পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, প্রথমাংশ).djvu/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• (ર রিতে হইবে ; অবশু আমরা ক্ৰীন অতুকরণ করিব না ; আমেরিক মহিলার সান্ধ্যপরিচ্ছদ কথন আমাদের দেশে আমদানি করিব না—যাহা ঘ্ৰণাম্পদ তfহা পরিবজন করিয়া শুভকে সৰ্ব্বএ ইষ্টতে সঞ্চয় করিয়া জীবনের ও দেশের সামগ্ৰী করিয়া লইব । জাপান বিদেশের সংশ্ৰব ত্যাগ করে নষ্ট, আমরা ও একেবারে ত্যাগ করিব না, করিতে পারি না ; সম্পূণ বিচ্ছেদেষ্ট আমাদের অবনতি, সম্পূর্ণ বিচ্ছেদের মন্ত্রণা মরণেরই জন্ত । মহারাজার আমেরিকা পরিদর্শন পরিসমাপ্ত হইলে, র্যাঙ্গর মনের উপর আমেরিকার প্রভাব সম্বন্ধে সংবাদপত্র ওয়ালার বহু প্রশ্ন করিয়াছিল । অষ্টাঙ্গ প্রশ্নের মধ্যে এক “আমেরিক সুন্দরীদের কেমন দেপিলেন’ ? তামেরিক সুন্দরী পাশ্চাত্য আদর্শনুযায়ী অপূৰ্ব্ব । মঙ্গরাজ কিন্তু র্তাঙ্গদের রূপের প্রশংসা করিতে পারেন নাই । খবরের কাগজওয়ালারা লিখিল ‘মহারাজ গায়কবাড় অন্ধ ! দেশীয় রাজন্ত প্রধান গায়কবাড় য়ুরোপ প্রভৃতি দেপিয়া যেরূপ প্রজাদিগকে নবজীবলে শিক্ষিত দীক্ষিত করিতেছেন, সকল রাজন্ত যদি এষ্ট দষ্টান্ত অনুসরণ করেন, তবে ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের অন্ধচালনার সুবিধা ও কৌতুক ঘুচিয়া মাষ্টতে পারে--এই ভয়ে লৰ্ড কাজন আইন করিয়া গিয়াছেন যে, কোন করদ মিত্র রাজা ভারতের গণ্ডার বাঙ্গিরে যাইতে ইচ্ছা করিলে ভারত গবৰ্ণমেণ্টের অনুমতি লষ্টয়া যাক্টতে হইবে । এই রাজ-দম্পতি সম্বন্ধে বলিবার কথা অনেক আছে ; জোর করিয়া আমরা লেগনী সংযত করিয়া চলিয়াছি, নতুবা প্রবন্ধকলেবর বিপুল শুষ্টয়া উঠিবে। গত ৫ই মাচ্চ বড়োদার প্রজাবৰ্গ মহারাজের মঙ্গলময় রাজ্যকালের সম্বদ্ধলা করিয়া মহোৎসব করিয়াছেন এবং মহারাজের সকল ভানুষ্ঠানের জঙ্গ কুতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়াছেন । এষ্ট উপলক্ষ্যে মহারাজ প্রজাদিগকে যে সকল দান করিয়াছেন তাহার তালিকা মাত্ৰ দিয়া ঠতার উপসংহার"করি । (১) বাকি খাজানা মাপ (২) মাতৃভাষা শিক্ষা বেপরচা হইবার ব্যবস্থা (৩) দুষ্টটি নূতন ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা (৪) য়ুরোপে ছাত্র প্রেরণ জষ্ঠ পাচটি বৃত্তি প্রদান (৫) সঙ্গরে বাজার প্রতিষ্ঠ (৬) গরিবথান প্রতিষ্ঠা (৭। তাতুরাশ্রম স্থাপন (৮) অস্পৃশুজাতির জল ব্যবহারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুপ নিৰ্ম্মাণ (৯) সহরের ঘনবসতি স্থানে উদ্যান রচনা ইত্যাদি । এই সকল দান হইতে বুঝা যাইবে যে, মহারাজের লক্ষ্য প্রজার বৈষয়িক, মানসিক, নৈতিক, দৈহিক প্রভৃতি সকল প্রকার উন্নতিরই প্রতি । এই শুভ বৎসরে আমাদের শুধু বলিবার আছে-- ‘জীব বর্ষ শতং রাজন, জীবত্বং শরদ শতম । — – --i riv- --~-- 2 প্রবাসী । , [ ৭ম ভাগ তার— মধুবাতা ঋতীয়তে মধু ক্ষরস্তি সিন্ধবঃ। ত্রিপুরার অন্তঃপুর। বৈশাখ মাস | আজ বৈশাখের পহিলা ৷ উষার শালিখ ও কাকের আহবানবাণীকে আজ কেই অবহেলা করিতে পারিলেন না—সকলেষ্ট জাগরিত ঈলেন । অন্তঃপরিকদের মধ্যে প্রায় সকলেই একে একে পুষ্করিণীর ঘাট-সমূহকে নিজ নিজ উপস্থিতি দ্বারা সরসতা প্রদান করিলেন । এ পয্যন্ত কাচার ও মুখে বিমর্যতা বা রাগের স্তাভাস নাই ; সকলেই আপিন তাপন কৰ্ত্তব্য কার্য্যে মনোনিবেশ করিলেন । কোনো অন্তঃপুরক দাড়াইয়া কেহ বা প্ৰাতঃস্নান শেষ করিয়া চলিয়া যাইতেছেন ; এবং কোনো কোনো পরিচারিক অপম পাশ্বাস্থত পুঞ্জাকত বাসনের মধ্য গুন্ঠতে ক্ষুদ্রাকৃতি ধাতুপাত্র গুলির পরষ্করণ-ব্যাপার শেষ করিয়! আপন কৰ্ত্তব্যভারের লঘুতা সম্পাদন করিতেছে । অন্তঃপুরের বৃদ্ধ শ্রেণীর এক জন, এষ্ট মাত্র আপনার পিতলের ঘটট তাতে করিয়া ঘটে পদার্পণ করিলেন । তিনি বাৎসল্যের সরে আজিকার 'দিবসের মষ্ট ৰু ঘাটের সকলকে বুঝাইয়া দিলেজু কহিলেন—আজ তোমরা কাহারো সহিত বিবাদ করি ও না, আমোদে আহলাদে সময়ক্ষেপ কর—বিষণ্ণতাকে হৃদয়ে স্থান দি ও না । আজিকার দিবস যাচার নিকট যে ভাবে আবিভূ ত হইবে, তাহাকে সম্বৎসর সেই ভাবে কাটাইতে শুইবে । অতএব সাবধান, সকলে প্রতিতে সম্মিলিত থাক ; যদি কেই রূঢ় বাক্য ব্যবহার করে, তাঙ্গকে মা জনা করি ৪-—তাহার কথায় কর্ণপাত করিবে না । বুদ্ধার এই সছুপদেশ সেই সময় যে-সকল সরলা শিরোধাৰ্য্য করিল, তাহারা বলিল-আজ এই শুভ বর্ষারম্ভে আমরা কাহারো সহিত ঝগড়া করিব না, কেহ আমাদের দুই কথা কটু বললেও তাঙ্গ গ্রাহ করিব না";—আজ একটি দিন অসহিষ্ণু হইয়া কেন সারা বৎসর উত্তেজনায় কাটাষ্টব? আর এক দল, যাহারা মৰ্ত্ত্যভূমির অধিবাসিনী বলিয়া পরিচিত হইবার যোগ্য তাহার কছিল---আমরা কাহারে প্রতি দুৰ্ব্বাক্য প্রয়োগ করিব না, তবে মন্দবাণীকে পরিপাক করিবার সামর্থ্য বোধ হয় আমাদের থাকিবে না—সমস্ত বৎসর ভরিয়া শুধু অন্তের বাক্যবাণ সহ করিবার ইচ্ছা আমাদের নাই । ইহার পর অমনি এক জন ত্রয়োদশ বর্ষীয় পরিচারিকা বলিয়া উঠিল যে, সে কাল বহু যত্নে একটি কুসুমগুচ্ছ রচনা করিয়াছিল ; রাত্রে ঘুমাইবার আগ্নে তাহাকে তাজা রাথিবীর জন্য, কুয়ার ধারের বেড়ার