্র হইতেও পাওয়া যায়। আমেরিকা-প্রবাসীর পত্র । Ş 978, ILLINois Street, URBANA, ILLINois, U. S. A. শ্ৰীচরণকমলেষু, * এবারে ডাকের কি গোলমাল হয়েছিল, সমস্ত সপ্তাহ অপেক্ষা করে রইলুম কোন চিঠিই এলো না ; ভালুম্ তোমরা হয় ত খুব ব্যস্ত ছিলে তাই চিঠি দিতে পারনি। তার পরে সব চিঠি পত্র এসেছে। তোমাদের চিঠি সকালবেলায় এসেছিল কিন্তু আমি সন্ধেবেলায় সেগুলো পেলুম। এই কয়েক ঘণ্টা তোমাদের চিঠি বর্জিত হওয়ার কারণ কি জান ? এক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলম তোমরা জান ত আমি পোকা সম্বন্ধে g - প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । (Entomology) gesi corff fāzafè l 'est contrí পোকার অনুসন্ধানে ও তাদের জীবনবৃত্তাস্ত জানতে প্রায়ই এদিক ওদিক্‌ যেতে হয়। এখান থেকে চোঁদ পনেরো মাইল দূরে একটা জঙ্গলের মত আছে, সেখানে এখন একদল পঙ্গপাল দেখা দিয়েছে, তাই দেথতে অধ্যাপক আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন। পোকার নাম গুনে তোমাদের নানা রকম মনে হতে পারে। সেই জন্তে বলে রাখি, কেবল যে পোকা খুজতেই গিয়েছিলাম তা নয়, চড়িভাতি করাও উদ্দেশু ছিল। জায়গাটার নাম হচ্ছে Homer Park. পার্ক শুনে গড়ের মাঠের মত জায়গা আদবেই ভেব না । এই পার্কের ভিতর মামুষের হাত একেবারেই নেই, একটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক si#* ! Public Park sẽ sçoi cq, c=IfC-Ri q# উপর ঘর বাড়ি না তোলে। ছুটির দিন সকলে যা’তে এখানে এসে picnic করতে পারে, তার জন্তে এই জায়গাটুকুতে যে রকম স্বাভাবিক জঙ্গল ছিল সেই রকমই রেখে দিয়েছে । আমরা বাসা থেকে সকালবেলায় বেরুলুম, সঙ্গে কিছু পয়সা, পোকা সংগ্রহের জন্তে জাল ও chloroform দেওয়া গোটা কতক শিশি ও একটা ছবি তোলাব জন্তে ছোট ক্যামের। সেখানে রেলগাড়ি যায় ন, বৈদ্যুতিক রেলে যেতে হয়। সেটা আর কিছু নয়, সাধারণ বৈদ্যুতিক ট্রামেরই কিছু বড় সংস্করণ,—রেলগাড়িরই মত জোরে যায়। আমাদের বাড়ির কাছ দিয়েই সেটা চলে গেছে, কিন্তু— students' rate জোগাড় করবার জন্তে ট্রামগাড়িতে প্রথমে আমাদের নিকটের সহর স্তাম্পেনে (Champaign) গেলুম। যাতায়াতের ভাড়া ৭০ সেন্ট অর্থাৎ দু’টাকা তিন আনা, কিন্তু আমরা ৪০ সেণ্টে পেলুম। অধ্যাপকদের সঙ্গে এইরকম করে গেলে, এখানে সৰ্ব্বত্রই এইরকম অদ্ধেক ভাড়ায় যেতে দেয়। স্তামূপেন থেকে সেই গাড়িতে প্রথমে ত আরবানায় (Urbana) গেলুম। তার পর সহর ছাড়িয়ে গাড়ি বরাবর মাঠ ও ক্ষেতের ভিতর দিয়ে চল্লো। এই জায়গাটা সত্যিই আমাদের দেশের মত। যেতে যেতে মনে হচ্ছিল ঠিক যেন বৰ্দ্ধমানের কাছাকাছি রেলে ক’রে যাচ্ছি। দু’ধারে ধানের বদলে কেবল ভুট্টা